সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দাফনের চার মাস সাত দিন পর কবর থেকে গৃহবধূ মরিয়মের (১৯) লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার বিকালে পিবিআই পুলিশ বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমানের উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করে।
নিহত মরিয়ম বেলকুচি উপজেলার তামাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের শামসুল হক মোল্লার মেয়ে।
পিবিআই পুলিশের ইন্সপেক্টর গোলাম কিবরিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,নিহত মরিয়মের সঙ্গে কয়েক বছর আগে একই এলাকার তামাই কুয়েতপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের প্রেম করে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এ নিয়ে তাকে নানারকম নির্যাতনও করা হতো।
আরও পড়ুন: মণিরামপুরে ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
গোলাম কিবরিয়া জানান,গত ১৮ অক্টোবর সকালে স্বামীর ঘর থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয় এবং তার লাশ ময়নাতদন্তের পর ওইদিন বিকালে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। সে আত্নহত্যা করেছে মর্মে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসে।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে তার মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে ১২ ডিসেম্বর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মেয়ের জামাই আব্দুর রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। আদালত এ মামলা শুনানি শেষে পিবিআই পুলিশকে তার লাশ কবর থেকে উত্তোলনের পর আবারও ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ সময় বেলকুচি উপজেলা হাসপাতালের ডা. মো.তারেক আজিজ, বেলকুচি থানার ওসি গোলাম মোস্তফাসহ পিবিআই পুলিশের অনান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।