পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
ধীরগতির প্রকল্পের তালিকা দিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ সংসদীয় কমিটির
দীর্ঘদিন ধরে চলা ধীরগতির প্রকল্প এবং বারবার সময় বাড়ানো হয়েছে- এমন প্রকল্পের তালিকা দাখিলের জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
একই সঙ্গে সেসব প্রকল্প বাস্তবায়নে কেন দেরি হয়েছে- তার বিস্তারিত কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়কে। এটি পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে সেন্সর ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ রেলপথ সংসদীয় কমিটির
রবিবার সংসদ ভবনে এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
কমিটি চলমান প্রকল্পগুলোর কাজের গতি বাড়াতে প্রক্রিয়া পর্যালোচনা ও উন্নত করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে অনুরোধ করে।
দ্রুত ও গতিশীল উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে সভায় প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমন্বিত অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কোটা ইস্যু এখনও বিচারাধীন থাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে নিয়োগ স্থগিতের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
নিরাপদ খাদ্যে বিশেষ নজরদারির আহ্বান সংসদীয় কমিটির
৫ মাস আগে
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এডিপি বাস্তবায়ন ৮ বছরে সর্বনিম্ন
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন ব্যাপকভাবে কমে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সোমবার প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘এমন বাজে অবস্থা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যায়নি।’
তিনি বলেন, রাজস্ব ঘাটতি এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের বিলম্বিত মুক্তির কারণ হতে পারে এডিপি বাস্তবায়নের দুর্বলতা।
ড. মজিদ এডিপি বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্রকল্পগুলোর গতি আনতে দক্ষ প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ২.৬৩ লাখ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
আইএমইডি'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপিতে বরাদ্দ রয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নে সরকারের ৫৮টি বিভাগ ও মন্ত্রণালয় ব্যয় করেছে ২০ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা।
অর্থাৎ বরাদ্দের বিপরীতে এই ৩ মাসে প্রকল্প বাস্তবায়নের হার সাড়ে ৭ শতাংশ। এটি গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে সরকারি নথিটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৭ শতাংশ। এরপর গত কয়েক বছরে একই সময়ে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ২১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আড়াই লাখ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন
এছাড়া বাকি বছরগুলোতে গড় হার ছিল ৮ শতাংশের ওপরে। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও এই হার ছিল ৮ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫৩টি প্রকল্পের বাস্তবায়নের হার ১ শতাংশেরও কম। এর মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের ১৭টি প্রকল্পের বিপরীতে এডিপি বাস্তবায়ন মাত্র ০ দশমিক ০৭ শতাংশ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৬টি প্রকল্পের বিপরীতে ০ দশমিক ০৫ শতাংশ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৬টি প্রকল্পের বিপরীতে ০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ৬টি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৭টি ও সরকারি কর্ম কমিশনের ১টি প্রকল্পে এক পয়সাও ব্যয় হয়নি।
আরও পড়ুন: ২,০৭,৫৫০ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
১ বছর আগে
২০৪০ সালের মধ্যে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি: পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একটি অফিসিয়াল নথিতে বলা হয়েছে, ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার। যদি বর্তমান ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের বেশি অব্যাহত থাকে এবং প্রবৃদ্ধি আট শতাংশের বেশি হলে ২০৩০ সাল নাগাদ তা অর্জিত হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত বাংলাদেশের অর্থনীতির হালনাগাদ চিত্রে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের
নথিতে বলা হয়েছে, গত ছয় বছরে বাংলাদেশের গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ছয় দশমিক চার শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধি পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে গেলেও ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে।
কিন্তু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আট থেকে ৯ শতাংশে বাড়লে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে তা ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।
কানাডিয়ান অনলাইন প্রকাশনা ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট ২৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরিসংখ্যান প্রকাশ করে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার।
গত বছর প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৩৫তম।
আরও পড়ুন: ক্যান্সার চিকিৎসার উন্নয়নে কাজ করছে সরকার: পরিকল্পনা মন্ত্রী
১ বছর আগে