কানাডিয়ান
আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো যাবে কিনা, জানতে চেয়েছেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো যাবে কিনা এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন লিলি।
বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: নতুন আইন বাস্তবায়নের সময় কিছু অপব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায়: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, গত বছর বাংলাদেশে নিযুক্ত হয়েছেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার। কিন্তু আমার সঙ্গে এই প্রথম বার দেখা করেছেন। সৌজন্য সাক্ষাতে নির্বাচন ইস্যুতেও আলোচনা হয়। এসময় কানাডিয়ান হাইকমিশনার জানতে চান যে আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক অ্যালোও করা হবে কিনা?
নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কাছে কোনো কনসার্ন ব্যক্ত করেন নি। কোনো সাজেশনও দেন নি। নির্বাচন নিয়ে উনারা জানতে চেয়েছেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক আমরা এ্যালাউ করবো কিনা।
আমি স্পষ্ট করে বলেছি, এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার, তাদেরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। আমি স্পষ্টভাবে বলেছি বাংলাদেশ সরকার নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) নিয়োগের আইন করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সেখানে সরকারের যেসকল সহযোগীতা লাগবে তা করবে।
তিনি বলেন, বৈঠকে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট নিয়ে উনারা কোনো কথা বলেন নি। আমি এটা নিয়ে তাদের জানিয়েছি। কারণ সব জায়গায় এ বিষয়টি নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছে। উনারা ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট নিয়ে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: জনগণকে সর্বোত্তম সেবা দিন: সাব-রেজিস্ট্রারদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী
আমি বলেছি, এটা অংশীজনদের সঙ্গে একবার মিটিং হয়েছে। আরও দুই থেকে তিনবার মিটিং হবে। এছাড়া ডেটা কন্ট্রোলের জন্য এটা হবে না প্রটেক্ট করার জন্য হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ও কানাডার সম্পর্কের ৫০ বছর হচ্ছে এ বছর। সে বিষয়ে দুজনেই বলেছেন আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখি।
আমরা উভয় পক্ষ এ সম্পর্ক আরও গভীর হোক সেটা চাই।
এছাড়া সোমবারের মন্ত্রীসভায় অনুমোদন পাওয়া ৪ নভেম্বরকে সংবিধান দিবস নিয়ে কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এটি ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস। এ দিবসটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে পালন করা হবে।
এলক্ষ্যে সুপ্রীমকোর্ট বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আয়কর আইনজীবীদের একটি শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকা দরকার: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে