নির্যাতন
ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদনে ৬ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে পাশবিক ও অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে এ ঘটনায় গঠিত বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে, এ ঘটনার জন্য ৬ জনকে দায়ী করে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। হল প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটর এ ঘটনার ব্যাপারে দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। একইসঙ্গে বিশববিদ্যালয়ের প্রক্টর তার দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা ও উদাসীনতা দেখিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন: ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করার পর আগামীকাল বুধবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, নির্যাতিত হওয়ার পরেও অন্তরার জোরাজুরিতে ভিকেটিম মুচলেকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। ভিকমটিমকে হল থেকে বিতাড়িত করতে চাপ দিলে হল প্রভোস্ট তাকে হলত্যাগের নির্দেশ দেন। পরে মুচলেকা দিতে বাধ্য করা হয়।
আদালত শুনানি নিয়ে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোন আইনজীবী আছে কিনা সেটা জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে আগামীকাল বুধবার আদেশের দিন ধার্য করেন।
আদালত থেকে বের হয়ে রিটকারী আইনজীবী মো. মহসিন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটিতে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। লিখিত বক্তব্য এবং অডিও ক্লিপসহ তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।
এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, লিমা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান মীম, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার ঊর্মি ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মুয়াবিয়া জাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। লিমা বিচারিক তদন্তে এসেছে। আর বাকিরা দুই তদন্তেই আছেন।
বিচারিক তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের প্রভোস্ট এবং হাউজ টিউটরদের চরম ব্যর্থতা ও অবহেলার অভিযোগ উঠে এসেছে। কারণ তারা হলো তাদের হলের অভিভাবক। তারা তাদের দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থতা দেখিয়েছে। অন্তরা এবং অভিযুক্তরা এই ভিকটিমের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করে। প্রোভোস্টের সামনেই তারা এটা করে। প্রভোস্ট অভিযুক্তদেরকে সাহায্য করে। এটচা বিচারিক তদন্তের রিপোর্টে উঠে এসেছে। আর বিচারিক তদন্তে আরেকটি যে বিষয় উঠে এসেছে তা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর চরম উদাসীনতা দেখিয়েছেন, অবহেলা করেছেন। তিনি অভিযোগ পাওয়ার পরেও কোন প্রকার ব্যবস্থা নেননি। আজকে রিপোর্ট দেখে আদালত আগামীকাল আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে, ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৪ জনের সিট বাতিল
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তার আগের দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রীকে (ইবি) রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে জড়িতদের হাইকোর্টে তলব করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী মো. মোহসীন জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, ইবির ভিসি, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এদিকে ফুলপরী খাতুন নামের ওই ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীর আবাসিকতা বাতিল করেছে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল কর্তৃপক্ষ। তাদের সবাইকে আগামী ১ মার্চের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
গতকাল সোমবার এ ঘটনার দুটি তদন্ত প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে দাখিল করা হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় এ প্রতিবেদন আজ আদালতে দাখিল করেন। এরই মধ্যে গতকাল ইবি’র হল থেকে ৫জনকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃত ছাত্রীরা হলেন- ইবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মোয়াবিয়া। অন্তরা ছাড়া সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের গণরুমে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেত্রীর নাম সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার সহযোগী তাবাসসুম ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ছাত্রীও একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন নির্যাতনের শিকার ছাত্রী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম রাত ৮টায় ভুক্তভোগী ছাত্রীকে প্রজাপতি-২ রুমে যেতে বলেন। অসুস্থ থাকায় সেদিন তিনি যেতে পারেননি। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রীকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তাবাসসুম। ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম দফায় র্যাগিং করে তাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে হলের প্রভোস্টের সহযোগিতায় তখন সেটা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ইবি উপাচার্যের অডিও ফাঁস: ব্যক্তিগত সহকারীকে অব্যাহতি
পরদিন রোববার ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ ৭-৮ জন মিলে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে গণরুমে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারা হয় এবং মুখ চেপে ধরে গালিগালাজ করা হয়। এমনকি তাকে ময়লা গ্লাস মুখ দিয়ে পরিষ্কার করতে বলেন সানজিদা। পরে ওই ছাত্রীকে জামা খুলতে বলেন অভিযুক্তরা। জামা না খুললে পুনরায় মারতে থাকেন তাকে। এরপর জোর করে তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেন তারা। এ ঘটনা কাউকে বললে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয় ভুক্তভোগীকে।
ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে, ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৪ জনের সিট বাতিল
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় স্থায়ীভাবে অভিযুক্ত পাঁচজনের আবাসিকতা (হলের বরাদ্দকৃত সিট) বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এতে সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাসসুম, হালিমা খাতুন উর্মি, ইশরাত জাহাম মীম ও মোয়াবিয়ার সিট বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্থায়ীভাবে আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রী হেনস্তা, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর র্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ ওঠে। এতে শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, ইসরাত জাহান মিমি ও হালিমা খাতুন উর্মীসহ কয়েকজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
পরে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ১৫ই ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল ও শাখা ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এছাড়া, হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন: ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
ভোলায় চুরির অপবাদে যুবককে বেঁধে নির্যাতন: ইউপি সদস্যসহ আটক ২
ভোলায় গরু চুরির অপবাদে এক যুবককে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটলেও ৪ দিন পর নির্যাতনের একটি ভিডিওচিত্র বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ তাদের আটক করে।
ভুক্তভোগী যুবকের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ফেনুয়া গ্রামে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জসিম খালাসি এবং তার সহযোগী জাহাঙ্গীর কান্টু।
দুই মিনিট ১১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী এক লোক ওই যুবকের ডান হাতে রশি দিয়ে বেঁধে বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে বেধরক মারধর করছে। এ সময় ওই যুবক চিৎকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং বারবার তাকে ছেড়ে দেয়ার আকুতি জানান। এসময় সেখানে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ বেশ কয়েকজন কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধ নির্যাতিত যুবককে না বাঁচিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
ভুক্তভোগী যুবক সাংবাদিকদের জানান, বালুর বাল্কহেডের কাজ করার জন্য গত সোমবার তিনি বরিশালের শ্রীপুর থেকে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে আসেন। সকাল ৭টা দিকে তিনি বান্দের পাড় এলাকায় নাস্তা করছিলেন। এ সময় পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম খালাসি পরিচয়ে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওই যুবককে প্রথমে পানির পাম্প চুরির অভিযোগে চড়-থাপ্পর মারে। পরে কান্টু নামে অপর এক ব্যক্তি চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে মারধর করে।
পরে ওই দিন দুপুরে ভুক্তভোগী যুবকের পরিবার ও বরিশালের শ্রীপুর এলাকার ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ হাজার টাকা ও মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেয়।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম খালাসির একুটি সেচ পাম্প চুরির ঘটনায় তিনি ভোলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু কোন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতনের ঘটনায় আমরা পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম খালাসি ও জাহাঙ্গীর কান্টু নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, নারী আটক
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আহমেদ হোসেন নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা তার বসতঘরে ভাঙচুর চালায় এবং লোকজন নিয়ে তার জমিতে জোর করে দেয়াল তুলে দেয়।
এ ঘটনায় পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার রাতে নাহিদা সুলতানা নামে এক নারীকে আটক করলেও মূল অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে।
মুক্তিযোদ্ধা নির্যাতনের ঘটনা ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: ধুনটে স্কুলছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীর নামে মামলা
স্থানীয় সুত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায় অভিযুক্ত লোকমান ও তার স্ত্রী নাহিদা সুলতানার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে এবং বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। পরে লোকজন নিয়ে জোর করে মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনের জমিতে দেয়াল তুলে দেয়। এই ঘটনার পর হাটহাজারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ হারুন উর রশিদ নিজের ফেসবুক ওয়ালে নির্যাতিত মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনের ছবি পোস্ট করে নির্যাতনকারীদের শাস্তি দাবি করেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানসহ সচেতন মহল এর প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে থাকে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল আলম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা নির্যাতনের খবরটি জানতে পেরে রাতেই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা, চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশসহ আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আমি নিজে উপস্থিত থেকে নির্মিত দেয়ালটি ভেঙে দিয়েছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন সবুজ বলেন, এই বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত লোকমানের স্ত্রী নাহিদা সুলতানাকে আটক করেছি। লোকমানসহ তার অন্যান্য সহযোগিদের আটক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ: ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ক্যাম্পাসে ফিরেছে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার
বরিশালে ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
বরিশালে এক ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ দু’জনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সন্ধ্যায় নগরীর রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাইদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও মারুফ মোল্লা সাইদুলের খালাতো ভাই। তারা ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার আমিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ঢাবির এ এফ রহমান হলে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
আহত সাইদুল ইসলাম বলেন, বিকালে একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য নিজ বাড়ি থেকে খালাতো ভাই মারুফ মোল্লার সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে বরিশাল নগরীর সাগরদি এলাকায় আসছিলাম। পথিমধ্যে রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ সিগন্যাল দিলে আমরা গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্র দেখাতে পুলিশ বক্সে যাই। তখন সার্জেন্ট শহিদুল ইসলাম আমার হেলমেট না থাকায় মামলা দিতে চান। তখন তাকে বিষয়টি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করি। কথা বলার একপর্যায়ে সার্জেন্ট শহিদুল আমাকে গালাগাল করেন। গালাগালের প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করে; আমি একপর্যায়ে পুলিশ বক্সের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়ি।
তিনি আরও বলেন, আমাকে মারধরের ভিডিও করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন আমার খালাতো ভাই মারুফও। এরপর আমাদের আত্মীয়স্বজনরা এসে আমাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এসব বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফারুখ হোসেন বলেন, আমরা ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলের ‘গেস্টরুমে’ অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
ঢাবির সূর্যসেন হলে শিক্ষার্থীকে নির্যাতন, অভিযুক্ত সেই সিফাতই
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ -এর নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকালে উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের উত্তর গোতামারী সীমান্তে ৯০১ নং সীমান্ত পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত সাদ্দাম হোসেন (৩২) একই ইউনিয়নের ভুন্টিয়ামঙ্গল এলাকার আছির উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ওই সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাকে নির্যাতন করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বিএসএফ ধরে নেয়ার ৩দিন পর মিলল কৃষকের লাশ
গোতামারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোনাবেরুল হক মোনা জানান, তিনি লাশ দেখেছেন, শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
লালমনিরহাট সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) ফরহাদ ইমরুল কায়েস বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) ফরহাদ ইমরুল কায়েস ও হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম নিহত সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত, জানিয়েছেন স্থানীয়রা
পাটগ্রামে বিএসএফের রাবার বুলেটের আঘাতে বাংলাদেশি আহত
নানা-নানীর নির্যাতন সইতে না পেরে নাতনীর আত্নহত্যা!
নাটোর শহরের চৌকিরপাড় এলাকায় নানা-নানীর নির্যাতন সইতে না পেরে পালক নাতনীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে বাড়ির তৃতীয় তলার টিনশেড ঘরের বাঁশের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জান্নাত স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: গলায় ফাঁস দিয়ে রাজশাহীতে তরুণীর ‘আত্নহত্যা’
নানী লাইলী বেগম জানান, নিঃসন্তান মেয়ে মাসুমা আক্তার ও জামাই মতিউর রহমান তাদের বারান্দায় ফেলে যাওয়া শিশু জান্নাতকে নিজেদের সন্তানের মতো লালন পালন করেন।
ছয় বছর আগে আমেরিকায় যাওয়ার আগে তাদের পালিত কন্যাকে মাসুমার বাবা সুলতান মাহমুদের বাসায় রেখে যান। আমেরিকা থেকে তারা তাদের কন্যা জান্নাতের জন্য নিয়মিত সকল খরচ পাঠাতেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তার পালক নানা নানী ওই শিশুর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। রবিবার দুপুরে নির্যাতন সইতে না পেরে শিশু জান্নাত বাড়ির তৃতীয় তলার টিনশেড ঘরের বাঁশের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়।
টের পেয়ে ওই পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন নানী লাইলী বেগম।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে দম্পতির আত্নহত্যা!
নাটোরে বৃদ্ধাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন: গ্রেপ্তার ৯
নাটোরের গুরুদাসপুরে বৃদ্ধাকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার মৌখরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আলম (৪৫), নুরনবী (৩৫), উজ্জল (৩৪), বাবু (৪০), লিটন (৩৫), আজাদুল (৪০), কমেদ আলী (৪২), চান মিয়া (৩৯), ও আজাদুল ফকির (৩৭)।
ওসি বলেন, বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে ২৫ অক্টোবর নিজ জামাতার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অপবাদ দিয়ে ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা কুলসুম বেগমকে গাছে বেঁধে নির্যাতন চালায় অভিযুক্তরা।
খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করলেও নিজেরাই উল্টো নির্যাতিতার বিরুদ্ধেই গণ উপদ্রবের মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায়। আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দিলেও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় নির্যাতনের মামলা করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ‘প্রতারকচক্রের’ ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
নরসিংদীতে তরুণী হেনস্তার ঘটনায় গ্রেপ্তার শীলার মুক্তিতে বাধা নেই
গোয়ালন্দে গরুর দুধ নিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশু, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
সিলেটে মাদরাসাছাত্রকে হোটেলে আটকে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ২
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর টাইটেল মাদরাসার এক ছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
উদ্ধার ছাত্র আমিরুল ইসলাম (১৬) ওসমানীনগর উপজেলার কিয়ামপুর গ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে ও উমরপুর টাইটেল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
গ্রেপ্তার মো. নজরুল ইসলাম ও মেনু মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানাধীন আহুতিয়া গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে।
রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন অপহরণ ও উদ্ধারের ঘটনায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: রহিমা বেগম ‘অপহরণ’ মামলায় ৪ জনের জামিন
পুলিশ জানায়, গত ৯ অক্টোবর বাড়ি থেকে মাদরাসার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ মিলছিল না। ১২ অক্টোবর তার বাবা ওসমানীনগর থানায় লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করেন। এ সংক্রান্ত মামলা হলে পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধারকারী টিম তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে সমন্বয় সাধনের জন্য ওসমানীনগর সদস্যর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলামকে নির্দেশনা দেন। পুলিশ মাঠে নেমে জানতে পারে ভুক্তভোগীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করছে একটি চক্র। মুক্তিপণ না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়েছে।
উদ্ধারকারী টিমের সদস্যরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ৯টার দিকে সিলেটের রশিদপুরস্থ ফুলকলি শোরুমের সামনে থেকে আমিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে।
সে পুলিশকে জানায়, তাকে অপহরণ করে হোটেলে আটকে রেখে হাত-মুখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে।
পরে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দুজনকে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় ওসমানীনগর থানায় রবিবার নিয়মিত আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মুক্তিপণের টাকাসহ ‘অপহরণকারী’ গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে অপহরণ, ১০ দিন পর সাভারে উদ্ধার
৯ মাসে ৩৪ নারী ধর্ষণের পর হত্যা: আসক
চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গত ৯ মাসে সারাদেশে কমপক্ষে ৩৪ জন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং আরও সাতজন ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
এছাড়া এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একই সময়ে প্রায় ৭৩৪ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে এবং আরও ১২৮ জন ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন।
আসক-এর ডকুমেন্টেশন ইউনিট ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯টি নেতৃস্থানীয় জাতীয় দৈনিক এবং সংস্থাটির নিজেদের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যানগুলো তৈরি করেছে।
আসকের তথ্য বলছে যে একই সময়ে পারিবারিক সহিংসতায় কমপক্ষে ১৫৮ জন নারী তাদের স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন। একই সময়ে কমপক্ষে ৩৯৫ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
এছাড়াও এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ক্রস ফায়ারে নিহত হন, একজন র্যাবের গ্রেপ্তারের পর নির্যাতনের কারণে মারা যান এবং একজন র্যাবের হেফাজতে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।
আসকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে শারীরিক নির্যাতনে দুজন মারা গেছেন, অন্য চারজনের নির্যাতনের কারণে মৃত্যু হয়েছে,একজন পুলিশ হেফাজতে আত্মহত্যা করেছে,একই সময়ে পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে আরও দুজন।
আসক জানায়, সারাদেশে ৩৮৭টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ৫৮ জন মারা গেছেন এবং পাঁচ হাজার ৪০০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
খুলনায় নারী নির্যাতনের মামলায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার