৪০ টাকায় মুরগির মাংস
খুলনায় ৫০ টাকায় গরুর মাংস, ৪০ টাকায় মুরগির মাংস!
‘বাজারে এক কেজি ছাড়া গরুর মাংস বিক্রি করে না। আর এক কেজি কেনার তৌফিক আমাগে নেই। এক কেজি মাংসের দাম ৭০০ টাকার বেশি। যে কারণে আমাগে মতো মানুষের ভাগ্যে মাংস জোটে না। তবে জব্বার স্টোরে মধ্য ও নিম্নবিত্তের প্রয়োজন অনুযায়ী অল্প টাকায় বাজার করা যায়। সর্বনিম্ন ৫০ টাকায় গরুর মাংস কেনা যায় এবং সর্বনিম্ন ৪০ টাকায় মুরগির গোশত পাওয়া যায়। তাই শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এখানে আসছি মাংস কেনার জন্য’- কথাগুলো বলছিলেন, খুলনার লবণচরার অটোস্ট্যান্ড সংলগ্ন মেসার্স জব্বারের মোড়ের মেসার্স জব্বার স্টোরের ক্রেতা লিমা বেগম।
তিনি আরও বলেন, বাজারে সব জিনিসের দাম আগুন। চাল-ডাল-তেল কিনতেই হিমশিম খাচ্ছি। তখন গরুর মাংস কেনার কথা কল্পনাও করা যায় না। কিন্তু আমাগে কথা মাথায় রেখে এ দোকানে এমন ব্যবস্থা করায় আমরা খুবই খুশি।
মেসার্স জব্বার স্টোরের মালিক ইমন হাসান মোস্তফা বলেন, দোকানটি আমার বাবার। এখন আমি পরিচালনা করি। এখানে ৫০, ১০০, ২০০ টাকায় ছোট প্যাকেটে গরুর মাংস পাওয়া যায়। এছাড়া সর্বনিম্ন ৪০ টাকায় মুরগির মাংস পাওয়া যায়। যাতে সাধ্য অনুযায়ী ক্রেতারা কিনতে পারেন। আমার কাছে কোনো ক্রেতা এসে যেন ফিরে না যায়, সেজন্য মাছ, মাংস, সবজি, মসলাসহ সব ধরণের পণ্য রেখেছি।
কেন এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিলেন জানতে চাইলে ইমন বলেন, ‘শুধু ব্যবসা নয়, মানুষের সেবা করার জন্য কাজ করছি। বর্তমান বাজারের যে অবস্থা তাতে মানুষের সুবিধার জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছি। এক কেজি গরুর মাংসের যে দাম, তা অনেকেই কিনতে পারেন না। আবার মুরগি কিংবা মাছ একটির যা ওজন হয় তাও অনেকে কিনতে পারেন না। তাদের সুবিধার জন্য আমি ছোট ছোট প্যাকে যার যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু কেনার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া সামনে ইলিশ ও খাসির মাংস আনার চেষ্টা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার দোকানে পাঁচ টাকায় অনেক জিনিস পাওয়া যায়। গরম মসলা, লবণ, শুকনা মরিচ, চিনি, হলুদের গুঁড়া, ডাল, তেল, জিরা ও ধনিয়ার গুঁড়া পাঁচ টাকায় পাওয়া যায়। গরিব মানুষের সুবিধার জন্য এ ব্যবস্থা।’
ইমন বলেন, ‘যার যেমন লাগে সে তেমন কেনেন। আমার দোকানে এ ব্যবস্থা নতুন। সামনে পাঁচ টাকায় আরও জিনিসপত্র পাওয়া যাবে।’
আরও পড়ুন: এক টাকার রেস্টুরেন্ট!
১ বছর আগে