১০ ডিসেম্বর
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের ডাককে প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ‘ভোটারবিহীন নির্বাচনের’ সময় যেমনটা করেছিল ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকও সেভাবেই প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি ১০ ডিসেম্বরের জন্য (বিএনপির পক্ষ থেকে) বিশাল ঘোষণা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ অগ্নিসন্ত্রাসীদের প্রত্যাখ্যান করেছে, যারা (অতীতে) জাল ভোটার তালিকা তৈরি করেছে। দেশের মানুষ এখন তাদের শুধু প্রত্যাখ্যান করেনি, ১৯৯৬ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনেও প্রত্যাখ্যান করেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের তৃতীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিল। অন্য কোনও রাজনৈতিক দল বা কোনও ভোটার ওই নির্বাচনে সাড়া দেয়নি।
তিনি বলেন, ভোট কারচুপির মাধ্যমে তারা জাতির পিতার খুনি রশিদ ও বজলুল হুদাকে সংসদ সদস্য বানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ সেই নির্বাচনকে শুধু প্রত্যাখ্যানই করেনি, তারা আন্দোলনও শুরু করেছিল যা দেড় মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে খেলা করা বিএনপির চরিত্র। তারা জনগণের দল নয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে না, ক্ষমতাই তাদের লুটপাটের হাতিয়ার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তাদের জন্য স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, এর মানে যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে তখনই জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অর্থই হলো- জুলুম-নির্যাতন, দুঃশাসন, লুটপাট, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও বাংলা ভাই।
আরও পড়ুন: সংসদীয় গণতন্ত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় জাপাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
বিদায়ী জাপানি রাষ্ট্রদূতের আশা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে: ডেপুটি প্রেস সচিব
১০ ডিসেম্বর জনগণের জয়, পরাজিত সরকার: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সকল বাধা-বিপত্তি ও দমনমূলক কর্মকাণ্ড নস্যাৎ করে রাজধানীতে বিশাল সমাবেশ করে জনগণ বিজয়ী হওয়ায় ১০ ডিসেম্বর সরকার পরাজিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অনেক বাধা-বিপত্তি ও গ্রেপ্তারের মধ্যেও ঢাকায় আমাদের সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সরকার আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে জনসভা বানচাল করার চেষ্টা করেছে। সরকার তা করতে পারেনি। ১০ ডিসেম্বর দেশের জনগণ জিতেছে এবং সরকার পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে।’
মঙ্গলবার এক সমাবেশের বক্তব্যে বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ অত্যন্ত সফল হয়েছে কারণ দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তাদের দল আগামী দিনে রাজপথে ক্ষমতাসীন দলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে।
আরও পড়ুন: পুলিশি অভিযানের ৪ দিন পর খুলল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এই সরকারের পতন নিশ্চিত করা। আমরা বলতে চাই যে আমরা আগামী দিনে তাদের (যারা ক্ষমতায়) রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। আমরা রাজপথে সংকটের সমাধান করব। সুতরাং, আমাদের সকলকে এই ব্যর্থ, স্বৈরাচারী এবং ফ্যাসিবাদী শাসনকে রাজপথে উৎখাত করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তারকৃত দলের অন্যান্য নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে কঠোর রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে পতন করা ছাড়া তাদের দলের আর কোনও বিকল্প নেই।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের তৎপরতার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর।
গত ৭ ডিসেম্বর কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের পর এটিই ছিল তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির প্রথম কর্মসূচি।
৭ ডিসেম্বর, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
এছাড়া গত ৯ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
আরও পড়ুন: বিএনপি মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করবে
মোশাররফ বলেন, তাদের দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ-প্রশাসনকে জনগণের সঙ্গে একত্রে মোকাবিলা করবে
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই অতীতে দেশে এই ধরনের স্বৈরাচারী শাসন ছিল। স্বৈরাচারী শাসক এরশাদকে এ দেশের ছাত্ররা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল এবং পাকিস্তানের শাসনামলে আইয়ুব খানকেও ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। কয়েক মাস আগে শ্রীলঙ্কায়ও মানুষ রাজপথে নেমে রাজাপাকসের ভাইদের উৎখাত করেছে। আমাদের জনগণও প্রস্তুত (রাস্তায় নামতে)।’
বিএনপি নেতা পুলিশ ও প্রশাসনকে তাদের শপথের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জনগণ ও তাদের স্বার্থের পক্ষে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনি মানুষের শত্রু নন এবং তাদের পক্ষে অবস্থান নিন। সরকার পতনের ঘণ্টা এখন বাজছে। সরকার যাবে, কিন্তু আপনি এখানেই থাকবেন কারণ আপনি এই দেশের সন্তান এবং সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী। মানুষের সঙ্গে লড়াই করা আপনাদের উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
১০ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ইশরাকসহ বিএনপি’র ৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
১০ ডিসেম্বর যাত্রাবাড়ীতে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বিএনপি নেতা ইশরাকসহ নয়জন জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে পুলিশ।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নওশের আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলাটি পেনাল কোড, ১৮৬০ এবং বিস্ফোরক পদার্থ আইন ১৯০৮ এর বিভিন্ন ধারায় দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে ইশরাকসহ বিএনপির ৭০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা ওই দিন যাত্রাবাড়ী এলাকার গোলাপবাগ মোড়ে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, বোমা নিয়ে হামলা করে। এছাড়া পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া হয়।
তারা হত্যাচেষ্টাসহ হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যদের আহত করে, পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করে এবং এলাকা থেকে বোমার কিছু অংশ উদ্ধার করে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নবীউল্লাহ নবী, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি পাভেল শিকদার, এমডি জামশেদুল আলম শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন জিকু, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাইসুল হক। হাসান শখ, শুভ হাসান বাবু, মো. কাউসার, বাদল সরদার।
আরও পড়ুন: রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
রাজধানীতে বিএনপি নেতা ইশরাকের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
১০ ডিসেম্বর সমাবেশস্থল: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবে বিএনপির ২ সদস্যের প্রতিনিধি দল
ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে অচলাবস্থা নিরসনের চেষ্টা করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কার্যালয়ে যাচ্ছে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল।
শনিবার সমাবেশের স্থান চূড়ান্ত করতে দুপুর ২টায় ডিএমপি কার্যালয়ে যাবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
বিএনপি সূত্র জানায়, তাদের দল এখন ধলপুর মাঠে সমাবেশ করার কথা ভাবছে, অথচ সরকার মিরপুর বাংলা কলেজে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে রাজি রয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ মহানগরীর ধলপুর মাঠ বা অন্য কোনো মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে প্রতিনিধি দলটি ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে কথা বলবেন।
গোয়েন্দাদের হাতে দলের দুই শীর্ষ নেতাকে আটকের বিষয়ে তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করতে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে অনলাইনে বৈঠকে বসেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
এদিকে বিকাল ৩টায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
শুক্রবার ভোরে বিএনপি দাবি করেছে, রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে সাদা পোশাকের পুলিশ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়।
পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুটি অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেন।
ওই বৈঠকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় খুলে দেওয়ার আশ্বাস দেয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দলের প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে।
১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশের মাত্র ২৪ ঘন্টা বাকি থাকায়, সমাবেশস্থল এখনও চূড়ান্ত না হওয়ায় এবং দলের দুই শীর্ষ নেতাকে আটক করায় নির্ধারিত সময়ে সমাবেশ করা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ফৌজদারি অপরাধ না হলে রাজনৈতিক সমাবেশে সহযোগিতা করবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল অবসরে যাচ্ছেন ৩০ অক্টোবর
নয়াপল্টনে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে বিএনপি: ফখরুল
বিএনপি আগামী ১০ ডিসেম্বর পল্টনে সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারা যেভাবে চেয়েছিল সেভাবেই সমাবেশ করবেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সমাবেশ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার উপযুক্ত বিকল্প স্থানের প্রস্তাব দিলে আমরা বিবেচনা করব।’
আরও পড়ুন: বিএনপির কার্যালয়ে বোমাগুলো পুলিশ রেখেছিল: ফখরুল
ফখরুল বলেন, বিনা উসকানিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা করেছে। এমন কাপুরুষোচিত হামলা অকল্পনীয়। পুলিশ অকারণে ব্যাগে বোমা নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকেছে।’
তিনি বলেন, অফিসের আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও নিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঢামেক মর্গে মকবুলের মরদেহ দেখতে ফখরুল
বরিশালে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের হামলা, অভিযান, নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার, হয়রানি, নিহত ও আহতের অভিযোগের প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় নগরীর সদর রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট শাহ্ আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচালে নয়াপল্টনে সংঘর্ষ করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
বিএনপি সাবেক সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন মেবুল, মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মাকসুদুর রহমান মাকসুদ, মহানগর সদস্য এ্যাড.আবুল কালাম আজাদ ও সাইফুল আনাম বিপু, মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কামরুল হাসান রতন, এ্যাড. তারেকুল ইসলাম শাহিন প্রমুখ।
বক্তারা অবিলম্বে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দেয়াসহ শান্তিপূর্ণভাবে ঢাকা সমাবেশ করতে দেয়ার দাবি জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপি কেন নয়াপল্টনে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে চায়, পুলিশ তা খতিয়ে দেখবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিকল্প ভেন্যু না দিলে নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ: আব্বাস
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচালে নয়াপল্টনে সংঘর্ষ করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় দলের আসন্ন বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বাইরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সহিংস সংঘর্ষের পরিকল্পনা করেছে সরকার।
তিনি বলেছেন, আমি নয়াপল্টনে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের অনুমতি নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করি। তারপরও পুলিশ কর্মকর্তারা আমাকে ভেতরে যেতে বাধা দিয়েছেন, যা একটি গণতান্ত্রিক দেশে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
বুধবার সহিংসতার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বাইরে ফুটপাতে বসে ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জনগণ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে: মির্জা ফখরুল
ফখরুল আরও বলেন, ‘এ দিনের সংঘর্ষের পেছনে সরকারের অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিএমপি কমিশনারকে অবিলম্বে এলাকা থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করে এখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছি। আজকের অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য আমরা অবশ্যই সরকারকে দায়ী করব।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশকে অভিযান চালাতে দিয়ে সরকার জঘন্য অপরাধ করেছে। আমাদের পার্টি অফিসে বোমা ছিল কি না তা কেবল পুলিশই বলতে পারবে। আমাদের অফিসে অভিযান চালিয়ে সেখানে বিস্ফোরক রেখে পুলিশ গণতান্ত্রিক নীতিকে ধ্বংস করেছে।’
বিএনপি কর্মীরা বিস্ফোরক ব্যাগ নিয়ে অফিসে প্রবেশ করেছে এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল এ অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে বলেন, পুলিশই ব্যাগ নিয়ে অফিসে প্রবেশ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল, যারা প্রতিনিয়ত মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে আমাদের পার্টি অফিসে যেতে বলেছেন, কোনো সমস্যা হবে না। তার এমন মিথ্যাচার প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ বিশ্বাসঘাতকদের দল।’
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘এই মুহূর্তে সমাবেশ করার কোনো পরিবেশ নেই। বিএনপির পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করতে বৃহস্পতিবার লেকশোর হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করবে বিএনপি।’
এদিকে, ডিএমপি কমিশনার খোন্দকার গোলাম ফারুক পুলিশের পদক্ষেপকে ন্যায্যতা দিয়ে বলেছেন যে তারা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে এবং চাল ও মসুর ডালের বস্তার মধ্যে ককটেল পাওয়া গেছে।
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের স্থান নির্বাচন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। দলের নেতাকর্মীরা প্রায় প্রতিদিনই বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের বাইরে জড়ো হয়ে রাজনৈতিক শোডাউন করছেন।
বুধবার দলীয় কর্মীদের উপস্থিতি বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সাথে বিএনপির রাজনীতির আদর্শিক মিল নেই; ভারত বিশেষ বন্ধু: ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: মির্জা ফখরুল
বিএনপি কেন নয়াপল্টনে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে চায়, পুলিশ তা খতিয়ে দেখবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বিএনপি কেন নয়াপল্টনে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা সমাবেশ করতে চায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা খতিয়ে দেখছে।
ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির উচিত সব নিয়ম-কানুন মেনে তাদের সমাবেশ করা এবং শহরে পাঁচ লাখের বেশি লোক বসার জায়গার অভাব রয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল সমাবেশ করতে পারে এবং সেখানে কোনো বাধা নেই।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেবে কি না, তা পুলিশ কমিশনারের ব্যাপার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, তারা বলেছিল ২৫-৩০ লাখ লোকের জমায়েত হবে। কিন্তু এত লোকের জায়গা কোথায়? এ কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বলেছেন ডিএমপি কমিশনার। কিন্তু বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে নারাজ।’
সরকার বিকল্প স্থান নির্ধারণ না করলে ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছে বিএনপি। বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নিবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পলাতক জঙ্গিদের অবস্থান শিগগিরই খুঁজে বের করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নতুন কর্মসূচি নিয়ে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে তাদের দল নিঃসন্দেহে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে কারও কোনো বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়। কারণ ওইদিন ঢাকায় সমাবেশ করতে হবে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ নতুন করে দুঃশাসন থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখবে।
তিনি বলেন, বর্তমান দানবীয় শাসনকে পরাস্ত করতে এই সমাবেশ থেকে জনগণ আরও নিবিড়ভাবে নতুন কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামবে।
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ভায়োলেন্স অ্যান্ড পলিটিক্স অব ব্লেমিং’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি।
অনুষ্ঠানে ডা. শাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং বর্তমান সরকারের আমলে সহিংসতার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ফখরুল বলেন, তাদের দল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
আরও পড়ুন: জনগণ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে অবশ্যই ক্ষমতা ছাড়তে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, যাতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত হয়।
সরকার অগ্নি সহিংসতার ষড়যন্ত্র করছে
ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে ২০১৪-১৫ সালের আন্দোলনে অগ্নিসন্ত্রাসের শিকারদের সঙ্গে বৈঠক করে নাটক মঞ্চস্থ করেছিলেন এবং সেখানে দোষারোপের রাজনীতি সম্পর্কে ভুল ধারণা দিতে কেঁদেছিলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের প্রচেষ্টা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে জনগণের চলমান স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন বন্ধ করার জন্য তার সরকারের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বিএনপির সন্দেহ জাগিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য পেয়েছি যে প্রায় ২০০টি বাসে আগুন দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সহিংসতা প্রতিরোধের নামে প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু ক্যাডার মোতায়েন করা হবে বলেও কিছু ইঙ্গিত আমরা পেয়েছি। আমরা এ বিষয়ে সতর্ক হয়েছি।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার তাদের সহিংসতা চালানোর পুরনো খেলায় লিপ্ত হয়ে এসব ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করছে।
সরকারকে প্রতিহত করার উপযুক্ত সময়
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের জনগণ জেগে উঠেছে বলে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার এটাই উপযুক্ত সময়।
এটি একটি নির্বাচিত শাসন ব্যবস্থা নয় এবং এতে জনগণের ম্যান্ডেটের অভাব রয়েছে।
এই শাসন নিপীড়ন ও অবিচারের স্টিমরোলার চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৫ বছরে বিএনপির ৬০০ নেতাকর্মী বলপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন এবং এক হাজারেরও বেশি নিহত হয়েছেন এবং অনেকে পঙ্গু ও নিপীড়িত হয়েছেন।
তিনি বলেন, মানুষ এখন ভয়ঙ্কর দানবীয় শাসন থেকে পরিত্রাণ পেতে চায়। আমরা জানি একটি গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা খুবই কঠিন।
কিন্তু এ ধরনের লড়াই করার জন্য আমাদের সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও কৌশল নিয়ে এগোতে হবে।
তিনি বলেন, গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী ‘মিথ্যা’ রাজনৈতিক মামলার মুখোমুখি হয়েছেন।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে দেশ থেকে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছে, ব্যাংকগুলোকে অবনমন এবং মেগা প্রকল্পে লুটপাট করছে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকার বলছে শুধু জনগণকে বিভ্রান্ত করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য কোনো অর্থনৈতিক সংকট নেই।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পর প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে কাউন্টিকে রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য তিনি সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সাথে বিএনপির রাজনীতির আদর্শিক মিল নেই; ভারত বিশেষ বন্ধু: ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: মির্জা ফখরুল
রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার দুটি আদালত।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে তেজগাঁও এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী ট্রাক ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রিজভী আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এ আদেশ দেন।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) আদালতের বেঞ্চ সহকারী আতিকুর রহমান বলেন, অপর দুই আসামি হলেন- খন্দকার এনামুল হক ও কাজী রেজাউল হক।
এদিকে, আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
এদিকে ২০২০ সালের মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সোমবার ঢাকার একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: সব বাধা ডিঙিয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা আব্বাস
আদালতের জেনারেল রেজিস্ট্রার শাখার মতিঝিল থানাধীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহা আলম জানান, সময় আবেদন খারিজ করে এ পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী।৪৫ আসামির মধ্যে ১৩ আসামি আদালতে হাজিরা না দিয়ে সময়ের আবেদন করেন।
মামলা তথ্যানুসারে, ২০২০ সালের ২৪ জুন ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচন বানচাল করতে অভিযুক্তরা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশে মতিঝিল এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীতে একটি গাড়িতে আগুন দেয়।
মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই আতাউর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে ৪২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: যেকোনো মূল্যে ঢাকার জনসভা সফল করব: ফখরুল