পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন
বাংলাদেশ বৈষম্যহীন বৈশ্বিক ডিজিটাল ব্যবস্থায় আগ্রহী: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ বৈষম্যহীন বৈশ্বিক ডিজিটাল ব্যবস্থা চায়। তাই সরকার গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্টকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্টের সঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সরকারের যে লক্ষ্য তার যেন প্রতিফলন থাকে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব।
তিনি আরও বলেন, একটি দেশের অধিকার রক্ষায় কর্ম, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও জীবন ব্যবস্থার আলোকে ডিজিটাল ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের সুযোগ রয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপির সহযোগিতায় বিআইজিএফ ও বিএনএনআরসি’র উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট: এন ওপেন, ফ্রি, অ্যান্ড সিকিউর ডিজিটাল ফিউচার ফর অল’ এবং ‘সামিট অব দ্য ফিউচার ২০২৪’ -এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ পরামর্শ সভায় সরকার, নাগরিক ও যুব সমাজ, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম, কারিগরি সমাজ ও বেসরকারি খাতের শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানব পাচার ও রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সহযোগিতার আহ্বান পররাষ্ট্র সচিবের
এ সময় প্রযুক্তির সহজপ্রাপ্যতা ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের তাগিদ দেন সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) চেয়ারপারসন হাসানুল হক ইনু।
তিনি বলেন, সারা বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন ও ডিজিটাল রূপান্তরের কম্পনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সঠিক ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল রূপান্তরকে নিরাপদ করতে হবে।
বৈশ্বিক সহযোগিতা ও কার্যকর বহুপক্ষীয় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আগামী ২৫ বছরে বিশ্বকে কোথায় দেখতে চান ‘আওয়ার কমন অ্যাজেন্ডা’ রিপোর্টের মাধ্যমে জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর অনুরোধে সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের নিজের একটি ভিশন তুলে ধরা হয়।
১২টি অ্যাজেন্ডা নিয়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি এই রিপোর্টটি প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ভারতে এআই প্রযুক্তি নিয়ে মাইক্রোসফটের নতুন কৌশল
১২টি অ্যাজেন্ডার মধ্যে মধ্যে অন্যতম ‘গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট’। প্রথমবারের মতো সকলের জন্য একটি উন্মুক্ত, অবাধ ও নিরাপদ ডিজিটাল ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে সামিট অব দ্য ফিউচারের মাধ্যমে পাস হতে যাচ্ছে এই গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট ।
এ উদ্দেশ্যে আগামী ২২-২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘সামিট অব দ্য ফিউচার ২০২৪’।
অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় সেশনের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান-বিআইডিএস’র গবেষণা ফেলো তাহরীন তাহরিমা চৌধুরী । এতে আলোচক হিসেবে ছিলেন ফরেন ইনভেস্টর’স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) নির্বাহী পরিচালক টি আই এম নুরুল কবির, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফাইয়াজ মুরশিদ কাজি। দ্বিতীয় সেশনটি সঞ্চালনা করেন টিভি টুডে’র প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জরুল আহসান বুলবুল।
ফিউচার অব দ্য সামিট নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি, ভূমিকা, ও কর্ম পরিকল্পনা কী হবে তা তুলে ধরেন আলোচকরা।
সমাপনীতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিল-উর-রহমান ও সম্মানিত অতিথি ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আইসিটি ডিভিশনের অধীনে এইটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী।
৭ মাস আগে
মানব পাচার ও রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সহযোগিতার আহ্বান পররাষ্ট্র সচিবের
মানব পাচার সমস্যার টেকসই সমাধানে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ‘বালি প্রসেস’-এর কো-চেয়ার রাষ্ট্রদূত লিন বেল (অস্ট্রেলিয়া) ও রাষ্ট্রদূত ত্রি থারিয়াতের (ইন্দোনেশিয়া) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মানব পাচারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি তুলে ধরেন। পাশাপাশি মানব পাচারের কারণগুলো তুলে ধরে সেগুলো রোধ করার ক্ষেত্রে অসুবিধা ও বাধার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ নিচ্ছে বিবদমান পক্ষগুলো: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব
পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সমাজে পুনঃএকত্রীকরণের জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে গৃহীত কর্মসূচি ও কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন।
মানব পাচার রোধকে জটিল ও চ্যালেঞ্জিং কাজ হিসেবে উল্লেখ করে এই সমস্যার সমাধানে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব দেন বালি প্রসেস কো-চেয়াররা।
আরও পড়ুন: মানব পাচার প্রতিরোধে লক্ষ্যভিত্তিক সচেতনতা ও বিস্তৃত প্রচেষ্টা 'অত্যাবশ্যক': ব্লিঙ্কেন
এছাড়াও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের দক্ষতা ও সক্ষমতার উন্নয়ন এবং ‘বালি প্রসেস’ এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের মাধ্যমে মানব পাচার নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি জোরদার করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এছাড়াও বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে অসহায়ত্ব ও হতাশার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের অনিয়মিত স্থানান্তর বেড়ে যাওয়ায় কো-চেয়াররা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক-এডিবির ঋণ নয়, অনুদান চাই: টিআইবি
এ সময় রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে ‘বালি প্রসেস’-এর সদস্য দেশগুলোকে আহ্বান জানান পররাষ্ট্র সচিব।
তিনি আরও বলেন, এই দীর্ঘায়িত সংকট বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছে এবং এটি সামগ্রিকভাবে এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ অব্যাহত রাখছে যুক্তরাজ্য
৮ মাস আগে
খাদ্য, জ্বালানি ও রোহিঙ্গা ইস্যুর মতো বিষয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে আলোচনা করবে ঢাকা
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের নির্ধারিত ৭ সেপ্টেম্বরের বাংলাদেশ সফরে উভয় দেশ খাদ্য, সার, জ্বালানি ও রোহিঙ্গা সংকটের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ইউক্রেন সংকটের পর থেকে সারা বিশ্বে যে জটিল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের যে সমস্যাগুলো আছে তা আমরা তুলে ধরব।’
রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য রাশিয়াকে অনুরোধ করতে পারে।
মঙ্গলবার ঢাকায় রুশ দূতাবাস জানিয়েছে, উভয় দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মতবিনিময় করবে।
আরও পড়ুন: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে মোমেনের বৈঠক ৭ সেপ্টেম্বর
এর আগে গত বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সফরকালে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যু উত্থাপন করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যেদিন এখানে আসবেন সেদিন আমাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। আমাদের অনেক দ্বিপক্ষীয় বিষয় আলোচনা করার আছে। আমাদের রোহিঙ্গা ইস্যুও আছে।’
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে জানান তিনি।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর শেষে ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
মূলত ২৪ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত আইওআরএ (ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন) কাউন্সিলের ২২তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে ল্যাভরভের গত বছরের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সফরটি বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইইউ’র সঙ্গে সংযুক্ত নয়: রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ টেলিফোনে কথা বলেন ও উভয় দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন এবং এই সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
টেলিফোনে আলাপকালে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সময় জটিলতার কারণে ঢাকায় আসতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং শিগগিরই সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসারে, মোমেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতার জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: পুতিন-শি জিনপিং বৈঠক, বিচ্ছিন্ন রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য রাজনৈতিক উৎসাহ
১ বছর আগে
ঢাকায় চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং
চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য দুই দিনের সরকারি সফরে শুক্রবার রাতে ঢাকায় এসেছেন।
ঢাকায় অবস্থানকালে তিনি পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় শাখার মহাপরিচালক তৌফিক হাসান রাত ১১টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীনা ভাইস মিনিস্টারকে অভ্যর্থনা জানান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনও উপস্থিত ছিলেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনের ভাইস মিনিস্টার শুক্রবার ঢাকা আসছেন
ঢাকা সফর শেষ করার আগে রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
সম্প্রতি, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের উচিত সহযোগিতার জন্য 'কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করা' এবং নতুন প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণ করা।
তিনি বলেন, ‘গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ এবং গ্লোবাল সিভিলাইজেশন ইনিশিয়েটিভের আওতায় সহযোগিতার সুযোগ অন্বেষণ অব্যাহত রাখতে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’
বিশেষ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা বাংলাদেশে শিল্পের উন্নয়ন ও ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করতে এবং 'মেইড ইন বাংলাদেশ' এর গুণগত মান ও প্রতিযোগিতার উন্নতি করতে ইচ্ছুক।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন তরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা করছে’ চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
১ বছর আগে
‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ সেবা প্রত্যাহারে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, চার দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে 'অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট' সেবা প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।
মঙ্গলবার এ বিষয়টিকে একটি প্রোটোকল সম্পর্কিত ইস্যু উল্লেখ করে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তা মনে করি না।’
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতরা অতিরিক্ত পুলিশ প্রোটোকল পেতেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জড়িত।
তিনি আরও বলেন, চার দেশের রাষ্ট্রদূতের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে না, কারণ সরকার বিদেশি দূত ও মিশনের জন্য নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রেখেছে।
আরও পড়ুন: সরকার বিদেশি মিশনে আনসারদের মাধ্যমে বিকল্প সুবিধা দেবে: পররাষ্ট্র সচিব
১ বছর আগে
সরকার বিদেশি মিশনে আনসারদের মাধ্যমে বিকল্প সুবিধা দেবে: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, চার কূটনীতিকের জন্য 'অতিরিক্ত নিরাপত্তা এসকর্ট' প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ায় বিকল্প হিসেবে সরকার ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি মিশনগুলোতে আধাসামরিক সহায়ক বাহিনী আনসারের সেবা দেবে।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তারা কি ধরনের নিরাপত্তা সুবিধা দিতে পারবে তা জানতে এবং এই সেবা নিতে ইচ্ছুক মিশনগুলোর সঙ্গে যাতে সংযোগ স্থাপন করতে পারে সে বিষয়ে তারা বুধবার আনসার মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আনসারের সঙ্গে কথা বলব এবং মিশনগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব।’ অতিরিক্ত এসকর্ট প্রধানত ট্র্যাফিক ক্লিয়ারেন্সের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় স্বাগতিক দেশ হিসেবে সরকার দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত এবং বিদেশি মিশন ও তাদের কর্মীদের জন্য নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
মোমেন বলেন, তারা দেশে কোনো নিরাপত্তা ঘাটতি ও জঙ্গিবাদ দেখছেন না এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে পুলিশ কর্মীদের অভাব বা সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
কূটনীতিকদের গাড়িতে পতাকা ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি এমন একটি বিষয় যা মূলত ব্যক্তির বিবেচনার ওপর নির্ভর করে এবং তিনি মনে করেন যে কূটনীতিকরা কোথায় পতাকা ব্যবহার করবেন বা করবেন না তা তারা বুঝবেন।
কূটনীতিক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মোমেন বলেন, নিউইয়র্কে থাকার সময় পতাকা ব্যবহারের কোনো ব্যবস্থা ছিল না, কিন্তু অনেক দেশেই রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময় পতাকা ব্যবহার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যদি কোনো মার্কেটে বা কোনো সহকর্মীর ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে যাই তবে আমি সেই সময় পতাকাটি ব্যবহার করব না। এটা ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে।’
এর আগে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা (বিদেশি মিশনগুলো) চাইলে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে তা পেতে পারে। আমরা করদাতাদের টাকা দিয়ে এই অতিরিক্ত (নিরাপত্তা) এসকর্ট সার্ভিস দেব না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে কোনো সরকারই এ ধরনের অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা দেয় না।’
মন্ত্রী বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি হয়নি যে এ ধরনের সেবা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: স্বাগতিক দেশকে অবশ্যই কূটনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে: মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে তাদের কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল ১৫ মে (মার্কিন সময়) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমি মার্কিন দূতাবাস বা এর কর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশদ বিবরণে কথা বলতে চাচ্ছি না।’ তবে কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে, যে কোনও দেশকে অবশ্যই সব কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণ ও এর কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলতে হবে এবং কর্মীদের ওপর কোনও আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য কার্যকর সব পদক্ষেপ নিতে হবে।
ঢাকায় মার্কিন ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতসহ বেশ কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিককে অতিরিক্ত নিরাপত্তা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্যাটেল এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী নির্বিশেষে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ক্ষমতায়নের আহ্বান মাসুদ বিন মোমেনের
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে একটি উন্নয়নের রোল মডেল দেশে উত্তরণের অভিযাত্রায় আমাদের প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ২০২৩ সালের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংলাপের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ‘উন্নয়নের এজেন্ট হিসেবে প্রবাসী, অভিবাসী ও বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য প্রদানকালে এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র সচিব।
অভিবাসন ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন নীতির কথা উল্লেখ করে বহির্বিশ্ব থেকে দেশের অভ্যন্তরে আর্থিক প্রবাহ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশেষ করে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে প্রবাসীদের সম্পৃক্ত করার ওপর জোর প্রদান করেন পররাষ্ট্র সচিব মোমেন। এক্ষেত্রে তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের সফল অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বিদেশের মাটিতে নিজ দেশের পণ্যের অন্যতম ভোক্তা হিসেবে প্রবাসীরা রপ্তানি বৃদ্ধি ও রপ্তানি বৈচিত্র্য আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক মডেল তৈরিতে অবদান রাখে এবং নিজ দেশে তাদের পরিবার ও পরিচালিত ব্যবসায়ে অর্থ প্রেরণ করে সেখানকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে তরান্বিত করে।
স্বাগতিক ও উৎস উভয় দেশের ক্ষেত্রেই তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষ প্রবাসীদের অপেক্ষাকৃত অধিকতর অবদানের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব নীতি-নির্ধারকদেরকে তাদের স্বাগতিক দেশের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নীতি প্রনয়নে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্তি করার সুপারিশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব ব্যাপক পরিসরে বৃদ্ধির আশাবাদ
তিনি প্রবাসীদের ক্ষমতায়নে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক মডেল উদ্ভাবন করতে এবং বিশেষত আইসিটি শিক্ষার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা উন্নয়নে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের একটি রূপান্তরমূলক সমাধান হিসেবে 'জিরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন এবং তাতে বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি তার বক্তব্যে ২০২২ সালে প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করাসহ জিরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন এবং ২০৩০ সালের উন্নয়ন কর্মসূচিতে উল্লিখিত জিরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য অর্জনে এতদসংক্রান্ত শিক্ষার প্রসার, সচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যবসায়িক নীতিতে উদ্ভাবন এবং আচরণগত পরিবর্তনের ওপর জোর প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: আব্দুল মোমেনকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
১ বছর আগে