গৃহবধূ
মণিরামপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
যশোরের মণিরামপুর থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। রবিবার উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আমেনা খাতুন (২২) ওই গ্রামের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী।
আমেনার ভাসুর রাজু ইসলাম বলেন, রবিবার সকালে খাওয়ার সময় আরিফ ও তার স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তখন স্বামীকে খাওয়ার ঘরে রেখে নিজ ঘরে যান আমেনা। সেখানে ফ্যানের সঙ্গে দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দীকি বলেন,‘ স্বজনরা জানিয়েছেন, গৃহবধূ খুব জেদী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি।
আরও পড়ুন: মান্দায় মা-ছেলের লাশ উদ্ধার, শাশুড়ি আটক
নবাবগঞ্জে ব্রিজ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
দৌলতপুরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে বজ্রপাতে ফিরোজা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার খলসী ইউনিয়নের রৌহা গ্রামে ভুট্টা খেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতের ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ফিরোজা বেগম (৫৫ ) ওই গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী। তিনি তিন সন্তানের জননী ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে খলসী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল হক বলেন, বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে নিজেদের ভুট্টা খেতে কাজ করতে যান ফিরোজা। হঠাৎ ঝড়, বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়। এতে তার শরীরের বেশকিছু অংশ ঝলসে যায়। আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে বাড়ি নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরুল হাসান বজ্রপাতের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতের সময় করণীয়
কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মা ও মেয়ের মৃত্যু
ফটিকছড়িতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ চাপায় গৃহবধূর মৃত্যু
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে কাঞ্চননগর ইউনিয়নে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ঝরঝরি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রীনা আকতার (৪০) ওই এলাকার শাহ আলমের স্ত্রী।
কাঞ্চননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। রিনা বাড়ির পাশের একটি জায়গা থেকে গরু আনতে গিয়েছিলেন। এসময় একটি গাছ ভেঙে তার মাথার উপরে পড়লে তিনি আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ১, আহত ৭
বরিশালে চাঁদা না পেয়ে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ
বরিশালে বাড়ি নির্মাণে চাঁদা না দেয়ায় ইটের আঘাতে এক নারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সন্ধ্যায় ফিসারী রোডে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আফিয়া খাতুন (৪৫) সাবেক সেনা সদস্য গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী।
নিহতের স্বামী গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ বাড়ি নির্মাণ বাবদ স্থানীয় সন্ত্রাসী মো.মনু চাঁদা দাবি করে আসছিলো। সেই চাঁদা না পেয়ে মনু সন্ধ্যায় আমাকে মারধর করে। পরে একটি ইট দিয়ে আমার স্ত্রীর মাথায় আঘাত করলে আমার স্ত্রী অচেতন হয়ে পরে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভে স্বামীর নির্যাতনের বর্ণনার দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা!
এদিকে কল রিসিভ না করায় অভিযুক্তের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিনি ইউনিটের সহকারি রেজিস্ট্রার শুভ ওঝা বলেন, প্রাথমিক ভাবে আমাদের ধারণা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার মাথায় কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখিনি, তাছাড়া তার উচ্চ রক্তচাপ ছিলো।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় গৃহবধূ হত্যার দায়ে সাবেক স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
সিলেটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেট এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর আখালিয়া এলাকার নোঁয়াপাড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত তাসনিয়া আক্তার সারা (২২) জালালাবাদ থানার কুঁমারগাও এলাকার আলমগীর মিয়ার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: মাগুরায় স্কুলছাত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
আলমগীর মিয়া জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে অনেকক্ষণ তিনি সারাকে মোবাইল ফোনে কল দিলেও সারা রিসিভ করেননি। পরে তিনি সারার ঘরে এসে দেখেন তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার দেহ ঝুলছে। এ সময় স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে জালালাবাদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে নার্সের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মইনুল জাকির বলেন, আলমগীর হোসেন বেশিরভাগ সময় বড় স্ত্রীর কাছে থাকতেন। এ নিয়ে সারা ও তার মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে এটি আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে। নিহতের স্বামীকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
শেরপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
শেরপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহত রূপা আক্তার (২২) একই এলাকার নুর শাহীনের স্ত্রী ও ঝিনাইগাতী আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের বিএ পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ভুট্টাখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৩ বছর আগে শাহীনের সঙ্গে রূপা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই রূপার ওপর নেমে আসে স্বামী-শ্বাশুড়িসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। রূপার স্বামী নুর শাহীন একজন অটোরিকশা চালক। সংসারের হাল ধরতে রূপা নিজেও শ্রমিকের কাজ করতো। পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছিল।
এদিকে, শুক্রবার সকালে গৃহবধূ রূপার একটি ছাগল শাশুড়ি নুরেজা বেগমের কাঁঠাল গাছের একটি চারা খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে বউ-শ্বাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে অভিমানে রূপা আক্তার ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দেয়। খবর পেয়ে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে লেপে মোড়ানো নারী-শিশুর লাশ উদ্ধার
তবে নিহত রূপার বাবা আব্দুল ওয়াহাবের দাবি, রূপা আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. সরোয়ার হোসেন জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। লাশের শরীরে আঘাত বা অন্য কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাগেরহাটে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: আরেক আসামি গ্রেপ্তার
বাগেরহাটে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার এনামুল হাওলাদার (৩৫) মোড়েলগঞ্জ উপজেলার জিলবুনিয়া গ্রামের মুনছুর আলী হাওলাদারের ছেলে। শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, শুক্রবার জিলবুনিয়া গ্রাম থেকে এনামুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মামলার প্রধান আসামি রিয়াজ শিকদারকে (৩৮) কচুয়া উপজেলার বাগমারা এলাকা থেকে র্যাব-৬ গ্রেপ্তার করে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার আল-আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বুধবার মোরেলগঞ্জ থানায় রিয়াজসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হওয়ার পর আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করি।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ১০ জনের এক ডাকাত দল ঘরে ঢুকে ওই নারীকে ধর্ষণ করে এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
গাজীপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীসহ আটক ৩
গাজীপুরের টঙ্গীতে পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ রিপা আক্তার (২৫) টঙ্গী পূর্ব থানার বনমালা এলাকার বাসিন্দা।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সজল জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রিপা আক্তারকে পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রিপা আক্তারকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ভ্যানচালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা, আটক ১
তিনি জানান, এ ঘটনায় পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামী আলামিন (৩০), তার বাবা আবুল কালাম ও ছোট ভাই আলাউদ্দিনকে আটক করেছে। আলামিন স্থানীয় একটি কারখানায় কর্মরত।
এছাড়া নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভুয়া করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট: র্যাবের হাতে আটক ১৪
বাগেরহাটে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে স্বামী ও ছেলেকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির মামলার প্রধান আসামি রিয়াজ শিকদারকে প্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার বিকালে জেলার কচুয়া উপজেলার বাগমারা খেওয়াঘাট থেকে র্যাব খুলনা-৬ এর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা বৃহস্পতিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে সম্পূর্ণ হযেছে। ওই নারী বাগেরহাট মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ২২ ধারায় ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার রিয়াজ শিকদার (৩৮) বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বর্শিবাহ গ্রামের আব্দুল মজিদ শিকদারের ছেলে।
র্যাব খুলনা-৬ এর সদরের কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার আল-আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, গৃহবধূ ধর্ষণ এবং ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরা ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব সদস্যরা ওই গৃহবধূ ধর্ষণ এবং ডাকাতির ঘটনার মুল হোতা রিয়াজ শিকদারের অবস্থান নিশ্চিত হয়। এর পর র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে কচুয়া উপজেলার বাগমারা খেওয়াঘাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব কার্যালয়ে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অপর আসামিদের ধরতে র্যাবের অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: পথ হারিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, আটক ৫
মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধু বাগেরহাট মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ২২ ধারায় ওই রাতের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। আদালতের বিচারক তার ওই বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন। এছাড়া ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে।
ওসি আরও জানান, গৃহবধূ গণধর্ষণ এবং ডাকাতির ঘটনায় আসামিদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। দ্রুত আসামিদের আটক করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শেখ আদনান হোসেন জানান, হাসপাতালের তিন সদস্যের নারী চিকিসকদের মেডিকেল বোর্ড ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পূর্ণ করেছে। ওই মেডিকেল বোর্ড তার বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে এবং নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। পরীক্ষার রিপোর্ট বিশ্লেষণ শেষে তারা রিপোর্ট দেবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গভীর রাতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে স্বামী ও ছেলেকে বেঁধে রেখে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে সংঘদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই গৃবধূর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানোর পর আসামিরা যাওয়ার সময় ঘরে থাকা স্বর্ণলংকার, দুই বস্তা শুকনা সুপারি, শাড়ি কাপড়, নগদ অর্থসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর দিনমজুর স্বামী বুধবার মোড়েলগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে রিয়াজ শিকদারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও আট থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
আরও পড়ুন: বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
সিরাজগঞ্জে দাফনের ৪ মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দাফনের চার মাস সাত দিন পর কবর থেকে গৃহবধূ মরিয়মের (১৯) লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার বিকালে পিবিআই পুলিশ বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমানের উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করে।
নিহত মরিয়ম বেলকুচি উপজেলার তামাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের শামসুল হক মোল্লার মেয়ে।
পিবিআই পুলিশের ইন্সপেক্টর গোলাম কিবরিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,নিহত মরিয়মের সঙ্গে কয়েক বছর আগে একই এলাকার তামাই কুয়েতপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের প্রেম করে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এ নিয়ে তাকে নানারকম নির্যাতনও করা হতো।
আরও পড়ুন: মণিরামপুরে ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
গোলাম কিবরিয়া জানান,গত ১৮ অক্টোবর সকালে স্বামীর ঘর থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয় এবং তার লাশ ময়নাতদন্তের পর ওইদিন বিকালে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। সে আত্নহত্যা করেছে মর্মে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসে।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে তার মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে ১২ ডিসেম্বর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মেয়ের জামাই আব্দুর রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। আদালত এ মামলা শুনানি শেষে পিবিআই পুলিশকে তার লাশ কবর থেকে উত্তোলনের পর আবারও ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ সময় বেলকুচি উপজেলা হাসপাতালের ডা. মো.তারেক আজিজ, বেলকুচি থানার ওসি গোলাম মোস্তফাসহ পিবিআই পুলিশের অনান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
বরিশালে ট্রলারডুবি: ৩ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১