আদেশ স্থগিত
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃত করে প্রতিবেদন প্রকাশের অভিযোগে রবিবার (১৩ আগস্ট) বহিষ্কৃত ছাত্র ও সংবাদকর্মী ইকবাল মনোয়ারের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে বহিষ্কারের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সময় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সিহাব উদ্দিন খান।
আরও পড়ুন: কুবির হলের ডাইনিংয়ে নেই ভর্তুকি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
আদালতের আদেশের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল স্বাভাবিকভাবে তার একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন বলে জানা গেছে।
গত ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ ফ ম আবদুল মঈনের বক্তব্য বিকৃত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার অভিযোগ উঠে দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার কুমিল্লা প্রতিনিধি ইকবালের বিরুদ্ধে। এর ফলে গত ২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
এর আগে গত ৯ আগস্ট ইকাবলের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। শিক্ষা সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য ও রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, জনসংযোগ কর্মকর্তা ও মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর নোটিশটি পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃত করার কোনো প্রমাণ নেই এবং উপাচার্যের ব্যক্তিগত ক্রোধের কারণে ইকবালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী একটি শৃঙ্খলা বোর্ড থাকার কথা থাকলেও এ ধরনের বোর্ডের অস্তিত্ব নেই। সুতরাং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক জারি করা স্থগিতাদেশ অবৈধ এবং এর এখতিয়ারের বাইরে।
নোটিশে বলা হয়, ইকবাল পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
নোটিশে আরও বলা হয়, প্রতিবেদন নিয়ে ভিসির কোনো সমস্যা থাকলে প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার অধিকার তার আছে, কিন্তু তা না করে উপাচার্য তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: রুমমেটের ফেসবুক পোস্টে মানসিক চাপে কুবি ছাত্রীর আত্মহত্যাচেষ্টা
আদর্শ প্রকাশনীর বইমেলায় স্টল বরাদ্দ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত
অমর একুশে বইমেলায় তিনটি বই স্টলে না রাখার শর্তে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বাংলা একাডেমির আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ। ফলে এবার বইমেলায় স্টল বরাদ্দ পাচ্ছে না এই প্রকাশনীটি।
আদালতে আদর্শ প্রকাশনীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনিক আর হক। বাংলা একাডেমির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিন্টু কুমার মণ্ডল।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি তিনটি বই স্টলে না রাখার শর্তে বাংলা একাডেমিকে স্টল বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই তিনটি বই হচ্ছে- ফাহাম আব্দুস সালামের লেখা ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’, জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ ও ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা।’
আরও পড়ুন: অমর একুশে বইমেলা: স্টল বরাদ্দে হাইকোর্টে রিট আদর্শ প্রকাশনীর
পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বাংলা একাডেমি। সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ওই আবেদনের শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
হাইকোর্টের শুনানিতে ব্যারিস্টার অনিক আর হক বলেন, একটি বইকে কেন্দ্র করে বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীর অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অথচ বইটি কালো তালিকাভুক্ত বা নিষিদ্ধ নয়। আর এই প্রকাশনীর আরও ৬০০ বই রয়েছে। স্টল বরাদ্দ না দিলে এসব বইয়ের লেখকেরা বঞ্চিত হবেন। তাই যদি কোনো বইয়ে বাংলা একাডেমির আপত্তি করে সেটা আমরা না হয় স্টলে রাখব না।
এ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মাহবুব রহমান ২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি করেন। রিটে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সভাপতিসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা-২০২৩ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী