মার্কিন ভিসা নীতি
শেষ কর্মদিবসে মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে কথা বললেন প্রধান বিচারপতি
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, কারো দয়ায় নয়, রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সময় যারা বিরোধিতা করেছিল তারা এখনও বিরোধিতা করছে। সুতরাং আমরা এই ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনো আমেরিকায় যাইনি। আমি ভবিষ্যতেও আর যাব না।’
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখুন: শেষ কার্যদিবসে প্রধান বিচারপতির আহ্বান
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে শেষ কর্মদিবসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমি প্রধান বিচারপতি থাকাকালে বিচার বিভাগের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করেছি। আমি কখনো নিজের বা আমার পরিবারের কথা ভাবিনি।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর বিদায়ী সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, “আমি সারা দেশের বিচারকদের মামলাজট নিরসনে উৎসাহিত ও নির্দেশনা দিয়েছি। বিচারপ্রার্থীদের সুবিধার্থে আমরা সারা দেশে আদালত প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ স্থাপন করেছি।”
তিনি বলেন, ‘মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলাজট কমাতে আমরা সুপ্রিম কোর্টে মধ্যস্থতা কেন্দ্র স্থাপন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি একজন ডায়নামিক ব্যক্তিত্ব। আমি আশা করি তিনি দক্ষতার সঙ্গে বিচার বিভাগ পরিচালনা করবেন।’
আরও পড়ুন: হোম বাংলাদেশ আইনশৃঙ্খলা প্রধান বিচারপতি হিসেবে ওবায়দুল হাসানের শপথ গ্রহণ ২৬ সেপ্টেম্বর
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের সব বিচারপতি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১ বছর আগে
অবাধ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের অঙ্গীকারের সম্পূরক মার্কিন ভিসা নীতি: প্রধানমন্ত্রীকে আজরা জেয়া
সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের সম্পূরক হিসেবে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে তার দেশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জেয়া বলেন, ‘কোনো দলের প্রতি আমাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই; আমরা একটি নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান তার অঙ্গীকার।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া
তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লড়াই করেছি। আমরা ইতোমধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে। আমরা সবসময় জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকারের জন্য লড়াই করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপিই দেশে ভোট কারচুপি শুরু করেছিল। এ ব্যাপারে নির্বাচনের জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালু করা হয়।
শেখ হাসিনা ২০১৩-২০১৫ সালে বিএনপি ও তাদের মিত্রদের নৃশংসতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং অগ্নিসংযোগের কথা স্মরণ করেন, যেসব ঘটনায় ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছিল।
জেয়া প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন এবং মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া ঢাকায় পৌঁছেছেন
তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর কার্যক্রম পরিচালনাজনিত খরচ বাবদ যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে।
তিনি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন জেয়া।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে দেশের দুটি পৃথক অঞ্চলে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
এসব ক্যাম্পে মানব পাচার ও অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আজরা জেয়ার সফর: রোহিঙ্গা, শ্রম, মানবাধিকার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে
১ বছর আগে
বিএনপির ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতিবাচক ধ্বংসাত্মক, মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি, নির্বাচন প্রতিহত করা-বয়কট করার অপরাজনীতির কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, নতুন মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপির অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে, কারণ তাদের তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি নাকচ করেছে এবং অন্য কোনো দেশের সমর্থনও পায়নি।
আরও পড়ুন: ৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বিএনপি মহাসচিবের ‘আওয়ামী লীগ সরকারের কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি’ বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ফলে তাদের পক্ষে আগের মতো- নির্বাচন প্রতিহত করবো, বর্জন করবো- এগুলো বলার সুযোগ নাই। যে কারণে এখন ফখরুল সাহেব একটু হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে একেক সময় একেক কথা বলছেন। বিভিন্ন কথা বলে আত্মতুষ্টি লাভের চেষ্টা করছেন।
হাছান বলেন, সব কথার শেষ কথা হচ্ছে তাদেরকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন প্রতিহত করার রাজনীতি তাদের পক্ষে আর করা সম্ভবপর নয়। তাই তাদেরকে অনুরোধ জানাবো, দেশে গণ্ডগোল করার পরিকল্পনা না করে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত তো সবসময় এক আছে। তারা কোনো সময় বিচ্ছিন্ন হয় নাই, মাঝে মধ্যে মৌনতা অবলম্বন করে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা দেশে গণ্ডগোল করার চেষ্টা করবে। সেই গণ্ডগোল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। এটি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, গণ্ডগোল করার উদ্দেশ্যেই। সেই গণ্ডগোল তাদেরকে করতে দেওয়া হবে না। আমরা সতর্ক আছি, বিএনপি-জামায়াতকে কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় দেশের জনগণ জানে।
একই সাথে ড. হাছান বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি ঘোষণা করবে, এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে জামায়াত এবং বিএনপির সহিংসতা করার লক্ষ্যেই কর্মসূচি সাজাচ্ছে বলে আমরা মনে করি।
মন্ত্রী বলেন, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে একটি গণ্ডগোল করে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা, পানি ঘোলা করা, পানি ঘোলা করে সেখান থেকে মাছ শিকার করা। সেটি করার সুযোগ তারা পাবে না।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গুজবের উদ্ভব হচ্ছে- এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বিশ্বব্যাপী একটি চ্যালেঞ্জ। আমি কয়েকদিন আগে এশিয়া মিডিয়া সামিটে গিয়েছিলাম সেখানে এই বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং সামিটের ঘোষণাপত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের পেইড এজেন্ট যারা খুনের দায়ে, দুর্নীতির দায়ে পলাতক তারা বিদেশে বসে আর কিছু ব্যক্তিবিশেষ দেশ থেকে নানা গুজব ছড়ায়।
গুজব প্রতিরোধের জন্য সরকার নানা ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী জুলাই থেকে বিটিআরসির সক্ষমতা বাড়বে এবং আমাদের মন্ত্রণালয়েও গুজব প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, আর মূলধারার গণমাধ্যম পত্রিকা এবং টেলিভিশন করোনার মধ্যেও গুজবের বিরুদ্ধে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। আমি আশা করবো, ভবিষ্যতেও নির্বাচনকে সামনে রেখে হোক, যে কোনো প্রেক্ষাপটেই হোক, গুজবের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম সবসময় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
৮ জুন বিএনপির বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি তো আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিলো, এবার যদি সেটা করে তাহলে জনগণ তাদেরকে প্রতিহত করবে, উচিৎ শিক্ষা দিবে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, আর তারা তো বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। তারেক রহমানের খাম্বা ইন্টারনেশনাল কোম্পানি করে বিদ্যুতের খাম্বা বানিয়েছিলো বিদ্যুৎ না দিয়ে শুধু খাম্বা লাগিয়েছিলো। আমি আশা করবো তারা যখন বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও করতে যাবে তারেক রহমান যে শুধু খাম্বা দিয়েছিলো সেটিও মাথায় রাখবে।’
বিদ্যুৎ সরবরাহে ছেদ নিয়ে প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় দেশের মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিলো।
তিনি আরও বলেন, এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। এখন মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে এটি ঠিক কিন্তু বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন ১৫ দিনের মধ্যে এটা পরিবর্তন হবে।
বিদ্যুতের এই অসুবিধা বিশ্বব্যাপী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জার্মানিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এক সেকেন্ডের জন্যও কখনো বিদ্যুৎ যায়নি। সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিদ্যুতের রেশনিং করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবাইকে এসএমএস করে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার করার জন্য।
আরও পড়ুন: বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
আগামী নির্বাচন নিয়ে সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য ঘোষিত মার্কিন ভিসা নীতির কারণে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে।
সোমবার এক আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, তাদের দল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর চায়।
মার্কিন ভিসা নীতির কথা উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (আ.লীগ) ভিন্ন মোড়কে আবারও একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, আর হয় আরেক।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাত্র কয়েকদিন আগে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা খুব উত্তেজনায় কাঁপছিলেন। কিন্তু এখন তাদের উত্তেজনা কমতে শুরু করেছে। তাদের সুর নেমে এসেছে। তারা এখন বলছে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে, কারণ তারা অশান্তি চায় না।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
এর আগে রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার আর কোনো অস্থিরতা ও সংঘাত চায় না; বরং জনগণের জীবনমান উন্নত করতে চায়।
ফখরুল বলেন, সরকার বিরোধী দলের বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে সহিংসতার উস্কানি দিচ্ছে। তবে আমরা (বিএনপি) তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছি না।
তিনি বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে যে আন্দোলন করে আসছে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে।
আগামী নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে বলে তাদের দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এই বিএনপি নেতা।
বিএনপি নেতা বলেন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিকে প্রতিফলিত করে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, কারণ দেশের জনগণ আপনাকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মনে করে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায় যে দলীয় সরকারের অধীনে; বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কখনই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেখার নতুন কিছু নেই, কারণ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে যা ঘটেছে তা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর চাই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা সেই ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে চাই যেখানে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারবে।’
তিনি বলেন, তারাও চান একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দ্বারা পরিচালিত হোক, যাতে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
বিভিন্ন অপপ্রচার ও সহিংসতা চালিয়ে সরকারের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্যও বিএনপি নেতা তার দলের সহকর্মীদের সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) তাদের করা অগ্নিসংযোগের সহিংসতার পরে আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবে। অতীতেও তারা একই কাজ করেছে। তাই সবাইকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে হঠাৎ করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে ফখরুল বলেন, এটা আশ্চর্যজনক। ‘আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পিছনে কী জাদু আছে? লোকে বলছে চোরেরা সেই টাকা ফেরত আনছে, যেগুলো তারা চুরি করে আমেরিকা পাচার করেছিল।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমানের এয়ারবাস কেনার সিদ্ধান্তের মূল কারণ কমিশন: ফখরুল
আন্দোলন দমন করতে সরকার সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে: ফখরুল
১ বছর আগে
মার্কিন ভিসা নীতি ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিকে প্রতিফলিত করে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন যে বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজনের সকল প্রক্রিয়া নিশ্চিত করাই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির মূল প্রতিপাদ্য।
একই সঙ্গে বিএনপি নেতা বলেন, ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা হিংসাত্মকভাবে দমন এবং তাদের অধিকার প্রয়োগের যে কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকার যে অবস্থান নিয়েছে তা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির সুস্পষ্ট প্রতিধ্বনি।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি মনে করে, নতুন মার্কিন নীতি জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিএনপিসহ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির সুস্পষ্ট প্রতিফলন ঘটিয়েছে।’
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা পরিষ্কারভাবে লক্ষ্য করেছে যে নতুন মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় শুধু পুলিশসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকেই নয়, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা, সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকেও আনা হয়েছে, যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করতে পারে। তাদের পরিবারের সদস্যদেরও ভিসা নীতির আওতায় আনা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে যে বর্তমান ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ‘এটা কেবল নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই সম্ভব। এ জন্য নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে বিএনপি দেশের সকল গণতান্ত্রিক দল ও শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে।’
আরও পড়ুন: নতুন ভিসা নীতি: রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত হাসের সাক্ষাৎ
অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে বর্তমান ‘অনির্বাচিত ফ্যাসিস্ট’ সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাবি ও প্রত্যাশা। চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও জাতীয় সংকট থেকে মুক্তি পাওয়ার এটাই একমাত্র উপায়।’
এ দাবি আদায়ে দেশবাসীকে দৃঢ় ও সংকল্পবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: নতুন ভিসা নীতি শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য: রাষ্ট্রদূত হাস
১ বছর আগে
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু বলেন, ভোট কারচুপির সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে তাদের দলের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বৃহস্পতিবার দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই, কারণ এটি (আগামী সাধারণ) নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের উদ্বেগের কথা বিবেচনা করে করা হয়েছে। আমি মনে করি এই পদক্ষেপ অন্তত আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে আয়োজনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান খসরু আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ একটি বার্তা দিয়েছে যে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না এবং তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকা অবস্থায় তাদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই; আমরা অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা চাই না: মোমেন
বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ভোট কারচুপি চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি আগামী দিনে নির্বাচনী কারচুপি বন্ধে একটি বড় বার্তা।
খসরু বলেন, জনগণের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার না করে ক্ষমতাসীন দল আবারও ভোট কারচুপিতে লিপ্ত হলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের উদ্বেগের প্রতিফলন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিয়েছে। ‘আমাদের প্রতিবেশি দেশসহ অন্যান্য দেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। মার্কিন ভিসা নীতি শুধুমাত্র বাংলাদেশ এবং এর নির্দিষ্ট সংস্থা ও ব্যক্তিদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে।’
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রচারের লক্ষ্যে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষণা করেন, ‘এই নীতির অধীনে আমরা কোনো ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারি, যদি তারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে সহায়তা করতেই নতুন ভিসা নীতি: যুক্তরাষ্ট্র
১ বছর আগে