আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
সিসিকের মেয়রের দায়িত্ব নিলেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নগর ভবনের মেয়রের কার্যালয়ে দায়িত্ব নেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচন: নিরাপত্তা রক্ষায় ২৬০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন
এদিকে, নগরভবনে মেয়রের কার্যালয়ে বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর হাতে দায়িত্ব তুলে দেন।
এসময় বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানান এবং নগরীর উন্নয়নে সবসময় তার সহযোগিতার হাত প্রসারিত রাখার ঘোষণা দেন।
জবাবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীও তাকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানিয়ে তার অভিজ্ঞতার আলোকে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পরামর্শ ও সহযোগিতা পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
আরও উপস্থিত ছিলেন- বিদায়ী ও নবনির্বাচিত মেয়রবৃন্দের স্ত্রী-সন্তানেরা এবং সিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্মচারী এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত হয় সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন। বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচন: ৫ মেয়রপ্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
১ বছর আগে
সিলেট সিটির মেয়র হলেন আ.লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
সিলেটের নতুন নগর পিতা নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ৬৭ হাজারের বেশী ভোটের ব্যবধানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলকে পরাজিত করেছেন তিনি।
সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদির।
বুধবার (২১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ১৯০টি কেন্দ্রের ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নৌকা প্রতীকের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১৪ ভোট। আর তাঁর নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩২১ ভোট। ৬৮ হাজার ২৯৩ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন আনোয়ারুজ্জামান।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবারই প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। আর পেশায় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাবুল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি এর আগে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করলেও মেয়র পদে এবারই প্রথম নির্বাচন তার।
এবার মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ (বুথ) ১ হাজার ৩৬৪টি।
আরও পড়ুন: জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী সিলেটের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান
এই নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপিসহ তাদের সমমনা ও বামদলগুলো। ফলে নির্বাচনে অংশ নেননি বিএনপি নেতা ও বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আর করোনায় প্রয়াত হয়েছেন সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান।
এর আগে বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ৪২টি ওয়ার্ডে এই সিটিতে এবার পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এবার মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০, নারী দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
এবার সিলেট সিটিতে মেয়র পদে ৮ জন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে
নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহ জাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে মোট ২ হাজার ৬শ’ পুলিশ সদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ মেয়র প্রার্থী বাবুলের
১ বছর আগে