সম্প্রদায়
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা
দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয় ও বাড়িঘর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দল গোছাতে পারে কিন্তু বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এসময় ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের একটা বৈঠকের ব্যবস্থা করেছি। ওখানে আমরা আরও বিস্তারিত কথা শুনব। এছাড়া আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ক্ষতিগ্রস্তদের কতটুকু সাহায্য করতে পারি সেই বিষয়েও আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয় ও বাড়িঘরে হামলাকারীরা সবাই দুর্বৃত্ত। হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে ধর্ম মন্ত্রণালয় সবসময় আছে। আগেও ছিল এখনও আছে আগামীতেও থাকবে। আমরা জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয় ও যাদের বাড়িঘর বা অন্যান্য ক্ষতি হয়েছে, তাদের তালিকা সংগ্রহ করছি।’
তিনি বলেন, ‘মাঝখানে পুলিশের অনুপস্থিতির কারণে আক্রমণটা একটু বেশি হয়েছে। পুলিশ যেহেতু যোগদান করেছে আমরা আশাবাদী এরকম দুর্ঘটনা আর ঘটবে না। এছাড়া সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ প্রতিরোধে তথ্য জানানোর জন্য একটি হটলাইন চালু করা হবে।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় তিন দিনের ছুটি দাবি প্রাসঙ্গিক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক চলছে
৩ মাস আগে
বাংলাদেশে সব সম্প্রদায় সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে : প্রধানমন্ত্রী
দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সম্প্রদিায়টির সভাপতি কায়েদ জোহর উজ্জয়িনওয়ালা।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতো দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ও শান্তিতে বসবাস করবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলেমিশে বসবাস করবে।’
আরও পড়ুন: কোরিয়া বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন অংশীদার : প্রধানমন্ত্রী
তাদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন শেখ হাসিনা।
প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, নিরাপত্তা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
একই সঙ্গে তারা মানবকল্যাণে শেখ হাসিনার অবদান তুলে ধরেন।
দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
তারা হাতে তৈরি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি প্রতিকৃতি এবং ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাদের কমিউনিটি নেতা শেখ তাহেরভাইয়ের একটি ছবি উপহার দেন।
দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের অনুসারীরা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। বাংলাদেশে এই সম্প্রদায়ের অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০। এরা মূলত চট্টগ্রাম ও পুরান ঢাকায় বসবাস করে। তাদের নেতা সাইয়্যেদুনা মুফাদ্দল সাইফুদ্দিন।
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর বাজেটোত্তর নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৪ মাস আগে
রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি কামনা প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।
রবিবার ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের স্বদেশে পাঠানোর মাধ্যমে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর কাছে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহায়তার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিও চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন এবং ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে এবং এখানকার মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে।
‘রোহিঙ্গারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত’ উল্লেখ করে ওআইসি মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা ওআইসির জন্য একটি অগ্রাধিকার ইস্যু।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাইয়ে কক্সবাজারে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, ওআইসির কাছে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তিনি বলেন, ওআইসিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান অবদানের কথাও স্মরণ করেন।
ওআইসি মহাসচিব বিশ্ব শান্তিতে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুকে জোলিয়ট-কিউরি শান্তি পুরস্কার প্রদানের ৫০তম বছরে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্র বিষয়ক ইউনিট) রিয়ার আমিরাল (অব.) মো. খোরশেদ আলম এবং ওআইসি সহকারী মহাসচিব অ্যাম্বাসেডর আসকার মুসিনভ উপস্থিত ছিলেন।
ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা পাঁচ দিনের সফরে শনিবার ঢাকায় এসেছেন।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) চ্যান্সেলর হিসেবে তিনি ৩০ মে অনুষ্ঠিতব্য আইইউটির ৩৫তম সমাবর্তনে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা মামলা: সদস্য দেশগুলোর সমর্থন চেয়েছেন ওআইসি মহাসচিব
১ বছর আগে