জলদস্যুদ
মেঘনায় মাছ ধরার ট্রলারে ‘জলদস্যুদের’ হামলা, ২ জেলে গুলিবিদ্ধ
ভোলার তজুমদ্দিন ও নোয়াখালীর মধ্যবর্তী হুজুরের চর এলাকায় মেঘনা নদীতে জেলেদের দুইটি মাছ ধরার ট্রলারে ‘জলদস্যুরা’ হামলা করেছে। এ সময় দস্যুদের হামলায় দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই জেলেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন- ভোলার বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ইউনিয়নের মো. মফিজলের ছেলে মো. হোসেন মাঝি এবং নোয়াখালীর রামগতি থানার চর আব্দুল্লাহ গ্রামের মো. আব্দুল রশিদের ছেলে মো. সোহেল।
তবে অন্য জেলেরা কোথায় কি অবস্থায় রয়েছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
গুলিবিদ্ধ জেলেরা জানান, তজুমদ্দিনের সোহেল মাঝির ট্রলারের ১০ জন জেলে এবং নোয়াখালীর হোসেন মাঝির ট্রলারের ৬ জেলে রবিবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে হুজুরের চর এলাকার মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করছিলেন।
ওই সময় হঠাৎ ১০ জনের একটি জলদস্যু বাহিনী তাদের মাছ ধরার ট্রলার দুইটিতে হামলা চালায়। ডাকাতরা এসময় জেলেদের ট্রলারে থাকা মাছ, জাল, তেল ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এতে বাধা দিতে চাইলে ডাকাতরা তাদের মারধরসহ গুলি করে। এক পর্যায়ে ডাকাতদের গুলিতে ওই দুই জেলে নদীতে পরে যায়।
র্দীঘসময় নদীতে ভাসতে থাকার পর সোমবার ভোরের দিকে স্থানীয় জেলেরা তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. তায়েবুর রহমান জানান, গুলিবিদ্ধ দুইজন এখন আশঙ্কামুক্ত। তাদের শরীরে ৭০/১০০টি ছররা গুলি রয়েছে।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন সরকার জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত আহতদের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
তিনি আরও বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু: সহকর্মী
১ বছর আগে