সার্বিক নিরাপত্তা
ডোম জনগোষ্ঠীর সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের: নাহিদ ইসলাম
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ডোম জনগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের অনেক বঞ্চনা রয়েছে। আমরা আপনাদের কথা শুনবো, আপনাদের জন্য কাজ করতে চাই। ডোম জনগোষ্ঠীর সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সূত্রাপুরের পোস্তগোলা শ্মশান ঘাটে একতা ডোম সমাজ যুব পূজা কমিটি আয়োজিত দূর্গা পূজা উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ডোম জনগোষ্ঠী যেভাবে আমাকে সন্তান হিসেবে গ্রহণ করলেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। নতুন বাংলাদেশের জন্য আমরা যেভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি সেভাবেই সামনের দিনগুলোতে কাজ করে যাব। বাংলাদেশের মানুষকে সেবা করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে নানা ধর্ম বর্ণের জনগোষ্ঠী রয়েছে। সকলের অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন আমরা দেখছি। গত ৫০ বছরে আমাদের মধ্যে অনেক ভেদাভেদ, বৈষম্য, বঞ্চনা তৈরি হয়েছে। আমরা চাই সামনের দিনগুলোতে সকল বৈষম্য, বঞ্চনা, ভেদাভেদ দূর করে সমমর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে- যেখানে সকলের নাগরিক অধিকার থাকবে।
উপদেষ্টা বলেন, দেশটা আমাদের সকলের, এদেশে আমরা মিলেমিশে থাকব। ফলে আমাদের প্রতিবেশী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের যে জনগোষ্ঠী রয়েছে, তাদের সুবিধা অসুবিধা দেখা আমাদের সকলেরই কর্তব্য বলও তিনি মন্তব্য করেন।
সভায় ডোম জনগোষ্ঠীসহ দেশের সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে উপস্থিত ডোম সম্প্রদায়ের জনগণকে মিষ্টিমুখ করান উপদেষ্টা।
আলোচনা সভায় ডোম জনগোষ্ঠীর স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
২ মাস আগে
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হওয়ায় ইজতেমা মাঠে আগত বিদেশিসহ মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের টঙ্গী ইজতেমা মাঠে প্রস্তুতিমূলক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, হজের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত হিসেবে বিবেচিত ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ২০ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি অতিথিরা আগের বছরের তুলনায় বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইজতেমা মাঠে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রয়োজনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি শুরু
মন্ত্রী বলেন, ‘ইজতেমা আয়োজক কমিটির দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি তাদের মধ্যে বিগত বছরের মতো আর কোনো ভুল বোঝাবুঝি হবে না।’
সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, হাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম ও ইজতেমার আয়োজকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে আখেরি মোনাজাতে শেষ হল ইজতেমা
১ বছর আগে