পরিবেশ
পরিবেশের সঙ্গে উন্নয়নের ভারসাম্য বজায় রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ ও উন্নয়নের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। অন্যথায় উন্নয়ন টেকসই হতে পারে না।’
রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষ মেলা ও বৃক্ষরোপণ অভিযান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
‘প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টেকসই জীবনযাপন’ এর ওপর জোর দিয়ে এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো- ‘শুধু একটাই পৃথিবী’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের পথে সবাইকে প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধান গ্রহণ করতে হবে। ‘এটি অবিলম্বে প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীতে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পে একটি শর্ত পূরণ করতে হবে: প্রতিটি গাছ কাটার বিপরীতে কমপক্ষে পাঁচটি গাছ লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির জন্য উন্নয়ন প্রয়োজন। তবে উন্নয়ন অবশ্যই প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে ন্যায়সঙ্গতভাবে ভারসাম্যপূর্ণ হতে হবে।
সরকার এলোমেলো শিল্পায়ন রোধ এবং আবাদি জমি সংরক্ষণের জন্য সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এসব প্রকল্পে ভূগর্ভস্থ পানি সংরক্ষণের জন্য বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশবাসীর জন্য দোয়া করুন, হজযাত্রীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব খাদ্যশস্যের ঘাটতির ঝুঁকির মধ্যে থাকায় এক ইঞ্চি আবাদি জমি অনাবাদি না রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জমি উর্বর এবং আমাদের জনবল আছে। আমাদের নিজেদের ফসল উৎপাদন করতে হবে, আমাদের যা প্রয়োজন তাই উৎপাদন করতে হবে। আমাদের অন্যের ওপর নির্ভরতা ত্যাগ করতে হবে।’
তিনি বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জনবল ২৬৫ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ১৩৩ করা হয়েছে। ৫০টি জেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় একটি করে কার্যালয় স্থাপন করা হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় বিষয়ক কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ স্বাগত বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: প্রটোকল বজায় রেখে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
পরিবেশ রক্ষায় সরকারি কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রদর্শন করা হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পরিবেশমন্ত্রী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য বঙ্গবন্ধু পুরস্কার এবং জাতীয় পরিবেশ পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেন।
শেরে বাংলা নগরে জাতীয় পরিবেশ মেলা ও জাতীয় বৃক্ষমেলা-২০২২ এরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বন্যার সময় খাবার পানি পরিশোধিত করার উপায়
অতিবৃষ্টি ও দুর্যোগপ্রবণ মৌসুমগুলোতে বন্যা একটি স্বাভাবিক বিষয়। আর বাংলাদেশে প্রতি বছর এই দুর্যোগটি রীতিমত মহামারির আকার ধারণ করে। ঘরবাড়ি, কৃষিজমি, শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগুলো পানি দূষণের শিকার হয়। বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান, জ্বালানি, ব্যাকটেরিয়ার মত দূষকগুলো বন্যার পানির সঙ্গে খুব বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থাগুলো কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্যার দূষিত পানিতে সম্পূর্ণরূপে প্লাবিত হয়ে থাকে। তাই এই সময়টিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবার পানি পরিশোধিত করার বিষয়টি আবশ্যক হয়ে দাঁড়ায়। আজকের নিবন্ধে আলোচনা বিষয় হচ্ছে খাবার পানির বিশুদ্ধকরণের নানা উপায় নিয়ে।
দূষিত পানি পান করার পরিণতি
দূষিত পানি ও দুর্বল পয়োঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা কলেরা, ডায়রিয়া, আমাশয়, হেপাটাইটিস-এ, টাইফয়েড ও পোলিওর মতো রোগের সংক্রমণ ঘটায়। অপর্যাপ্ত বা অনুপযুক্ত খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থাগুলো এ সময় স্বাস্থ্যহানীকর রোগ জীবাণুর উৎসে পরিণত হয়। বাড়ি-ঘর ও হাসপাতালগুলোতে রোগী ও সেবা দানকারী উভয়েই সংক্রমিত এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে একে অপরের জন্য ঝুঁকি হিসেবে কাজ করে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবার ঘাটতি থাকলে বিপদ আরও বাড়তে থাকে।
যেসব পোকামাকড় পানিতে বাস করে বা বংশবিস্তার করে তারা ডেঙ্গু জ্বরের মতো রোগ বহন করে। এই পোকামাকড়গুলো যে কোনো স্থানে জমে থাকা পানির মধ্যে বংশবৃদ্ধি করে।
পানিতে দূষিত পদার্থের উপস্থিতি অন্ত্র ও পাকস্থলিতে অসুস্থতা, প্রজনন সমস্যা ও স্নায়বিক ব্যাধিসহ নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে শিশু, অন্তঃসত্ত্বা, বয়স্ক, এইডস রোগী, কেমোথেরাপি বা ট্রান্সপ্লান্ট ওষুধের কারণে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে, তাদের জন্য দূষিত পানি হুমকি স্বরূপ।
আরও পড়ুন: আট বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস
বন্যার সময় দূষিত পানি বিশুদ্ধ করার উপায়
পানি ফুটানো
পানি ফুটালে এতে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবীসহ রোগ-সৃষ্টিকারী জীবাণু মরে যায়। এই পানি সিদ্ধ করার কাজটি বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে।
পানি ফুটতে শুরু করলে, প্রথমে একটি পরিষ্কার কাপড়, কাগজের তোয়ালে বা কফি ফিল্টার দিয়ে ছেকে নিতে হবে এবং ফুটন্ত পানিকে স্থির হতে দিতে হবে। এভাবে পাওয়া পরিষ্কার পানিকে এক মিনিটের জন্য আবার ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটন্ত বিশুদ্ধ পানি ঠান্ডা হওয়ার পর আঁটসাঁট কভারসহ পরিষ্কার স্যানিটাইজড পাত্রে তা সংরক্ষণ করতে হবে।
সিদ্ধ পানির স্বাদ ভালো করার জন্য এটি এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে ঢেলে কয়েক ঘণ্টার জন্য অপেক্ষা করা যেতে পারে। এছাড়া প্রতি লিটার সিদ্ধ পানিতে এক চিমটি লবণ যোগ করেও স্বাদ উন্নত করা যায়।
আরও পড়ুন: এবারের বর্ষায়ও ঢাকায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা, নেই কোনো স্থায়ী সমাধান
রাসায়নিক জীবাণুনাশক ব্যবহার
পানি ফুটানো সম্ভব না হলে রাসায়নিক জীবাণুনাশক যেমন গন্ধহীন ক্লোরিন ব্লিচ, আয়োডিন বা ক্লোরিন ডাই অক্সাইড ট্যাবলেট ব্যবহার করে অল্প পরিমাণ পানি পান করার জন্য নিরাপদ করতে পারেন। এগুলো বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায় এবং নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি চিকিৎসা করার জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে।
জীবাণুনাশকগুলো বেশির ভাগ ক্ষতিকারক বা রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে। কিন্তু ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম ও গিয়ার্ডিয়ার মতো আরও প্রতিরোধী জীবাণু মারার জন্য এই পদ্ধতি কার্যকর নয়। এর জন্য পানি ফুটাতে হবে।
তবে ক্লোরিন ডাই অক্সাইড ট্যাবলেটগুলো ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম ধ্বংস করতে পারে। কিন্তু এর জন্য ট্যাবলেটের লেবেল বা প্যাকেজে থাকা প্রস্তুতকারকের নির্দেশাবলী সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।
পানিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক বা তেজস্ক্রিয় উপাদান থাকলে সেখানে একটি জীবাণুনাশক যোগ করলেই তা পানযোগ্য হবে না। আয়োডিন দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা পানি গর্ভবতী নারীদের, থাইরয়েড সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের বা আয়োডিনের প্রতি অতি সংবেদনশীলদের জন্য ক্ষতিকর। এটি ক্রমাগত ব্যবহারের করাও ঠিক নয়। একবারে সর্বোচ্চ কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: দোয়ারাবাজারে কমেছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ
ব্লিচ ব্যবহার
ব্লিচের বিভিন্ন ঘনত্বের হয়ে থাকে। ব্লিচ দিয়ে পানি জীবাণুমুক্তকরণ পদ্ধতি শুরুর আগে এর ঘনত্ব জানতে হবে। আর এটি পাওয়া যাবে ব্লিচের লেবেলে। একেক দেশে ঘনত্ব একেক রকম হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ব্লিচে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইটের ঘনত্ব ৫ থেকে ৬ শতাংশ।
ব্লিচ দিয়ে জল জীবাণুমুক্ত করার জন্য প্রথমেই পানি ফুটিয়ে পরিষ্কার পানি আলাদা করে নিতে হবে।
সাধারণত খাবার পানি জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশনা ব্লিচের লেবেলেই দেয়া থাকে। তবে তা না থাকলে, লেবেলে উল্লেখিত ‘সক্রিয় উপাদান’থেকে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট শতাংশ নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। তারপর একদম অতি সামান্য পরিমাণে ব্লিচ চা-চামচে নিয়ে বিশুদ্ধ পানির প্রতি লিটারে যোগ করতে হবে। মিশ্রণটি ভালো করে নাড়াতে হবে। এরপর কমপক্ষে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। জীবাণুমুক্ত পানি পরিষ্কার ও স্যানিটাইজড পাত্রে শক্ত কভারসহ সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: হালদায় আশানুরূপ মাছের ডিম মিলছে না
ফিল্টার-এর মাধ্যমে পরিশোধন
কিছু পোর্টেবল ওয়াটার ফিল্টার আছে, যা খাবার পানি থেকে রোগ সৃষ্টিকারী পরজীবী যেমন- ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম ও গিয়ার্ডিয়া দূর করতে পারে।
অধিকাংশ পোর্টেবল ওয়াটার ফিল্টার ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করে না। তাই ফিল্টার নির্বাচনে বেশ সাবধানী হতে হবে। অধিক প্রতিরোধী পরজীবীগুলোকে অপসারণ করার জন্য ফিল্টারের ছিদ্রের আকার যথেষ্ট ছোট হতে হবে। আকারে যা প্রায় এক মাইক্রন বা তার থেকে ছোট। পানি ফিল্টারের সময় এর লেবেলে থাকা প্রস্তুতকারকের নির্দেশাবলী সতর্কতার সঙ্গে পড়ে অনুসরণ করতে হবে।
ফিল্টার করার পরে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার ধ্বংস নিশ্চিত করতে ফিল্টার করা পানিতে আয়োডিন, ক্লোরিন বা ক্লোরিন ডাই অক্সাইডের মতো জীবাণুনাশক যোগ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও খুলনার চাষিরা হতাশ
পাতন প্রক্রিয়া
পাতন একটি পানি বিশোধন পদ্ধতি, যেখানে মূলত তাপ ব্যবহার করে বাষ্প আকারে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করা হয়। এই পদ্ধতিটির কার্যকারিতা বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত। পানিতে থাকা অন্যান্য দূষিত এবং রোগ সৃষ্টিকারী উপাদানের তুলনায় পানি অল্প তাপেই ফুটতে শুরু করে। স্ফুটনাঙ্কে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত পানিতে তাপ দিতে হয়। তারপর এটি বাষ্পীভূত না হওয়া পর্যন্ত ফুটন্ত অবস্থায় রেখে দেয়া হয়। এই বাষ্প ঠান্ডা করার জন্য একটি কনডেন্সার ব্যবহার করা হয়। শীতল হওয়ার পরে বাষ্প পরিষ্কার এবং নিরাপদ পানযোগ্য পানিতে পরিণত হয়। উচ্চতর স্ফুটনাঙ্কযুক্ত অন্যান্য পদার্থগুলো পাত্রে পলি হিসেবে রেখে দেয়া হয়।
এই পদ্ধতি ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু, লবণ এবং অন্যান্য ভারী ধাতু যেমন সীসা, পারদ এবং আর্সেনিক দূর করতে কার্যকর। পাতন কাঁচা ও অপরিশোধিত পানির জন্য আদর্শ পদ্ধতি। এই পদ্ধতির সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। একটি উল্লেখযোগ্য অসুবিধা হল এটি পানি বিশুদ্ধকরণের সব থেকে ধীর প্রক্রিয়া। উপরন্তু, এই পরিশোধন কাজটি করার জন্য একটি তাপীয় উৎস প্রয়োজন। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সস্তা তাপীয় উৎস তৈরি হলেও পাতনের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধ করা এখনো ব্যয়বহুল প্রক্রিয়াই রয়ে গেছে। এটি অল্প পরিমাণে পানি বিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী। বড় আকারের, বাণিজ্যিক বা শিল্প পর্যায়ে পানি পরিশোধনের জন্য এই পদ্ধতি আদর্শ নয়।
আরও পড়ুন: বাড়িরপাশে মরিচের আড়ৎ, ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি কৃষক
সৌর জীবাণুমুক্তকরণ
জরুরি অবস্থায় পানির গুণমান উন্নত করতে এটি একটি আদর্শ পদ্ধতি। এখানে প্রথমে একটি পরিষ্কার প্লাস্টিকের বোতল পরিষ্কার পানি দিয়ে ভরতে হবে। যেহেতু ফুটন্ত পানিতে সৌর জীবাণুমুক্তকরণ কার্যকর নয়, তাই এভাবে পানি বিশোধন করার পূর্বে পানি ফুটিয়ে স্বচ্ছ পানি আলাদা করে নিতে হবে। এবার সূর্যালোক ব্যবহার করে সেই পানিকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
রৌদ্রজ্জ্বল দিনে বোতলগুলো উন্মুক্ত অবস্থায় পাশাপাশি ৬ ঘণ্টা এবং মেঘলা দিনে দুদিন রেখে দিতে হবে। সূর্যের রশ্মির মাধ্যমে পানিকে আরও কার্যকরভাবে জীবাণুমুক্ত করার জন্য বোতলগুলোকে শুইয়ে রাখা যেতে পারে। বোতলগুলোকে কালো রঙের পৃষ্ঠতলের ওপরে রাখলে সূর্যের রশ্মিগুলি আরও কার্যকরভাবে পানিকে জীবাণুমুক্ত করতে পারবে।
পরিশেষে বলা যায়, বন্যার সময় খাবার পানি পরিশোধিত করতে হলে এই উপায়গুলো সঠিকভাবে জানা ও মানা জরুরি। বন্যা পরবর্তী সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি সারা দেশ জুড়ে জনসচেতনতা অপরিহার্য। যেহেতু এমন দুর্যোগ নতুন নয়, তাই এর জন্য পূর্বপ্রস্তুতি নেয়ার ক্ষেত্রে সবার এগিয়ে আসা জরুরি। প্রতি বছর একই ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ প্রত্যেক ব্যক্তিকে সতর্ক থাকতে হবে। তবেই গনমাধ্যমগুলোতে প্রতি বছর বন্যাকালীন একই দুঃসংবাদের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। নিদেনপক্ষে বন্যার ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে করণীয়
দেশের ৮ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) শুক্রবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের আটটি বিভাগে বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পূর্বাভাস
পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, পটুয়াখালী ও বাগেরহাট জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের ৭ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
দেশে সর্বোচ্চ ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলায় এবং মংলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানের সর্বোচ্চ যত্ন নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো প্রকল্পে পরিবেশের দিকে সবাইকে নজর দিতে হবে। পানির জলাশয়, পর্যাপ্ত সবুজ এলাকা ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উপস্থাপিত চারটি প্রকল্পের নকশা প্রত্যক্ষ করে এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকল্প চারটি হলো- কেরানীগঞ্জ ওয়াটার ফ্রন্ট স্মার্ট সিটি, কনজারভেশন অব ফ্লাড ফ্লো জোন অ্যাট তুরাগ রিভার অ্যান্ড কম্প্যাক্ট টাউনশিপ ডেভলপমেন্ট, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের শিবচরে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ এবং ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ।
অপরিকল্পিতভাবে যেন শিল্প-কারখানা গড়ে না উঠে তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকায় একটি নির্দিষ্ট শিল্প জোনে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে যত্রযত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে না। এই বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে নেয়া উচিত।’
নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ও আইটি ডিভাইস-সংক্রান্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
এ ক্ষেত্রে রপ্তানি বৃদ্ধি ও ক্ষুদ্র শিল্পে ভর্তুকি দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার বাতাসের মান আবারও ‘অস্বাস্থ্যকর’
গত সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য উন্নতির পর সোমবার ঢাকার বাতাসের মান 'বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় ফিরেছে।
সকাল ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৩৭ রেকর্ড করা হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
রাশিয়ার ক্রাসনোয়ারস্ক, পেরুর লিমা ও চীনের উহান যথাক্রমে একিউআই ১৮০, ১৫৩ ও ১৫৩ স্কোর নিয়ে প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান এখন ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিরপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
কক্সবাজারের উন্নয়নে প্রকৃতি ও পরিবেশকে একীভূত করুন: প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উন্নয়নকে প্রকৃতি, বৃক্ষ ও পরিবেশের সঙ্গে একীভূত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা শুধু ইট-কাঠ দিয়েই নয়, প্রকৃতির সঙ্গে একীভূত করে সমুদ্র সৈকতের উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেব। আমাদের সেখানে গাছ এবং ছায়া রাখতে হবে।’
বুধবার সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্ট শহরে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত বহুতল ভবন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ ক্ষমতায় না থাকলে নিত্যপণ্যের জন্য রাজপথে মারামারি হতো: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকার বাতাসের মান এখন ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌসুমের বৃষ্টিপাতের কারণে সোমবারও ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে।
সকাল ৯টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৭৬ রেকর্ড করা হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ১৯তম স্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলা হয়। তবে, কিছু লোক ঝুঁকি থাকতে পারে, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও কুয়েতের কুয়েক সিটি যথাক্রমে একিউআই ১৭৯, ১৬৪ ও ১৫৭ স্কোর নিয়ে প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিরপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: একিউআই: আবারও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
খাগড়াছড়িতে অবৈধ ৫ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
খাগড়াছড়িতে পাঁচটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার তিনটি ও বৃহস্পতিবার দুটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর।
জানা যায়, শুক্রবার রামগড় উপজেলায় দুটি ও গুইমারা উপজেলায় একটি ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় এবং ইটভাটার কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাভারে ৭টি ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন জানান, হাইকোর্ট তিন পার্বত্য জেলায় সব ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। সে মোতাবেক ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৬ সপ্তাহের মধ্যে পার্বত্য তিন জেলার ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ হাইকোর্টের
৫ জেলার অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ হাইকোর্টের
ঠাকুরগাঁওয়ে রাসায়নিকের বিকল্পে জনপ্রিয় হচ্ছে কেঁচো সার
ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব ও সাশ্রয়ী ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। এতে রাসায়নিক সারের ব্যবহারের প্রবণতা যেমন কমছে, তেমনি ফসল উৎপাদনের খরচও সাশ্রয় হচ্ছে। এছাড়া জৈব সারের ব্যবহার ও উৎপাদন ছড়িয়ে দিতে কৃষি বিভাগ এই জেলার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে।
জানা গেছে, গত বছর ঠাকুরগাঁও সদরের বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকার ১০-১৫ জন চাষি কেঁচো সংগ্রহ করে জৈব পদ্ধতিতে সার উৎপাদন শুরু করেন। আর তাদের বিনা মূল্যে সার তৈরির উপকরণ দিয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সহযোগিতা করে। কৃষকদের উৎপাদিত সেই সার জমিতে ব্যবহার করে আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
আরও পড়ুন: লাউ গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা
বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম, মাজেদুর রহমান, হামিদুর রহমান, রইস উদ্দীনসহ একাধিক কৃষক বলেন, সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে কেঁচো কম্পোট সার প্রয়োগে খরচ হয় মাত্র আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু রাসায়নিক সার ব্যবহারে সেই ফলন পেতে চাষিদের তিন থেকে চার গুন বেশি টাকা গুনতে হয়। তাছাড়া এ সার তৈরিতে তেমন খরচ না হওয়ায় আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।
৩ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের তিন বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ৬ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
এতে বলা হয়েছে, দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের ৭ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এবং মৌসুমী নিম্নচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।