কেন্দ্রীয় কর্মসূচি
১১ দফা দাবিতে অনড় খুলনা পুলিশ, চলছে কর্মবিরতি
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১১ দফা দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি)
সম্প্রতি দেশজুড়ে সহিংসতার মাঝে পুলিশ হত্যার দাবিতে শুক্রবার (৯ আগস্ট) জুমার নামাজের পর শোক র্যালি ও কর্মবিরতি পালন করেন কেএমপি সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবির হাতে আটক এসবিএসি’র সাবেক চেয়ারম্যান
তাদের ১১ দফা দাবিগুলো হলো-
১. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার।
২. ৮ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করতে বাধ্য না করা।
৩. বেশি ডিউটি করলে ওভার টাইম সুবিধা প্রদান।
৪. শুক্র ও শনিবারসহ সব সরকারি ছুটি ভোগের সুযোগ প্রদান।
৫. দেশের স্বার্থে ছুটি কাটাতে না পারলে অতিরিক্ত কর্মদিবস হিসেবে আর্থিক সুবিধা প্রদান।
৬. সোর্স মানি প্রদান, ঝুঁকিভাতা বৃদ্ধি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ দানে সংবিধান ও জনগণের মনের কাঙ্ক্ষিত বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া।
৭. পুলিশকে রাজনীতিমুক্ত রেখে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করা।
৮. নিরাপত্তা বেষ্টনি জোরদার করে নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করা।
৯. পদোন্নতির পদক্ষেপ গ্রহণ করে বৈষম্য দূর করা।
১০. বদলির ক্ষেত্রে নিজ জেলার নিকটবর্তী জেলায় প্রাধান্য নিশ্চিত করা।
১১. পুলিশ সংস্কার আইন প্রণয়ন করা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদিদের বিদ্রোহ, ব্যাপক গোলাগুলি
র্যালি থেকে পুলিশ সদস্যরা বলেন, নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা এখনও চিন্তিত। তাই থানায় যোগ দিতে সাহস পাচ্ছি না। সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের সহকর্মীরা মারা যাবেন আর সিনিয়র অফিসাররা ঘরে বসে থাকবেন, এটা হবে না।
এছাড়া পুলিশকে রাজনীতিমুক্ত রেখে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে বলে জানান তারা।
র্যালিতে কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পদের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জামালপুর কারাগারে সংঘর্ষে ৬ বন্দি নিহত
৩ মাস আগে
ফেনীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে সংবাদকর্মীসহ আহত ৫০
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রার সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।
আহতদের অধিকাংশই নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে ফেনী শহরের ইসলামপুর রোড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির মিছিলে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগকারীদের শাস্তি হবে: ডিবি প্রধান
পরে সংঘর্ষে যোগ দেয় আওয়ামী লীগও। এতে শহরের খেঁজুর চত্তর থেকে শহীদ শহিদুল্লহ কায়সার সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় সংবাদ সংগ্রহে মোহনা টিভি ও স্থানীয় দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ নিলয়, মুস্তাফিজ মুরাদ, ফেনীর তালাস প্রতিনিধি আকাশ, মানবজমিন ফেনী প্রতিনিধি নাজমুর হক শামীম আহত হন।
আহত সংবাদকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ২টার দিকে শহরের প্রবেশ পথের দাউদপুর এলাকা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ভিপি জয়নালের নেতৃত্বে পদযাত্রা শুরু করে জেলা বিএনপি। পদযাত্রাটি শান্তিপূর্ণভাবে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খেঁজুর চত্তর হয়ে ইসলামপুর রেডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছায়।
সেখানে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে হঠাৎ সংঘর্ষ বাধে। ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ।
একই সময় খেঁজুর চত্তর এলাকার ফেনী শহিদ মিনারের সামনে উন্নয়ন ও শান্তি শোভাযাত্রা করছিল আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষে এক পর্যায়ে জড়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও।
ত্রিমুখী এই সংঘর্ষে শহরে তৈরি হয় রণক্ষেত্র। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে টিআর শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এ ঘটনায় ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ উদ্দিন বাহার অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ পদযাত্রাটি ইসলামপুর রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার সময় পুলিশ অতর্কিত টিআরশেল নিক্ষেপ করে।
পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে অন্তত ২৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আহত করে।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা: ২ আসামির রিমান্ড, কারাগারে ৫
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, পদযাত্রা নিয়ে ইসলামপুর এলাকায় যাওয়ার পর হঠাৎ আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নেতাকর্মীরাও ক্ষেপে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
১ বছর আগে