সেনা মোতায়েন
সেনা মোতায়েনের নীতিগত অনুমোদন রাষ্ট্রপতির: ইসি সচিব
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা মোতায়েনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তবে কবে থেকে সেনা মোতায়েন করা হবে সে বিষয়ে পরবর্তী আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম আজ সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ইসি সচিব বলেন, বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বেলা ১১টায় সিইসি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এর বিষয়বস্তু ছিল ভোটে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সহায়তাগ্রহণ সম্পর্কিত অনুরোধ।
সংবিধানের ১২০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সিইসি সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতির কাছে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য অনুরোধ করেছেন বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বিষয়টি শুনে আশ্বাস দিয়েছেন যে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগির সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।
আরও পড়ুন: ইসির আপিল শুনানি শেষে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২৭৫ প্রার্থী
৩৩৮ ওসি ও ২০৫ জন ইউএনওর বদলির প্রস্তাবে ইসির অনুমোদন
১ বছর আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর অস্থিরতা থামাতে সেনা মোতায়েন
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আদালতের কক্ষ থেকে টেনে নিয়ে গ্রেপ্তার, দেশজুড়ে সহিংসতার সূত্রপাত এবং তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর – সার্বিক দিক বিবেচনায় দেশটির সরকার সহিংস এলাকাগুলোতে বুধবার সামরিক বাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছে।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ইমরান খানের সমর্থকদের অস্থিরতা 'সংবেদনশীল সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করেছে', যার ফলে তিনি রাজধানী ইসলামাবাদ, পাঞ্জাবের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অস্থিতিশীল অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছেন।
মঙ্গলবার ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর ইসলামাবাদ ও অন্যান্য বড় শহরগুলোতে জনতা রাস্তা অবরোধ করে, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং পুলিশের চেকপয়েন্ট ও সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। বুধবার বিক্ষোভকারীরা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারের একটি রেডিও স্টেশনে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: ৮ দিনের রিমান্ডে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর শরিফ বলেন, ‘পাকিস্তানের জনগণ এ ধরনের দৃশ্য কখনও দেখেনি। এমনকি রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স থেকে বের করে আনা হয় এবং অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।’
এ ধরনের হামলাকে 'ক্ষমার অযোগ্য' আখ্যায়িত করে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সহিংসতায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
শরিফ বলেন, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কারণে খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এই অভিযোগগুলোর সমর্থনে প্রমাণ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের গ্রেপ্তার: পাকিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা
১ বছর আগে