পরিচয়পত্র পেশ
রাষ্ট্রপতির কাছে পর্তুগাল ও বাহরাইনের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
বাংলাদেশে নিযুক্ত পর্তুগালের রাষ্ট্রদূত জোয়াও রিবেইরো ডি আলমেইদা এবং বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত আব্দুর রহমান মোহাম্মদ আলগাউদ রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে স্ব স্ব পরিচয়পত্র পেশ করেন রাষ্টদূতরা।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ইউএনবিকে জানান, রাষ্ট্রদূতরা বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার দিয়ে স্বাগত জানায়।
নতুন রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো খুবই জরুরি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে পারস্পরিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।
গার্মেন্টস, ওষুধ, সিরামিক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের বিদ্যমান সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে পারস্পরিক সম্ভাবনা কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিতে রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাৎকালে পর্তুগাল ও বাহরাইনের রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূতরা তাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় ও দক্ষ কর্মীদের অবদান তুলে ধরেন।
নতুন রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস পালিত
৭ মাস আগে
বাহামাসের গভর্নর জেনারেলের কাছে প্রথম বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান অনাবাসিক হাইকমিশনার হিসেবে বাহামাসের রাজধানী নাসাউ-এর গভর্নর জেনারেল স্যার কর্নেলিয়াস অ্যালভিন স্মিথ-এর কাছে ১৮ মে (বৃহস্পতিবার) তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।
পরিচয়পত্র প্রদানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাহামাসের গভর্নর জেনারেল ও নবনিযুক্ত হাইকমিশনার দুই দেশের পারস্পারিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন।
এ সময় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি, মহাপরিচালক ও গভর্নর জেনারেলের কার্যালয়ের সচিব উপস্থিত ছিলেন।
বাহামাসের গভর্নর জেনারেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক প্রণীত রূপকল্প ২০৪১ সহ অন্যান্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
গভর্নর জেনারেল জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলসহ অন্যান্য বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মে পরস্পরকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং বাহামাসের দৃষ্টান্তমূলক সহযোগিতার ইতিহাসও তুলে ধরেন।
নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করে গভর্নর জেনারেল আগামী আগস্ট ২০২৩-এ নাসাউ-এ অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ওয়েমেন মিনিস্টেরিয়াল বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের জন্য বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে: পররাষ্ট্র সচিব
এছাড়া তিনি আগামী ১০ জুলাই বাহামাসের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠানে হাইকমিশনারকে আমন্ত্রণ জানান। গভর্নর জেনারেলের বক্তব্যের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, বাহামাসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে প্রথমবারের মত দেশটিতে হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়। বিশেষ করে, তিনি আর্থিক পরিষেবা ও পর্যটনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার অপার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
পরিচয়পত্র পেশের পর হাইকমিশনার বাহামাসের প্রধানমন্ত্রী এইচ. ই. ফিলিপ এডওয়ার্ড ডেভিস এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী এইচ. ই. চেস্টার কুপার-এর সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য বিষয় নিয়ে পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
বাহামাসের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বৈশ্বিক প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
নবনিযুক্ত হাইকমিশনার জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি কমনওয়েলথ ফোরামে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেন।
উভয়পক্ষ প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী উন্নত দেশগুলোর দ্বারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত ও শারম আল শেখে অনুষ্ঠিত কপ-২৭ সম্মেলনে ঘোষিত ‘লস এন্ড ড্যামেজ' তহবিল দ্রুত চালু করতে অন্যান্য জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশে আশ্রিত ১৩ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য বাহামাসের সমর্থন কামনা করেন।
হাইকমিশনার পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণ এবং চিহ্নিত করার পাশাপাশি বাণিজ্য ও আর্থিক খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকের খসড়া বাহামাসের প্রধানমন্ত্রীকে হস্তান্তর করলে তিনি দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সমঝোতা স্মারকটি দ্রুত স্বাক্ষরের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এছাড়া, হাইকমিশনার জুলাই ২০২৩-এ অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থার কাউন্সিল নির্বাচনে মহাসচিব পদে বাংলাদেশের প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিতে বাহামাসকে অনুরোধ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে হাইকমিশনারকে আশস্থ করেন ।
উল্লেখ্য, বাহামাসের প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে দেশটির অর্থ মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করছেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা ফেরত দিতে পারেন, তার জন্য অর্থ দিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে