বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যে দিয়ে ২০২৩ সালের সমাপ্তি
প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও সমমনা দলগুলোর আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বর্জনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যে দিয়ে ২০২৩ সাল বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।
তবে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে বিরোধীদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আগামী ৭ জানুয়ারি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ।
রাজনৈতিক স্থবিরতার কারণে পুলিশ, বিরোধী দলের কর্মী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ দেখা দিয়েছে।
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বেড়ে যাওয়া সহিংসতায় রাজধানী ঢাকা ও দেশের অন্য অংশে বেশ কয়েকজন নিহত এবং অনেক আহত হয়েছে।
২০২৩ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে মৃত্যুর সংখ্যার সরকারি তথ্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাওয়া যায়নি। তবে বেশ কিছু মানবাধিকার সংস্থা একাধিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সংকলিত তথ্য অনুসারে, এই বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৩ হাজার ৮৭৩ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার মোট ৬৮৯টি ঘটনায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত এবং ৬ হাজার ৭৪৩ জন আহত হয়েছে।
২৮ অক্টোবরের পর থেকে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে, বিশেষ করে বিরোধীদের ডাকা হরতাল ও অবরোধের সময় সরকারি যানবাহন এবং বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
২৮ অক্টোবর বিএনপির ভেস্তে যাওয়া মহাসমাবেশের পর অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করে। প্রথমে রাজধানীতে এবং পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র সহিংসতা শুরু হয়।
বিএনপি কর্মী-পুলিশ সংঘর্ষে ঢাকা, বিশেষ করে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে। এর ফলে একজন পুলিশ সদস্য এবং একজন ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি নেতা নিহত হন।
পুলিশ সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে, কিন্তু তা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বিএনপি মহাসমাবেশ শেষ করতে বাধ্য হয়।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না সরকার: মঈন খান
এর প্রতিবাদে বিএনপি গত ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল ডেকেছিল। এরপর থেকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো দফায় দফায় দেশব্যাপী অবরোধ ও হরতাল শুরু করে।
এসময়ে সহিংসতার অভিযোগে প্রশাসন তাদের বহু নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যার বিরুদ্ধে গত ২৮ অক্টোবর কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগ রয়েছে।
ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ২৮ অক্টোবর বিএনপির নয়াপল্টনে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মোট ৩৬টি মামলা হয়েছে।
মামলায় বিএনপি ও এর সমমনা দলের ১৫৪৪ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া অজ্ঞাতনামা অনেক নেতা-কর্মীকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, রাজধানীর নয়াপল্টনে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের পর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ১৪ দিনে রাজধানী থেকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বিভিন্ন বিরোধী দলের ১ হাজার ৮১৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় সহিংসতা, নাশকতা, মারধর ও পুলিশ সদস্যদের হত্যা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মোট ১৩১টি মামলা করা হয়েছে।
তবে বিএনপি দাবি করেছে, ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ২৩ হাজার ৪৬০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় একজন সাংবাদিকসহ ২৬ জন নিহত এবং ৬ হাজার ৫৭৩ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পরিসংখ্যান বলছে, ২৮ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৬৪টি বাস পোড়ানোর ঘটনায় নগরীর বিভিন্ন থানায় ৬৪টি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ হস্তক্ষেপ করছে: রিজভী
এ ছাড়া ওই সময় নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে জনগণ ও পুলিশের হাতে ১২ জনকে আটক করা হয়। তাদের কেউ কেউ যাত্রীবাহী গাড়িতে উঠে বা নিচ থেকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে পেট্রোল, গান পাউডার, তুলা, পুরাতন কাপড় ইত্যাদি জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ২৯ অক্টোবর ভোরে রাজধানীর ডেমরার পশ্চিম দেল্লা পাকা রোডে দুর্বৃত্তরা অসীম পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিলে নাঈম (২২) নামে এক বাসের হেলপারের মৃত্যু হয় এবং রবিউল ইসলাম নামে আরেক হেলপার দগ্ধ হন। তারা পার্ক করা বাসের ভেতরে ঘুমিয়ে ছিলেন।
শুধু রাজধানীতেই নয়, সারাদেশে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
২৮ অক্টোবর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ২৮৯টি অগ্নিসংযোগের (বেশ কয়েকটি স্থাপনা ও যানবাহনে) ঘটনা ঘটেছে।
এফএসসিডি সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল সূত্র জানায়, এ সময় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মোট ২৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন দেওয়া গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৮০টি বাস, ৪৫টি ট্রাক, ২৩টি কাভার্ড ভ্যান, ৮টি মোটরসাইকেল এবং ২৯টি অন্যান্য যানবাহন, যার মধ্যে কয়েকটি ট্রেনের বগিও রয়েছে।
গত ১৯ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে দুবৃত্তদের অগ্নিসংযোগে এক শিশুসহ কমপক্ষে চারজন নিহত হয়।
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলের ডাকা দেশব্যাপী হরতালের মাত্র এক ঘণ্টা আগে এ ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া ২৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট রেলস্টেশনে পার্কিং করা আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেসের একটি কোচে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম জানান, ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের এসি চেয়ার (বি) বগিতে আগুন লেগে কোচের অন্তত ২৩টি আসন পুড়ে গেছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
আরও পড়ুন: শনিবার পর্যন্ত চলবে বিএনপির গণসংযোগ কর্মসূচি
১০ মাস আগে
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়ার প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে দলটির নেতা-কর্মীরা।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক তোয়াব খানকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন
তারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী; ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান ও এজেডএম জাহিদ হোসেন; চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব; জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী; যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন; হাবিব উন নবী খান সোহেল; প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দলের বিভিন্ন ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রয়াত রাষ্ট্রপতির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সারা দেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
দিনটি উপলক্ষে সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে বিভিন্ন কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এ উপলক্ষে বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দল ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বর্ণাঢ্য র্যালি বের করার কথা রয়েছে। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজধানী মার্কেটের কাছে গিয়ে শেষ হবে।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১৯ দফা সনদ নিয়ে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে তাকে হত্যার পর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
দলটি ৪ বার ক্ষমতায় ছিল এবং ২ বার প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে। ২০০৭ সালে এক-এগারোর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে দলটি।
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে নয়া দিল্লির বাংলাদেশ মিশন
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
১ বছর আগে
হিন্দুদের ব্যাপারে বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের সাম্প্রতিক দাবির নিন্দা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সাম্প্রতিক দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সম্প্রতি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দাবি করেন যে বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুরা ধীরে ধীরে ‘নিরাপত্তার অভাবে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে।’
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা আরও জানিয়েছেন, বাইডেনের কাছে দেওয়া চিঠিতে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থান সম্পর্কে দেওয়া তথ্য ‘ত্রুটিযুক্ত অনুমান’, বিএনপি নেতাদের এধরনের তথ্য সমর্থন করার প্রবণতা, জাতীয় নির্বাচনের আগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
২০১৪ এবং তার আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘুদের ওপর বারংবার হামলার কথা উল্লেখ করে তারা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকেও দায়ী করেছেন।
মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের চিঠির বিরুদ্ধে তার আগের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে এটিকে ‘সত্যের অপলাপ’ বলে অভিহিত করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন: ‘১৯৭৭ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমানের ছত্রছায়ায় দেশের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির নীতিগুলো ধ্বংস হয়ে যায়’।
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জেনারেল জিয়া এবং জেনারেল এরশাদের নেতৃত্বাধীন ধারাবাহিক সরকারগুলো সবাই পাকিস্তানপন্থী সাম্প্রদায়িক শাসনের প্রবর্তন করে এবং সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আলিঙ্গন করে একই পথ ধরে হেঁটেছে।’
দাশগুপ্ত বলেন, মানুষের অবশ্যই ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের অধীনে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় হামলার ঘটনা বিবেচনা করতে হবে।
আরও পড়ুন: আরেকটি সাজানো নির্বাচন করতে সরকার পুলিশ ও জনপ্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে ঘটেছে।
বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা, শিক্ষাবিদ এবং যুদ্ধাপরাধ বিরোধী প্রচারকারীরা সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের অনুমান ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।
তারা আরও বলেছে যে এটি ‘বাংলাদেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি।’
মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা আসার পর থেকে হিন্দু জনসংখ্যা অর্ধেক হয়ে গেছে... শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু খ্রিস্টান জনসংখ্যাকেও নিপীড়ন করেছে; উপাসনালয় জ্বালিয়ে দেওয়া ও লুটপাট করা, যাজকদের কারাগারে বন্দী করা এবং ধর্মান্তরিত করার মাধ্যমে পরিবার ভেঙে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।’
আর্চবিশপ ইমেরিটাস প্যাট্রিক ডি'রোজারিও এর আগে বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে ‘নির্যাতিত’ হিসেবে চিত্রিত করার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।
এই ধরনের বক্তব্যকে ‘ভুল’ বলে অভিহিত করে ঢাকার প্রাক্তন আর্চবিশপ জোর দিয়ে বলেছিলেন যে সরকার ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে।
প্রায় ২০০ বিশিষ্ট বাংলাদেশি আমেরিকানদের একটি দল একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে যে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে।’
বাংলাদেশি আমেরিকানদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চিঠিতে ২০০১ সালের অক্টোবরের জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতাকে উপেক্ষা করা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন জোট হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেসব হামলা করেছিল।’
আরও পড়ুন: ফয়জুল করিমের ওপর হামলার বিষয়ে সিইসি’র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ফখরুলের
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে জামায়াত: গয়েশ্বর
১ বছর আগে
নতুন ভিসা নীতি: রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত হাসের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে, তাদের জন্য ভিসা সীমিত করার নতুন ভিসা নীতি সবার জন্য প্রযোজ্য।’
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই; আমরা অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা চাই না: মোমেন
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
১ বছর আগে
বিএনপি মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করবে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের তৎপরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ করবে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এছাড়া তাদের দলের সকল মহানগর ও জেলা শাখা গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে ঘোষিত পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী একই মাঠে একই দিনে গণমিছিল করবে।
আরও পড়ুন: ২৪ ডিসেম্বর থেকে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের পর এটিই হবে বিএনপির নয়াপল্টনে প্রথম কর্মসূচি।
পুলিশি অভিযানের চারদিন পর রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দেয়া হয়।
এর আগে, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে ৭ ডিসেম্বর দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত ৭ ডিসেম্বর সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দু’টি মামলায় এ্যানি ও সালামসহ ৪৪৫ বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠায়।
এছাড়া গত ৯ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
ওই মামলায় মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান ঢাকার একটি আদালত।
পরে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশি অভিযানের ৪ দিন পর খুলল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়
স্পিকারের কাছে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র জমা
১ বছর আগে
বিকল্প ভেন্যু না দিলে নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ: আব্বাস
বিএনপি জানিয়েছে, সরকার বিকল্প স্থান নির্ধারণ না করলে ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে তারা।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন।
আব্বাস বলেন, ‘আমাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে। আমরা আমাদের কর্মসূচির জন্য নয়াপল্টন বেছে নিয়েছি, এখন সরকারকে বিকল্প ও গ্রহণযোগ্য স্থানের পরামর্শ দিতে হবে। সরকার যদি উপযুক্ত স্থান প্রদান করতে না পারে, যাই ঘটুক না কেন আমরা আমাদের নির্বাচিত স্থানে আমাদের সমাবেশ করব।’
আরও পড়ুন: সব বাধা ডিঙিয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা আব্বাস
এক প্রশ্নের জবাবে আব্বাস বলেন, পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষ থাকবে বলে তারা আশা করেন।
আব্বাস আরও বলেন, ‘তারা বলে আমাদের কর্মসূচি জনদুর্ভোগের কারণ হবে। কিন্তু গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক ও ধানমন্ডির ৩২ নম্বর
সড়ক গত ২০ বছর ধরে অবরুদ্ধ।অবরোধের কারণে এসব এলাকার মানুষ কি কষ্ট পাচ্ছে না?
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছেন, কারণ তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করছেন।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী আনী বলেন, তারা চান মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণ তাদের সমাবেশের বিকল্প স্থান হতে।
এ্যানি বলেছেন, ‘আমরা আজ দুপুর ২টায় পুলিশের সঙ্গে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলাম যখন আমরা পুনর্ব্যক্ত করেছি যে আমরা আমাদের সমাবেশ নয়াপল্টন বা আইডিয়াল স্কুল প্রাঙ্গণে করতে চাই। আমরা বর্তমানে পুলিশের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি’র বরিশাল জন সভাবেশ সফল, সব বন্ধ করে সরকারের কী লাভ হলো: মির্জা আব্বাস
বিএনপি শাসনামলে মির্জা আব্বাসের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল: জয়
১ বছর আগে