বয়ান
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব: বয়ানের মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু, বিকালে যৌতুকবিহীন বিয়ে
লাখো মুসল্লির আল্লাহু আকবার ধ্বনি, জিকির আসকার ও তাবলীগের দেশি-বিদেশি মুরুব্বিদের বয়ানের মধ্যে দিয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হচ্ছে।
তাবলিগের লাখো মুসল্লির সঙ্গে অর্থ শতাধিক দেশের ৭ হাজারের বেশি মুসল্লি রয়েছেন ইজতেমা ময়দানে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ফজরের পর বয়ান করেন দিল্লির নিজামুদ্দিনের মাওলানা সাদের ছেলে মাওলানা সাঈদ বিন সাদ। এই বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মুফতি ওসামা ইসলাম।
সকাল দশটার পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আব্দুল আজিম। জোহরের নামাজের পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা শরিফ। আসরের নামাজের পর বয়ান করবেন পাকিস্তানের মাওলানা ওসমান। ওই বয়ানের পরেই অনুষ্ঠিত হবে যৌতুকবিহীন বিয়ে।
আরও পড়ুন: তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
যৌতুকবিহীন ও নগদ দেনমোহর পরিশোধ পূর্বক গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমার মূল বয়ান মঞ্চে।
ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ধ্বনিতে তুরাগ নদী তীরবর্তী বিশাল এলাকা যেন পবিত্র পুণ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। বিরাজ করছে এক অভূতপূর্ব ভাবগম্ভীরময় পরিবেশ।
আগামীকাল (রবিবার) সকালে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভি অনুসারীদের এই পর্ব ও এবারের ইজতেমা শেষ হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু শুক্রবার
ইজতেমা থেকে ফেরার পথে ট্রাক উল্টে নিহত বেড়ে ৩
৯ মাস আগে
ইজতেমা ময়দানে চলছে দ্বিতীয় দিনের বয়ান
লাখো মুসল্লির আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ধ্বনি, জিকির-আসকার ও তাবলীগের দেশি-বিদেশি মুরুব্বিদের বয়ানের মধ্য দিয়ে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হচ্ছে।
তাবলীগের লাখো মুসল্লির সঙ্গে অর্ধ শতাধিক দেশের ২ হাজারের বেশি মুসল্লি রয়েছেন ইজতেমা ময়দানে। ইজতেমার কর্মসূচিতে দ্বিতীয় দিনে চার ওয়াক্ত নামাজ শেষে বয়ান, তালিম যৌতুকবিহীন বিয়ে, তাসকিলে নতুন করে চিল্লায় নাম লেখানো- এসব কর্মসূচি রয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ফজর নামাজের পর বয়ান করেন ভারতের মুম্বাইয়ের মাওলানা আব্দুর রহমান। বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন। যোহর নামাজের পর ভারতের গোধরার মাওলানা ইসমাইল, বাদ আছর মাওলানা জুহাইরুল হাছান ও বাদ মাগরিব মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা বয়ান করবেন।
আরও পড়ুন: ইজতেমায় ডিউটিতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় এএসআই নিহত
আছরের নামাজের পর যৌতুকবিহীন ও নগদ দেনমোহর পরিশোধ পূর্বক গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমার মূল বয়ান মঞ্চে।
ইজতেমায় আরও একজন মুসল্লি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। এ নিয়ে এ পর্বে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ জনে।
ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরলস ভবে কাজ করে যাচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১৫ হাজার সদস্য ময়দানের ভেতরে ও বাইরে কাজ করছেন। সিসিটিভি ও ওয়াচটাওয়ার দিয়ে পুরো ময়দান ও আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন নানা ধরনের সেবামূলক কাজ করছেন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের ইজতেমা শেষ হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু
ইজতেমা প্রাঙ্গণে এ পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু
৯ মাস আগে
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুক্রবার ফজরের নামাজের পর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে।
ফজরের নামাজের পর উর্দু ও আরবি ভাষার মিশ্রণে বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা মোহাম্মদ ওসমান। সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ভাষায় এর তরজমা করেন মুফতি জিয়া বিন কাসেম। দুপুরে জুম্মার নামাজে ইমামতি করবেন দিল্লি নিজামুদ্দীন মারকাজের মাওলানা সাদ কান্দলভির বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্দলভী। মাওলানা সাদ ইজতেমা ময়দানে আসেননি।
ইজতেমায় একজন মুসুল্লি মারা গেছেন। বরগুনার বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম ( ৭৫) বৃহস্পতিবার রাতে অসুস্থ হয়ে নিজ বিছানায় মারা যান।
আরও পড়ুন: ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব: সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ময়দানে কয়েকটি আলাদা আলাদা মজমা (বয়ান প্রোগ্রাম) হয়। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদেরও আলাদা বয়ানের আয়োজন রয়েছে।
জুমার নামাজের পর সংক্ষিপ্ত বয়ান করবেন কাকরাইলের শুরা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। আসরের নামাজের পর বয়ান করবেন মাওলানা সাদের মেঝ ছেলে মাওলানা সাঈদ বিন সাদ কান্দলভী। মাগরিবের পর বয়ান করবেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্দলভী সাহেব।
ইজতেমা ময়দানে পাঁচ হাজারের মতো বিদেশি মুসল্লি এসেছেন। বিদেশিদের তাদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।
এদিকে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা ঘিরে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম। অবজারভেশন টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে প্যান্ডেলের ভেতর ও বাইরে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক গোয়েন্দা সদস্যও রয়েছেন। সড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব
ইজতেমার মুসল্লিদের ভোগান্তি কমাতে জিএমপি’র ট্রাফিক নির্দেশনা জারি
১ বছর আগে