মার্কিন কর্মকর্তা
আসন্ন সফরে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন কর্মকর্তা আফরিন আখতার: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বলেছেন, নির্বাচন ও মানবাধিকারসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কলম্বোতে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর (এসসিএ) মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারের সঙ্গে তার ‘খুব ভালো ও ইতিবাচক’ আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মোমেন বলেন, পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ঢাকায় আসবেন।
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, আগামী ১৬-১৮ অক্টোবর এই সফর হতে পারে। সফরের সময় তিনি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করতে পারেন।
আফরিন আখতার নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভুটান ও মালদ্বীপের জন্য দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর (এসসিএ) পাশাপাশি নিরাপত্তা ও ট্রান্সন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের একজন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি।
তিনি মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
চলতি বছরের মে মাসে তিনি ঢাকা সফর করেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
কূটনৈতিক সূত্রটি জানিয়েছে, মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অগ্রাধিকারমূলক দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং নির্বাচনী বিষয়গুলোও আলোচনার জন্য আসতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার কলম্বোতে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ এস জয়শঙ্কর এবং অন্যান্যদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন।
মোমেন বাংলাদেশিদের জন্য মেডিকেল ভিসার বিষয়টি উত্থাপন করেন, যাতে প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আখতার আসছেন মূলত দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে- রোহিঙ্গা সংকট ও বাংলাদেশের নির্বাচন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়।
মোমেন বলেন, সব দল আন্তরিকতা না দেখালে সরকার সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
তিনি আখতারকে আরও জানান, বাংলাদেশিরা আমেরিকানদের মতো নয় এবং বাংলাদেশের লোকেরা খুব উৎসাহ নিয়ে নিজেদের ভোট দেয়।
মোমেন বলেন, ‘এটি এখানে একটি উৎসব। বাংলাদেশে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি চিত্র।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহায়তা দিন: ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশিদের ‘আকাঙ্ক্ষা’র সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কর্মকর্তা
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশের জনগণের ‘আকাঙ্ক্ষা’র সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন দেখতে চায় এবং দেশটি ধারাবাহিকভাবে সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টা করবে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের সমন্বয়ক জন কিরবি বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তাকে সমর্থন করি। এ ব্যাপারে কিছুই বদলায়নি।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি অত্যন্ত প্রশংসনীয়: মার্কিন কংগ্রেসম্যান
তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন করি। আমরা বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছাকে সমর্থন করি।’
আগামী বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার একটি 'অবাধ ও সুষ্ঠু' নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অগ্রগতির প্রশংসায় মার্কিন কংগ্রেসম্যান অ্যান্ড্রু
১ বছর আগে
মার্কিন কর্মকর্তাদের আগমন দু’দেশের ঘনিষ্ঠতর সম্পর্কের বার্তাবাহী: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের আগমন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার বার্তাই বহন করে।
তিনি বলেন, এই আগমনকে আমরা স্বাগত জানাই।
বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তা এসেছেন এবং সহসাই আরও বেশ কয়েকজন আসবেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিককর্মী, আর সন্ত্রাসী গুলিয়ে ফেলেছেন বিএনপি নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। তাদের সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহযোগিতা রয়েছে এবং বিশ্বাঙ্গণেও বহুমাত্রিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা কাজ করি। বাংলাদেশের উন্নয়নেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরাট ভূমিকা রাখছে।
বিএনপির মহাসচিব ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের বলেছেন, ‘কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না’ এ নিয়ে প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের মালিক জনগণ।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় কারা যাবে সেটি নির্ধারণ করার মালিক হচ্ছে জনগণ। বিএনপির যদি কোনো নালিশ থাকে তা দিতে হবে জনগণের কাছে, বিদেশিদের কাছে নয়।
জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যানডস, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে, যুক্তরাজ্যে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেখানে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারাই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে আমাদের দেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নালিশ তারা করতে পারে কিন্তু আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো নালিশ জনগণের কাছে করার জন্য, বিদেশিদের হাতে-পায়ে না ধরার জন্য।
বিএনপির সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকে শুরু হবে এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে নিহত হয়েছিলেন অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। চট্টগ্রাম খুব তাৎপর্যপূর্ণ। তারা তো মাঝে মধ্যেই এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা দেন। তো এক দফা আন্দোলন চট্টগ্রামেই মারা যায় কি না, সেটিই দেখার বিষয়।
ভূ-রাজনীতির কোনো চাপ সরকারের ওপরে আছে কি না এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো চাপে নাই। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে বিএনপি আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা করেছে, সেটি আমরা সামাল দিয়েছি।
সেটি করার সামর্থ্য বিএনপির এখন নাই এবং ভূ-রাজনীতির কারণে আর এ ধরণের আন্দোলন করা তাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়। আমরা জানি কখন কি করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলো বর্জন করেছিলো এবং তাদের দলীয় কর্মী-সমর্থকদের এবং জনগণকেও বর্জন করার, ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলো।
তাদের এতো প্রচারণার মধ্যেও ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। সুতরাং আগামী নির্বাচনেও জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের মূল বিষয় জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কি না। বিএনপি’র অংশগ্রহণ আমরা অবশ্যই স্বাগত জানাই। তবে তারা যদি নাও আসে, আগামী নির্বাচনে জনগণ থাকবে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না: তথ্যমন্ত্রী
জামায়াতের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগাযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: মার্কিন কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে, কারণ তিনি গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে-এর নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। আমি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি।’
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্ত তাদের বাংলাদেশের ইতিহাস পড়া উচিত’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়, তাহলে তার দল দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। ভোট কারচুপির মাধ্যমে আমি কখনোই ক্ষমতায় আসতে চাই না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সবসময় জনগণের খাদ্য ও ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন। প্রথম নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন আইন সংসদে পাস হয় এবং তারপর আইনের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। এর প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’: পুলিশ সংগঠন
১ বছর আগে
মার্কিন কর্মকর্তাদের 'ঘন ঘন সফর' ইতিবাচক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ যেকোন দূরত্ব কমাতে ‘গঠনমূলক ও অত্যন্ত ইতিবাচক’ ভূমিকা রাখে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘আরও অনেক ভালো সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে চায়।
মার্কিন কর্মকর্তাদের 'ঘন ঘন সফর' সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গঠনমূলক সম্পৃক্ততা বাড়ছে।’
সোমবার তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দুই দেশের মধ্যে আরও ভালো সম্পর্কের কিছু কারণ রয়েছে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার মতো একই মূল্যবোধ ও নীতিতে বিশ্বাস করে এবং অনুসরণ করে।
তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) সংক্রান্ত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের কোথাও গ্যাপ বা দুর্বলতা থাকতে পারে। বন্ধুত্বপ্রতীম দেশটি যখন এই সম্পর্কিত সমস্যাগুলো উত্থাপন করে, আমরা তখন সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে পিইউআইসি প্রতিনিধিদলকে কাজ করার আহ্বান মোমেনের
মোমেন বলেন, তারা ডিএসএ-তে কিছু দুর্বলতার কথা জানিয়েছিলেন, তবে ব্যাপকভাবে এটির সংশোধন করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা গঠনমূলক সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সবসময় বলেছেন যে কারও কিছু বলার থাকলে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খুব ইতিবাচক রয়েছি। যদি কিছুর অভাব থাকে, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানাবে। আমরা এটি সমাধান করব।’
মোমেন জানান, তার জানা মতে গত তিন বছরে জোরপূর্বক কোনো গুমের ঘটনা ঘটেনি। যেটিকে তিনি বড় উন্নতি হিসেবে মনে করেন।
তিনি বলেন, ‘হাতের পাঁচটা আঙুল সমান না। কেউ কোনো সমস্যা সৃষ্টি করলে আমরা বষয়টি দেখি।’
মন্ত্রী বলেন, কয়েক বছর ধরে র্যাবের পক্ষ থেকে কোনো বাড়াবাড়ি করা হয়নি।
মোমেন বলেন, এলিট বাহিনী বছরের পর বছর ধরে অনেক পরিপক্কতা তৈরি করেছে এবং তাদের একটি অভ্যন্তরে জবাবদিহি ব্যবস্থা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কোথাও কোনো অন্যায় দেখতে চাই না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিএসওএমআইএ) এবং অ্যাকুইজেশন ক্রস-সার্ভিসিং এগ্রিমেন্ট (এসিএসএ) - দুটি প্রস্তাবিত চুক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘আমাদের প্রধান ফোকাস জনগণের কল্যাণ। কিন্তু আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন রক্ষার জন্য নিরাপত্তাও অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বহুমুখী সম্পর্ক বজায় রাখে এবং শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাসবাদ দমন, জলবায়ু সমস্যা এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করে।
মন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রসীমা আরও সুরক্ষিত রাখতে তারা (মার্কিন) আমাদের সহায়তা করেছে।’
মোমেন ঢাকার সঙ্গে তাদের স্থায়ী অংশীদারিত্বের স্বীকৃতি এবং গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ‘একটি অসাধারণ গল্প’ বলে অভিহিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাম্প্রতিক বক্তব্যের উল্লেখ করেন।
হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের প্রমাণপত্র গ্রহণ করে বাইডেন বলেন, ‘আমি আশা করি আমাদের দেশগুলো গণতান্ত্রিক শাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, শরণার্থী এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবে। আমরা আপনাদের সাফল্যে বিনিয়োগ করছি এবং সকল বাংলাদেশিদের স্বাধীনভাবে অংশগ্রহণ এবং তাদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার ক্ষমতাকে সমর্থন করি।’
মার্কিন কর্মকর্তাদের ঘন ঘন সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, এটি একটি বরং ভালো উন্নয়ন, যে দুই দেশের মধ্যে সম্পৃক্ততা বাড়ছে এবং এটি প্রতিফলিত করে যে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি প্রবাসীকে হত্যা ও বর্ণ বিদ্বেষের নিন্দা জানিয়েছেন মোমেন
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন: মোমেন
১ বছর আগে