আমদানি
আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
ডিমের দাম স্থিতিশীল রাখতে আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, সরকার ৬টি কোম্পানিকে ১ কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর চারটি কোম্পানি ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন পায় এবং প্রতিটি কোম্পানি ১ কোটি ডিম আমদানি করতে পারে।
আরও পড়ুন: আলু, পেঁয়াজ, চিনি, সয়াবিন ও ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে সরকার
ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করছে।
বাংলাদেশ ডিম উৎপাদনকারী সমিতির মতে, চাহিদা মেটাতে দেশে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ মিলিয়ন ডিমের প্রয়োজন হয়। আর বেশিরভাগ ডিমই দেশীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার: বাণিজ্য সচিব
বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ ও বন্দরে মালামাল উঠানামাসহ খালাস প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক আছে।
এদিকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে পড়ায় বন্দরের দুই পাশে প্রবেশের অপেক্ষায় শত শত ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
এসব পণ্যের মধ্যে পচনশীল বিভিন্ন খাদ্যদ্রবসহ শিল্পকারখানার জরুরি কাজে ব্যবহৃত কাঁচামালও রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও যাত্রীরা স্বাভাবিক নিয়মে যাতায়াত করছেন। সকাল থেকে এ পর্যন্ত চার হাজার যাত্রী পারাপার করেছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল বন্দরে মালামাল লোড-আনলোড সহ খালাশ কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিনহা জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
তবে একদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ধাকলে সরকারের ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
আমদানি করা সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ির উপর নির্ভরতা কমাতে হবে বাংলাদেশের: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেছেন, বাংলাদেশকে রিকন্ডিশন্ড সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ি আমদানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে আরও মনোযোগ দিতে হবে, যা দূষণ কমাতেও সাহায্য করবে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে ফেয়ার টেকনোলজি-হুন্দাই কারখানা পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের উচিত আমদানি করা সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ির উপর নির্ভরতা কমানো। দেশীয়ভাবে তৈরি গাড়ি পরিবেশের জন্যও ভালো হবে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, অনেক দেশ ইতোমধ্যে পুরোনো গাড়ি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে এবং বাংলাদেশও একই ধরনের নীতি গ্রহণ করতে পারে।
ফেয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব, ফেয়ার টেকনোলজি লিমিটেডের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুতাসিম দাইয়ান, ডেইলি সান সম্পাদক ও ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিকাব) সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস এবং ডিকাব সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েসসহ আরও অনেকে এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্ল্যান্ট পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ যদি উৎপাদনের ক্ষেত্র প্রসারিত করে, তাহলে দেশে মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।
তিনি দেশে আরও বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য উন্নত কর ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনিয়োগ পরিবেশের আরও উন্নতির ওপর জোর দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ কীভাবে উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে তার একটি অনন্য উদাহরণ এই গাড়ি উৎপাদন কারখানা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করতে সামনের দীর্ঘ যাত্রায় সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের একসঙ্গে অনেক কাজ করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহবুব বলেন, তাদের তরুণ মেধাবীদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে এবং দেশে আরও বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতির সঙ্গে মানসম্পন্ন শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।
তিনি সরকারের কাছ থেকে যে সহায়তা পাচ্ছেন তা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা টাকা চাই না, সরকারের কাছে নীতিগত সহায়তা চাই।’
মাহবুব বলেন, তারা পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টিসহ বাংলাদেশে উৎপাদিত হুন্দাই গাড়ির জন্য সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সারা দেশে আমাদের পরিষেবা কেন্দ্রগুলো সম্প্রসারিত করছি।’
এই বছরের জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে ফেয়ার টেকনোলজি-হুন্দাই কারখানার উদ্বোধনের কথা স্মরণ করে ডিকাব প্রেসিডেন্ট লোটাস বলেন, কারখানার উদ্বোধন নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের রূপকল্প ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে একটি সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ।
বর্তমানে প্ল্যান্টে বেশ কয়েকটি মডেল তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো হলো- ক্রেটা: ১৪৯৭সিসি ৫ সিটার ও ক্রেটা গ্র্যান্ড: ১৪৯৩সিসি, ৭ সিটার।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্ল্যান্টের বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা প্রতি বছর সাত হাজার।
তারা বলেছে, যদিও কোম্পানিটির ৩৫০ জনেরও বেশি কর্মী রয়েছে। বর্তমানে দেশীয় বাজারের দিকে মনোনিবেশ করছে। তবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে তৈরি গাড়ি রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। শোরুমের সংখ্যা বাড়িয়ে ২০টি করা হবে এবং বর্তমান শোরুমের সংখ্যা ছয়টি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও দ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু ব্যবহারের হুমকি কিমের
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দ. কোরিয়ার ‘আরও উদ্যোগ’ চায় বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে দেওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার দুটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে আরও তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রথম প্রস্তাব অনুযায়ী, পেট্রোবাংলা সুইজারল্যান্ডের টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজির একটি কার্গো আমদানি করবে। যার প্রতি ইউনিট এলএনজি ১৩ দশমিক ৭৭ ডলারে মোট ৫৯৫ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা খরচ হবে।
এ ছাড়া, সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড থেকে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি সমন্বিত একটি কার্গো আমদানি করবে পেট্রোবাংলা। যার প্রতি ইউনিট এলএনজি ১৪ দশমিক ৯০ টাকা করে মোট ৬৭৪ দশমিক ৩৫ কোটি টাকায় আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি পেতে ২ কোম্পানির সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করবে সরকার
সিসিজিপি সার আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) মরক্কোর ওসিপি থেকে ১২৯ দশমিক ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন (এমটি) এসপি সার আমদানি করবে।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মাদেন থেকে ২৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করবে বিএডিসি।
সিসিজিপি (১) দোহওয়া, কোরিয়া (২) এসএমইসি ইন্টারন্যঅশনাল প্রাইভেট লিমিটেড অস্ট্রেলিয়া; (৩) প্যান আরব কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স, কুয়েত; (৪) এসএআরএম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড, বাংলাদেশ এবং (৫) এসিই কনসাল্ট-এর যৌথ উদ্যোগে ৭২ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বরিশাল (দিনারেরপুল)-লক্ষীপাশা-দুমকি রোডের পাণ্ডব-পায়রা নদীর উপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ
এলএনজি, রাইস ব্রান অয়েল ও সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক আছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমীর ছুটির কারণে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: এই বছরের জুলাই-আগস্টে আরএমজি রপ্তানি ১২.৪৬% বেড়েছে: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো
এদিকে, উভয় দেশের এই বন্দর এলাকায় পচনশীল পণ্যসহ কয়েক হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক বেনাপোল অতিক্রমের অপেক্ষায় আছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ বলেন, শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
আগস্টে রপ্তানি আয় বেড়ে হয়েছে ৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বন্দরের অভ্যন্তরে সকল কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে উভয় দেশে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজ (বুধবার) জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় এদিন বন্দর দিয়ে ২ দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ভারত ৪০% শুল্ক আরোপ করায় হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল বলেন, ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক বলেন, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বন্দরের অভ্যন্তরে সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কাল থেকে পুনরায় বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দরে সেই মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন সরকারের
দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয় ভারতসহ ৯টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চীন থেকে ২৪০০ টন, মিশর থেকে ৩৯১০ টন, পাকিস্তান থেকে ১১৮২০ টন, কাতার ১১০০ টন, তুরস্ক ২১১০ টন, মিয়ানমার ২০০টন, থাইল্যান্ড ৩৩ টন, নেদারল্যান্ডস ৪টন এবং ইউএই থেকে ৩ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত মোট ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদনের বিপরীতে দেশে এসেছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন।
প্রতিবেশী দেশ ভারত ২০ আগস্ট থেকে পেঁয়াজের উপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপের পর দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
তা ছাড়া শুল্ক আরোপের পর সারাদেশে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: ভারত ৪০% শুল্ক আরোপ করায় হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে
ভারতের শুল্ক আরোপ করায় খুলনার বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
৫দিন পর সিলেটের সব বন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুরু
পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (২১ আগস্ট) থেকে সিলেটের সব স্থলবন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুরু হয়েছে।
এর আগে রবিবার (২০ আগস্ট) বিকালে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে সিলেটের আমদানিকারকদের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ফের আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
জানা যায়, পাথর ও চুনাপাথর আমদানিতে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু দুই ডলার বাড়ানোর প্রতিবাদে গত বুধবার (১৬ আগস্ট) থেকে সিলেট বিভাগের সব স্থলবন্দর ও শুল্কস্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেন আমদানিকারকরা।
সিলেটের বন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলো দিয়ে মূলত বড় পাথর (বোল্ডার) ও চুনাপাথর আমদানি হয়। কয়েকটি শুল্কস্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি হয়। ফলে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় অচল হয়ে পড়ে স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলো। আমদানি বন্ধে বিপাকে পড়েন শ্রমিকেরা। আর সরকারও হারায় রাজস্ব।
আরও পড়ুন: আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিলেট সীমান্ত দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ
এ অবস্থায় রবিবার সিলেটে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আমদানিকারকরা। বৈঠকে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু দুই ডলারের পরিবর্তে ৭৫ সেন্ট বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হন কাস্টমস কর্তকর্তা। এরপর আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার সকাল থেকে যথারীতি আমাদানি শুরু হয়।
সোমবার দুপুরে তামাবিল স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বন্দরে ফিরে এসেছে আগের কর্মচাঞ্চল্য। বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে পাথরবাহী ট্রাক। পাঁচদিন পর কাজে ফিরতে পেরে খুশি শ্রমিকরাও।
তামাবিল চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি সহসভাপতি সানোয়া হোসেন ছেনু বলেন, ‘কাস্টমসের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে চুনাপাথরের ডিউটি (ইম্পোর্ট অ্যাসেসম্যান্ট রেট) সাড়ে ১১ ডলার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১৩ ডলার এবং বড় পাথরের (বোল্ডার) রেট ১১ ডলার বাড়িয়ে ১৩ ডলার করার কথা জানানো হয়েছে। এ কারণে ট্রাকপ্রতি ব্যয় ১২ থেকে ১৩শ’ টাকা বেড়ে যাবে। তাই আমরা আমদানি বন্ধ করেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমদানি বন্ধ হওয়ার পর রবিবার কাস্টমস কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ৭৫ সেন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর আমরা আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত নেই। আজকে (সোমবার) থেকে যথারীতি আমদানি শুরু হয়েছে।’
তামাবিল চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, যে কোনো সিদ্ধান্তই আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া ভালো। হঠাৎ করে কিছু চাপিয়ে দিলে সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনিতেই ব্যবসার অবস্থা খারাপ। তার ওপর টনপ্রতি দুই ডলার করে ডিউটি বাড়িয়ে দেওয়া একেবারে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
তিনি আরও বলেন, তবে শেষ পর্যন্ত কাস্টমস কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় আমরা খুশি। দেশের স্বার্থে আমরাও কিছু ছাড় দিয়েছি।
এ ব্যাপারে কাস্টমসের সিলেট অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার সোলাইমান হোসেন বলেন, অ্যাসেসমেনট ভ্যালু বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে নেওয়া হয়েছিল। তবে ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে এটা পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগের ৮৪ টাকার পরিবর্তে এখন ডলারের মূল্য ১০৯ টাকা। ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণেই শুল্ক বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, সিলেট বিভাগে তামাবিল স্থলবন্দর ছাড়া আরও ১২টি শুল্কস্টেশন রয়েছে। সেগুলো হলো- কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের বাগলি, বড়ছড়া ও চারাগাও এবং ছাতকের ইছামতি ও চেলা স্টেশন।
এগুলো দিয়ে মূলত চুনাপাথর ও বোল্ডার আমদানি হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, আটক ২: নৌপুলিশ
ভারত ৪০% শুল্ক আরোপ করায় হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে
গত শনিবার থেকে হঠাৎ করেই ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন করে ৪০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করে। এরফলে আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। পরে নতুন শুল্ক দেওয়া হলে আমদানি শুরু হয়।
তবে ভারতের এই নতুন শুল্ক আরোপের কারণে পেঁয়াজ আমদানি অনেকটা কমে গেছে। গত রবিবার বন্দরের মোকামে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৪ থেকে ৫৬ টাকায় পাইকারী বিক্রি হয়েছে। আজ সোমবার আমদানি করা পেঁয়াজের দর এখনো পাওয়া যায়নি।
এদিকে গত শনিবার ভারতের এই সিদ্ধান্তের খবরে বন্দরের মোকামে ও খুচরা বাজারে অন্তত কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে শুল্কমুক্তভাবে দেশে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এতদিন ভারত সরকারকে কোনো শুল্ক দিতে হয়নি। এখন পেঁয়াজ আমদানি করতে হলে ৪০ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে। ফলে প্রতি কেজিতে ১০ টাকার উপরে বাড়তি খরচ হবে। যার ফলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে বাংলাদেশি টাকায় ৫০ থেকে ৫৬ টাকা পড়বে। এ কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম আরও বেশি হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের শুল্ক আরোপ করায় খুলনার বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
তিনি আরও জানান, আমদানি করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্তের জন্য আমরা আজ সোমবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করিনি।
যেহেতু আগের এলসির পেঁয়াজ সীমান্তের ওপারে এসে আটকে ছিল। তাই ভারতের রপ্তানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন শুল্ক দিয়ে আমদানি করা হচ্ছে। না হলে প্রচন্ড গরমে পেঁয়াজ নষ্ট হতে পারে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, এটা আমাদের জন্য সতর্ক বার্তা। এখন থেকে সরকারকে ভারতের পাশাপাশি অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক রাখতে হবে। সামনে আরও দাম বাড়বে। ভারত বরাবরই আমাদের সঙ্গে বাণিজ্যের নিয়ম ভঙ্গ করে।
তারা সবকিছুই হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা চাই ভারত সরকার এই শুল্ক প্রত্যাহার করে পেঁয়াজ রপ্তানি স্বাভাবিক রাখবে।
ভারতের হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানিকারক অরিন্দম জানান, ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক বাড়ানোর কথা ভাবছিল। যার ফলে শনিবার পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।
যা গতকাল রবিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে ভারতে পেঁয়াজের দাম অনেক বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
কারণ দীর্ঘ সময় ধরে অত্যধিক গরম থাকার কারণে পেঁয়াজের মান নষ্ট হওয়ায় ভালো মানের পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ফলে সরকার রপ্তানিতে শুল্ক বসিয়ে অভ্যন্তরীণ মজুদ স্বাভাবিক রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারী অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, গতকাল রবিবার ভারতীয় ৭টি ট্রাকে দুইশত এগার মেট্রিকটন এবং গতকাল সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত সতেরটি ট্রাকে চারশত মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আগের চেয়ে এখন কম আমদানি হচ্ছে।
এদিকে শনিবার ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি অমরিতা টিটুস -এর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভারতে অস্বাভাবিকভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। প্রচন্ড গরমের কারণে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটা বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার বেশি
আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিলেট সীমান্ত দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ
কাস্টমস ডিউটি ও আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রতিবাদে সিলেট বিভাগের সব স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার (১৬ আগস্ট) থেকে তারা আমদানি বন্ধ থেক রেখেছেন।
সিলেটের বন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে দিয়ে মূলত বড় পাথর (বোল্ডার) ও চুনাপাথর আমদানি হয়। কয়েকটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি হয়। ফলে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় অচল হয়ে পড়েছে স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলো।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে তামাবিল স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বন্দরে নেই নিত্যদিনকার ব্যস্ততা। ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাকই বাংলাদেশে আসছে না। ফলে স্থবির হয়ে আছে সিলেটের প্রধান এই স্থলবন্দর।
তামাবিল চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী জানিয়েছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির উপর অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু প্রতি মেট্রিক টনে দুই ডলার বৃদ্ধি করে।
এই বাড়তি শুল্ক দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হলে আমদানিকারকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই সিলেটের সবকটি বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনপাথর পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।শুল্ক বাড়ানো নিয়ে কয়েকদিন ধরেই স্থলবন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমদানিকারকদের বাদানুবাদ চলছে।
ব্যবসায়ীরা বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানালেও কাস্টমরস কর্মকর্তারা তাতে রাজি হনননি। আলোচনায় সমাধান না হওয়ায় আমদানি বন্ধ তরে দেন তারা।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে দিন রাত পাথর উত্তোলন, পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা
সুনামগঞ্জের ছাতক লাইমস্টোন ইম্পোর্টার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সুনামগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক সেলিম চৌধুরী বলেন, এমনিতেই ব্যবসার অবস্থা খারাপ। তার ওপর টন প্রতি ২ ডলার করে ডিউটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কাস্টমসের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে চুনাপাথরের ডিউটি (ইম্পোর্ট অ্যাসেসম্যান্ট রেট) সাড়ে ১১ ডলার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১৩ ডলার এবং বড় পাথরের (বোল্ডার) রেট ১১ ডলার বাড়িয়ে ১৩ ডলার করার কথা জানানো হয়েছে। এ কারণে ট্রাক প্রতি ব্যয় ১২ থেকে ১৩শ’ টাকা বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় আমরা বুধবার থেকে সিলেট বিভাগের সব শুল্ক স্টেশন দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বোল্ডার ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রেখেছি। বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমদানি বন্ধ থাকবে।
তবে ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণেই শুল্ক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
কাস্টমসের সিলেট অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার সোলাইমান হোসেন বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে আমদানি বন্ধ করা হয়নি। শুল্কও আমরা বাড়াইনি। এনবিআর থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আগের ৮৪ টাকার পরিবর্তে এখন ডলারের দাম ১০৯ টাকা। ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণেই শুল্ক বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনার আলোকেই মূলত অ্যাসেসম্যান্ট ভ্যালু বাড়ানো হয়েছে। তবে, আমদানিকরা চাইলে এ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
সিলেট বিভাগে তামাবিল স্থলবন্দর ছাড়া আরও ১২টি শুল্কস্টেশন রয়েছে।
সেগুলো হলো কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের বাগলি, বড়ছড়া ও চারাগাও এবং ছাতকের ইছামতি ও চেলা স্টেশন। এগুলো দিয়ে মূলত চুনাপাথর ও বোল্ডার আমদানি হয়।
আরও পড়ুন: পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা: সিলেটে ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট শুরু
পাথর উত্তোলন: সিলেটে সোমবার থেকে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট