ঘর নির্মাণ
কুমিল্লায় মাটি সংকটের কারণে ঘর নির্মাণ হচ্ছে না বন্যার্ত শতাধিক পরিবারের
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় গোমতীর বাঁধ ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানো বানভাসি মানুষ মাটির সংকটের কারণে ঘর নির্মাণ করতে পারছে না।
এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ঠিক না হওয়ায় ঘর তৈরিতে যে মাটি দরকার তা আনতে না পারায় বিপাকে পড়েছে বানভাসি মানুষ।
এছাড়া ত্রাণে পাওয়া টিনের চালা-পিলারসহ প্রয়োজনীয় সব থাকা সত্ত্বেও ঘর নির্মাণ শুরু করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহায়তায় নগদ ২০ কোটি টাকা ও ত্রাণ সংগ্রহ বিএনপির
বন্যার্তরা জানান, কৃষি জমিতে এখন ফসল রয়েছে, তাই সেখান থেকে মাটি কাটার অনুমতি নেই। বালু মহাল থেকে ভিটার বালু সংগ্রহ করাও অনেক খরচের ব্যাপার। আবার কোথাও থেকে যে মাটি আনা হবে সে রাস্তাও নেই। অন্যদিকে ভেকু বা বুলডোজারের মতো ভারী যন্ত্রপাতির সহযোগিতা না পেলে ঘর নির্মাণ আরও ব্যয়বহুল হবে।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক বন্যায় কুমিল্লা জেলার প্রায় ৮৩ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে বুড়িচং উপজেলারই প্রায় ১৩ হাজার। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪ হাজার ১৪৩টি ঘর। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সব বাড়িঘরেরই ভিটার মাটি ভেসে গেছে প্লাবনে।
এই এলাকার অন্তত অর্ধশত ঘরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ঘর তৈরি করার মাটি পাচ্ছেন না কোথাও। রাস্তাঘাট ভাঙা থাকায় অন্য কোথাও থেকে মাটি আনা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহায়তায় গ্যালারি কসমসে 'আর্ট ফর এইড: রিবিল্ডিং লাইভস' প্রদর্শনী শুরু
বুড়বুড়িয়া এলাকার কৃষক মো. রিয়াজ বলেন, টিন-পালা সবকিছু থাকা সত্ত্বেও শুধু মাটির অভাবে অনেকেই ঘর বানাতে পারছে না। চারপাশ এমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, বাইরে থেকেও মাটি আনা সম্ভব হচ্ছে না। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মানুষ গৃহহীন। এছাড়া সরকারের সহযোগিতা পেলে খুব তাড়াতাড়ি ঘর বানানো সম্ভব হবে বলে আশা করি।
একই এলাকার শিক্ষার্থী মোহাম্মদ পলাশ বলেন, এখন কোথাও থেকে মাটি আনার উপায় নেই। ভিটার মাটি আনতে হলে ট্রাক্টর লাগবে। এছাড়া ভেকু-বুলডোজারের মতো যন্ত্রপাতির ব্যয় বহন করা কারো পক্ষেই সম্ভব না।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার বলেন, যার যার নিজস্ব উৎস থেকেই এখন মাটি সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে কোনো বিকল্প নেই। অন্য কোনো উৎস থেকে মাটি বা বালু কেনা ও ব্যয় সাপেক্ষ।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ব্যস্ত ঘাট সংস্কারের জন্য উপজেলা পরিষদ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। গ্রামীণ সংযোগ সড়কগুলোর সংস্কারের জন্য এলজিইডি বরাদ্দ পেয়েছে বলে আমি জেনেছি।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের মাঝে খাবার দিচ্ছে সেনাবাহিনী: ধর্ম উপদেষ্টা
২ মাস আগে
সাফজয়ী নারী ফুটবলার রূপনার ঘর নির্মাণকাজের উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক প্রথমবারের মতো নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী হওয়া বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সেরা গোলরক্ষক রূপনা চাকমার বাড়ি নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ভূঁইয়াদাম এলাকায় রূপনা চাকমার বাড়ি নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন, নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাফল্যের পর মিষ্টি, ফল, ফুল ও নগদ অর্থ নিয়ে ঋতুপর্ণা চাকমা ও রুপনা চাকমার বাড়িতে যান রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সাবেক নারী ফুটবলার রেহেনার খাদ্য সহায়তা অব্যাহত
এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সাফ জয়ী সেরা গোলরক্ষক রুপনার জরাজীর্ণ বাড়ির ছবি ভাইরাল হয়।
বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে এলে তারই ধারাবাহিকতার দেশ সেরা গোলরক্ষক রুপনার বাড়ি নির্মানের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ বরাদ্দকৃত সেরা গোলরক্ষক রূপনা চাকমার বাড়ি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
এসময় নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বলেন, অনুমোদিত ড্রয়িং ও বাজেট অনুযায়ী রুপনা চাকমার ঘর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। যাতে দ্রুততার সঙ্গে মানসম্পন্ন বাড়ি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী আবদুল মাজিদ বলেন, ঘরের কাজ আগামী দুই মাসের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে।
তিনি জানান, ঘরটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৫ টাকা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সাফজয়ী নারী ফুটবলার আঁখিকে সংবর্ধনা
২ বছর আগে