যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানের সর্বোচ্চ যত্ন নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো প্রকল্পে পরিবেশের দিকে সবাইকে নজর দিতে হবে। পানির জলাশয়, পর্যাপ্ত সবুজ এলাকা ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উপস্থাপিত চারটি প্রকল্পের নকশা প্রত্যক্ষ করে এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকল্প চারটি হলো- কেরানীগঞ্জ ওয়াটার ফ্রন্ট স্মার্ট সিটি, কনজারভেশন অব ফ্লাড ফ্লো জোন অ্যাট তুরাগ রিভার অ্যান্ড কম্প্যাক্ট টাউনশিপ ডেভলপমেন্ট, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের শিবচরে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ এবং ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ।
অপরিকল্পিতভাবে যেন শিল্প-কারখানা গড়ে না উঠে তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকায় একটি নির্দিষ্ট শিল্প জোনে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে যত্রযত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে না। এই বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে নেয়া উচিত।’
নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ও আইটি ডিভাইস-সংক্রান্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
এ ক্ষেত্রে রপ্তানি বৃদ্ধি ও ক্ষুদ্র শিল্পে ভর্তুকি দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।