নাটোর শহরের চৌকিরপাড় এলাকায় নানা-নানীর নির্যাতন সইতে না পেরে পালক নাতনীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে বাড়ির তৃতীয় তলার টিনশেড ঘরের বাঁশের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জান্নাত স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: গলায় ফাঁস দিয়ে রাজশাহীতে তরুণীর ‘আত্নহত্যা’
নানী লাইলী বেগম জানান, নিঃসন্তান মেয়ে মাসুমা আক্তার ও জামাই মতিউর রহমান তাদের বারান্দায় ফেলে যাওয়া শিশু জান্নাতকে নিজেদের সন্তানের মতো লালন পালন করেন।
ছয় বছর আগে আমেরিকায় যাওয়ার আগে তাদের পালিত কন্যাকে মাসুমার বাবা সুলতান মাহমুদের বাসায় রেখে যান। আমেরিকা থেকে তারা তাদের কন্যা জান্নাতের জন্য নিয়মিত সকল খরচ পাঠাতেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তার পালক নানা নানী ওই শিশুর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। রবিবার দুপুরে নির্যাতন সইতে না পেরে শিশু জান্নাত বাড়ির তৃতীয় তলার টিনশেড ঘরের বাঁশের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়।
টের পেয়ে ওই পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন নানী লাইলী বেগম।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে দম্পতির আত্নহত্যা!