গৃহবধূ
ভোলায় ঋণের টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
জেলার বোরহাউদ্দিন উপজেলায় এনজিও থেকে ঋণের টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ৪০ বছর বয়সী তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার রাত সাড়ে ৮ টায় বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড স্মৃতি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই রাতেই ভুক্তভোগীর স্বামী তিন জনকে আসামি করে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করলেও সোমবার বিকাল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা: প্রধান আসামি নাসির গ্রেপ্তার
ভুক্তভোগী ও তার স্বামী জানান, রবিবার বিকালে স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণের টাকা আনতে যান ওই নারী। এনজিও থেকে টাকা উত্তোলন করে সন্ধ্যায় স্মৃতিপাড়ার এক আত্মীয়ের বাসায় যান। সেখান থেকে রাত সাড়ে ৮ টায় বাড়ি ফেরার পথে আগে থেকে রাস্তায় ওৎ পেতে থাকা স্থানীয় বখাটে সাহেদ, সুমন ও ইউসুফ ওই নারীকে জোরপূর্বক বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তারা চলে যাওয়ার সময় এনজিও থেকে ঋণ করে আনা ১০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণে’ ব্যর্থ হয়ে শিশুর হাড় ভেঙে দেয়ার অভিযোগ
স্থানীয়দের সহায়তায় ওই নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এরপর তাকে রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভোলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. খালেদা ইসলাম মিতু জানান, ডাক্তারি পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট তারা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবেন।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগের পর সাংবাদিকদের যা বললেন পরীমণি
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল আমিন জানান, পুলিশ রাতেই ভুক্তভোগীর বক্তব্য শুনেছেন। ওই নারীর স্বামী যে লিখিত অভিযোগ করেছেন তার সাথে ক্তভোগীর বক্তব্যের কিছুটা অমিল আছে।
তিনি জানান, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তারা ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ করছেন। সঠিকভাবে অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্তদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
অবশেষে বরিশালে কলেজছাত্রী গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
বগুড়ার গাবতলীর সৈয়দ আহম্মেদ কলেজের একাদশ শ্রেণির নিখোঁজ ছাত্রী নাজনীন আক্তারের লাশ ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই ছাত্রীকে তার স্বামী সাকিব হোসেন হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়ায় বরিশালের বাবুগঞ্জ ও গৌরনদীর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিনদিনের মাথায় লাশ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একটি ধানক্ষেত থেকে নাজনীন আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, ফেসবুকের মাধ্যমে বগুড়া সেনা নিবাসের ঝাড়ুদার সাকিব হোসেনের সাথে বগুড়া সদরের সাবগ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে কলেজ ছাত্রী নাজনীন আক্তারের পরিচয় হয়। ভূয়া ঠিকানা দিয়ে গত বছরের ১ অক্টোবর নাজনীনকে বিয়ে করে সাকিব।
নাজনীনের ভাই আব্দুল আহাদ জানান, গত ২৪ মে বাবার অসুস্থতার কথা বলে নাজনীনকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোরে বাবার ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে সাকিব। ওইদিন স্বামীর দারিদ্রতা নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে নাজনীনকে হত্যা করে লাশটি বাসার পাশে সেফটিক ট্যাকিংতে ফেলে দেয় সে। দুদিন ধরে নাজনীন ও সাকিবের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ২৬ মে বগুড়া সদর থানায় সাধারন ডায়েরি করে তার বাবা। এর সূত্র ধরে সাকিবকে আটক করে পুলিশ। সাকিব তার স্ত্রীকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করায় পর সেই অনুযায়ী গত তিন দিন ধরে বরিশালের দুই উপজেলায় নাজনীনের লাশ উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ।
সাকিব হাওলাদার জানায়, নিজেকে অবস্থা সম্পন্ন পরিবারের ছেলে পরিচয় দিয়ে নাজনীনকে বিয়ে করেছিল সে (সাকিব)। ২৪ মে স্ত্রী নাজনীনকে নিয়ে গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের হরহর গ্রামের ভাড়াটিয়া বাসায় আসে। সেখানে এসে স্ত্রী নাজনিন জানতে পারে তার বাবা আব্দুল করিম পেশায় ভ্যান চালক। আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক। এসময় সাকিবের কাছে নাজনীন এসব কথা গোপন করার কারণ জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সে নাজনীনের গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে নাজনিনকে হত্যা করে।
সোমবার সাকিবের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জের নতুন চরজাহাপুর গ্রামের বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় তল্লাশি চালায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে পার্শ্ববর্তী গৌরনদী থানা পুলিশের সহায়তায় ওই উপজেলার বাটাজোরের হরহর গ্রামে সাকিবের বাবা করিম হাওলাদারের ভাড়া বাসা সহ আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায় তারা। দ্বিতীয় দিনের অভিযানে ভাড়া বাড়ির সেফটিক ট্যাকিং থেকে একটি ওড়না এবং একটি নখের অংশ বিশেষ উদ্ধার হয়। তবে তার লাশ উদ্ধার হয়নি। তৃতীয় দিনের গৌরনদী থানা পুলিশের অভিযানে নাজনীনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বদ্ধ ঘর থেকে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন একটি ধানক্ষেত থেকে বস্তাবন্দি এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের ধারণা সেটা নাজনীনের লাশ। নাজনীনের বাবা-মাকে বরিশালে আসতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন বরিশালের পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।
ঝিনাইদহে ঘর থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় বাবার বাড়ি থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দলিলপুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাথী খাতুন (১৮) সাথী খাতুন ওই গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এ ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী সুজন বিশ্বাস (২০) পলাতক রয়েছেন।
সাথীর মা অমেলা বেগম জানান, ৬ মাস আগে পার্শ্ববর্তী জেলার মাগুরা শহরের ঢালপাড়া গ্রামের বরকত বিশ্বাসের ছেলে সুজন বিশ্বাসের সাথে সাথীর বিয়ে হয়। গত বুধবার জামাই দলিলপুরে আসে। শুক্রবার মেয়ে ও জামাইকে রেখে কুষ্টিয়ার আমলায় স্বামীর কাছে ধান আনতে যান তিনি। সকালে প্রতিবেশীরা খবর দেয় তার মেয়ে মারা গেছে।
তার অভিযোগ, সাথীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে জামাই পালিয়েছে। যাওয়ার সময় মেয়ে জামাই এর কাছে ৯০ হাজার টাকা দিয়ে সাবধানে রাখতে বলেন। ফিরে এসে ঘরে সে টাকা পাননি। মেয়ের কানে রিং ছিল, তা-ও নেই।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরার তালায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় রুপালী বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে তালার জেঠুয়া গ্রামের বাড়ির পাশে একটি আম গাছ থেকে ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রুপালী জেঠুয়া গ্রামের মনিরুজ্জান সরদারের স্ত্রী।
স্থানীয়রা বলছে, গৃহবধু রুপালী বেগমকে দূর্বৃত্তরা হত্যা করে আম গাছে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত ৩ টায় ওই গৃহবধুর দেবর পিলাত সরদার আম কুড়াতে গিয়ে রুপালী বেগমের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। বিষয়টি জানাজানি হলে রাতেই প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পায় লাশ। সকালে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: রুটি বানাতে দেরি, থাপ্পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, গৃহবধুর স্বামী মনিরুজ্জামানের সাথে তার সম্পর্ক ভালো। তাদের মধ্যে কখনো কোনও ঝগড়া-বিবাদ হয়না। তবে পরকিয়ার কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
সুন্দরগঞ্জে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে গণধর্ষণ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের নিভৃত পল্লীতে গভীর রাতে এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষিত গৃহবধূকে অসুস্থ অবস্থায় গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কালির খামারের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম মিয়া কিছুদিন আগে মারা যায়। তার স্ত্রীর দিন কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু তার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে একই এলাকার কয়েক মাস্তানের।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণের পর হত্যার’ অভিযোগ
স্বজনরা আরও জানায়, ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ৩টার দিকে মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যান। এই সুযোগে ওই এলাকার বখাটে মাস্তান সাহেব মিয়া, খুশু মিয়া, লালটু মিয়া, খোরশেদ ও আনারুলসহ ৫ জন গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাপড় গুজে দিয়ে বাঁধের পাশের এক নির্জন স্থানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তারপর অজ্ঞান অবস্থায় তাকে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা।
আরও পড়ুন: কম্বল দেয়ার কথা বলে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
সোমবার সকালে এলাকার লোকজন উলঙ্গ অবস্থায় গৃহবধূকে পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসীকে খবর দেয়। গ্রামবাসী এসে গুরুতর অবস্থায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার রিপন কুমার মুস্তাফি জানান, তার চিকিৎসা চলছে। অবস্থা উন্নতির দিকে।
আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণ চেষ্টা: প্রধান আসামি ৩ দিনের রিমান্ডে
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
পাবনায় বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভার মশুড়িয়া পাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার এক গৃহবধূকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত মুক্তি খাতুন রিতা (২৭) ওই এলাকার বাসিন্দা ও রূপপুর প্রকল্পের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বায়োজিদ সারোয়ারের স্ত্রী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা
হত্যাকাণ্ডের সময় রিতার শাশুড়ি নিলিমা খাতুন বেনুকেও (৫৫) গলা টিপে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সে সময় তার আর্ত চিৎকারে খুনিরা পালিয়ে যায়। তারা সংখ্যায় পাঁচজন ছিল বলে শাশুড়ি নিলিমা খাতুন বেনু উপস্থিত পুলিশ ও সাংবাদিকদের জানান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিলিমা খাতুন বেনু জানান, তার ছেলে বায়োজিদ সারোয়ার রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে চাকরি করেন। সেই সুবাদে বায়োজিদ সারোয়ার বেশ কিছু মানুষকে রূপপুর প্রকল্পে চাকরিও দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সময় পাঁচজন যুবক চাকরির জন্য তার বাড়িতে আসে। বায়োজিদ সেই সময় বাজারে থাকায় ড্রইংরুমে বসিয়ে তাদের আপ্যায়ন করান তার স্ত্রী মুক্তি খাতুন রিতা। বেনু খাতুন সে সময় তার ঘরে কোরআন শরীফ পড়ছিলেন।
তিনি জানান, হঠাৎ হত্যাকারীরা তার ঘরে ঢুকে গলা টিপে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। তিনি চিৎকার শুরু করলে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তিনি পুত্রবধূর ঘরে গিয়ে তার গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
আরও পড়ুন: যশোরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়ি আটক
তিনি বলেন, হত্যাকারীদের মধ্যে একজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন। তার নাম সাব্বির হাসান, বাড়ি নাটোর জেলার বড়াই গ্রাম উপজেলার জোনাইল চর গোবিন্দপুর গ্রামে। বাকিদের মুখে মাস্ক থাকায় তিনি চিনতে পারেননি বলে জানান।
রিতার স্বামী বায়োজিদ সারোয়ার জানান, রূপপুর প্রকল্পে চাকরির জন্য তার মামা বাড়ির এলাকা থেকে কিছু মানুষ বাড়িতে আসবে তাই বাজারে গিয়েছিলেন বাজার করতে। এসে দেখেন তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছে তারা। তিনি কাউকে দেখেননি। তবে তার মায়ের কাছ থেকে সব শুনেছেন বলে জানান।
এলাকাবাসী জানান, হয়তো চাকরির জন্য টাকা-পয়সা লেনদেনের বিষয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: সাভারে বাসচালককে গলাকেটে হত্যা, ভ্যানচালক আটক
পাবনার ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, ওসি আসাদুজ্জামান, পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, অনেকগুলো বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সিআইডি র বিশেষ টিম এসে আলামত সংগ্রহ করার পর লাশ ময়নাতদন্ত করা হবে।
সাতক্ষীরায় মাছের ঘের থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মাছের ঘের থেকে এক গৃহবধূর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে শ্যামনগর উপজেলার মাজাট অনন্তপুর গ্রামের একটি মাছের ঘের থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নুরনাহার বেগম (৪০) ওই গ্রামের আব্দুল গফফার গাজীর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে শ্যামনগর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে অনন্তপুর গ্রামের জনৈক মোশারফ হোসেনের মাছের ঘের হতে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’
জমি নিয়ে বিরোধ: শেরপুরে লাঠির আঘাতে গৃহবধূ নিহত, আটক ৩
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শেরপুরের নকলায় এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নকলা উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের বারারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শারমিন আক্তার (৪০) ওই গ্রামের জহিদুল ইসলাম স্ত্রী।
আরও পড়ুন: মাগুরায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে আহত ১২
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, একখণ্ড জমি নিয়ে নকলার বাবারচর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের সাথে প্রতিপক্ষ বজলু, মিজান ও শোভা মিয়ার সাথে বিবাদ ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। প্রতিপক্ষরা জাহিদুলকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিল। এর সূত্র ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে লাঠির আঘাতে জাহিদুলের স্ত্রী শারমিন আক্তার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে জমি সংক্রান্ত বিরোধে নিহত ১
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান জানান, গৃহবধূ শারমিন আক্তার নিহতের ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ফরিদপুরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
ফরিদপুরের মধুখালীতে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত ঝর্ণা বেগম (২৬) উপজেলার মীরের কাপাষহাটিয়া গ্রামের আলতু শেখের স্ত্রী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়নের মীরের কাপাষহাটিয়া গ্রামের আমজাদ শেখের ছেলে আলতু শেখের (৩০) সাথে একই এলাকার জবেদ আলীর কন্যা ঝর্ণার বেগমের (২৬) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দীর্ঘ ৮ বছর আগে। ওই সময়ই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের দুজনের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এভাবেই চলছিল তাদের সংসার জীবন। তাদের সংসারে ৪ বছরের ছেলে ও ৭ বছরের মেয়ে সন্তান রয়েছে। মাঝে মধ্যেই স্বামী আলতু শেখ স্ত্রী ঝর্ণা বেগমকে মারধর করতো।
আরও পড়ুন: রান্না করতে গিয়ে কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু
জানা গেছে, এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আলতু শেখ ও ঝর্ণা বেগমের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে স্বামী আলতু শেখ স্ত্রী ঝর্ণা বেগমকে বেদম মারপিট করে। বুধবার সকালে বাড়ির সকলে দেখতে পায় ঝর্ণা বেগমের মরদেহ ঘরের মধ্যে পড়ে আছে। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নুরুল ইসলাম জানান, আলতু শেখের সাথে ৮ বছর আগে ঝর্ণা বেগমের প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। স্ত্রীকে মারপিটের কথা শুনেছি। মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে, না কি সে আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি জানতে ওদের বাড়িতে গিয়েছিলাম, কিন্তু বুঝতে পারছি না। সংবাদ পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
ঝর্ণার মামা মো. বিশু খাঁ বলেন, ঝর্ণাকে নির্যাতন করে মেরে মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয়েছে। সে নিজের ইচ্ছায় প্রেম করে আলতুর সাথে ৮ বছর আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। ঝর্ণাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে আলতু ও পরিবারের সদস্যরা জড়িত। এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাই।
এদিকে আলতু শেখের বাড়িতে গিয়ে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের পাওয়া যায়নি। এ কারণে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: রুটি বানাতে দেরি, থাপ্পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
মধুখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রথিন্দ্র নাথ তরফদার জানান, খবর পেয়ে গৃহবধূ ঝর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলেই বোঝা যাবে এটি আত্মহত্যা না হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
স্ত্রীর হাত-পা ভেঙে হাসপাতালে পাঠালেন স্বামী
যৌতুকের দাবিতে মাগুরা সদর উপজেলার আমুড়িয়া গ্রামে এক গৃহবধূর দুই হাত ও একটি পা ভেঙে দিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে এক পাষন্ড স্বামী।