কালবৈশাখী ঝড়
ফেনীতে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বৃষ্টিপাতের সর্বোচ্চ রেকর্ড
ফেনীতে চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরচাপায় ছেলেসহ অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু
তিনি বলেন, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জেলায় ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
তিনি বলেন, সারাদিন আকাশ মেঘলা ছিল। রাতেও বৃষ্টি বা কালবৈশাখীর আশঙ্কা রয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা উপড়ে ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লালপোল অংশে মহাসড়কের পাশের কয়েকটি স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। মহাসড়কের এ অংশে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
তিনি বলেন, প্রথমে স্থানীয়রা ও পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে মহাসড়ক থেকে গাছ কেটে সরানোর পর সড়কে চলাচল স্বাভাবিক হয়। ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের সামনে সড়কে গাছ ভেঙে পড়ায় ফেনীর সঙ্গে ছাগলনাইয়ার সড়ক যোগাযোগ প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
এদিকে গত কয়েক দিনের গরমের পর বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি দেখা গেছে। তবে বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। মাঠের ফসল ঘরে তোলা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন কৃষক।
পরশুরাম উপজেলার বীরচন্দ্র নগর গ্রামের কৃষক আজহারুল হক বলেন, মাঠের বোরো ধান ঘরে তোলার ঠিক আগ মুহূর্তে এমন বৃষ্টি চিন্তায় ফেলেছে। ভালো ফলন হলেও ফসল বাড়ি আনতে পারব কি না জানি না। বৃষ্টিতে এখনই জমিতে পানি জমে গেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে শিলাবৃষ্টি-কালবৈশাখীর তাণ্ডব
৬ মাস আগে
কচুয়ায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়, লন্ডভন্ড অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি
চাঁদপুরের কচুয়ায় তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। এতে লন্ডভন্ড হয়েছে বিভিন্ন ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। এছাড়া ঝড়ে ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ঝড়ের স্থায়িত্ব কম হলেও কোথাও কোথাও বাতাসের বেগে ঘরবাড়ির ক্ষতির পাশাপাশি শতশত গাছপালা উপড়ে পড়েছে এবং ঘরের চাল উড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে শার্শার আম চাষীরা
রবিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ সদর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নের গ্রামের উপর দিয়ে এই কালবৈশাখী ঝড় ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে সবকিছু লন্ডভন্ডসহ অনেকের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। শুধু তাই নয়, ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর স্বস্তি
৭ মাস আগে
ফরিদপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় কিশোর নিহত
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় এক কিশোর কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে পৌরসভার পাগলের আস্তানা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আশরাফুল বিশ্বাস (১৪) পৌরসদরের বাকাইল গ্রামের বিশ্বাস পাড়ার সালাউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে কালবৈশাখীর আঘাতে নিহত ১
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আশরাফুল বিশ্বাস তার চায়ের দোকানে আসার পথে বাকাইল গ্রামের পাগলের আস্তানা এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে। এসময় তার ওপর রাস্তার গাছ ভেঙে পড়লে সে মারাত্মক আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ফরিদপুর হাসপাতালে যাওয়ার পথে কানাইপুর বাজার নামক স্থানে পৌঁছালে রাতেই তার মৃত্যু হয়।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু তাহের শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে আশরাফুল বিশ্বাসের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আশরাফুল বিশ্বাসের চায়ের দোকান ছিল। ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়লে ওই গাছের নিচে চাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ চাপায় গৃহবধূর মৃত্যু
ভুরুঙ্গামারীতে কালবৈশাখীর তান্ডবে দুই শতাধিক বসতবাড়ি লন্ডভন্ড
১ বছর আগে