১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চুয়াডাঙ্গায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
চুয়াডাঙ্গার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি মৌসুমে জেলায় এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের প্রকোপ কমেনি
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। এদিকে শনিবার তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানান তারা।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও মৃদু হিমেল বাতাসে ঠাণ্ডার মাত্রা কমেনি মোটেও। ফলে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে এ এলাকার মানুষ। তীব্র শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ।
এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারনের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। তীব্র শীতে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না।
এছাড়া শীত থেকে বাঁচতে সরকারি বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা চেয়েছেন এসব সাধারণ মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন জানান, তীব্র শীতে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে প্রচুর রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এছাড়া প্রতিদিন ৩০০-৪০০ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছে। শীতজনিত কারণে নিউমোনিয়া রোগী সংখ্যাও বাড়ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীতের প্রকোপ: দুর্ভোগে ছিন্নমূল মানুষ
শীতের প্রকোপে সিরাজগঞ্জে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী বাড়ছে
১ বছর আগে