মঞ্চ প্রস্তুত
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মঞ্চ প্রস্তুত
আওয়ামী লীগের আজকের (বুধবার) কর্মসূচির জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। এদিকে, একইদিনে বিএনপিরও প্রতিবাদ সমাবেশ করার কথা রয়েছে।
ইউএনবির এই প্রতিবেদক ঢাকার রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল কম দেখতে পান।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ কর্মসূচি পালন করছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম কচি খন্দকার।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বক্তব্য রাখবেন।
দলটি আজ ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আজ ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ করার কথা রয়েছে।
সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাজধানীতে আজকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের জড়ো হওয়ার নির্দেশনা দেন।
আওয়ামী লীগ ৭ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মসূচির বিস্তারিত সূচি নির্ধারণ করেছে। ৭ অক্টোবর শিক্ষক সমাবেশের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। ১৮ তারিখ ঢাকায় এক জনসভার মধ্য দিয়ে এই ধারাবাহিক আয়োজনের সমাপ্তি ঘটবে।
আজকের কর্মসূচি সম্পর্কে কাদের বলেন, ‘ঢাকা শহরে আমরা তাদের সমাবেশে বাধা দেব এবং তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা দেব। তারা ষড়যন্ত্র করছে। ফখরুল গুজব ছড়াচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
১ বছর আগে
আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত
নগরীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুব মহাসমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
বিএনপি বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইউএনবি দেখতে পায় সেখানে ২০ থেকে ২২ জন কর্মী কাজ করছেন এবং মঞ্চের পেছনে কাজ করছেন ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী।
ডেকোরেশনের দায়িত্বে থাকা টোটাল সলিউশনের স্বত্বাধিকারী মোজাম্মেল হক জানান, মঞ্চটি হবে ৬৪ ফুট লম্বা ও ২৮ ফুট চওড়া। বিকেল থেকেই মঞ্চ তৈরি করছেন আমাদের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি তুলে ধরুন: নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু জানান, ঢাকা বিভাগের তিন থেকে পাঁচ লাখ ছাত্র-যুবক এখানে জড়ো হবেন। এটা আরো বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগত অতিথিদের জন্য পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করা হবে। ইতোমধ্যে অনেক জেলা থেকে নেতাকর্মীরা এসেছেন। আমি তাদের খাবারের ব্যবস্থা করছি। সমাবেশে পর্যাপ্ত পানি, খাবার ও পানীয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। । যারা অসুস্থ তাদের জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২০ জন ডাক্তারের একটি টিম গঠন করেছি।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বলেন, প্রস্তুতি প্রায় শেষ, আমি মনে করি শুক্রবার লক্ষাধিক তরুণ-শিক্ষার্থীর গণসমাবেশ হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ ছাত্রলীগের কার্যালয়ে সমাবেশ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খাঁন নিখিল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু উপস্থিত ছিলেন।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, সমাবেশ আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও বড় হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘অনুষ্ঠানে শুধু নেতা-কর্মী-সমর্থকরাই যোগ দেবেন না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী গণমানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেবেন।
এর আগে শুক্রবার ২৩টি শর্তে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনকে যথাক্রমে নয়াপল্টন ও বায়তুল মোকাররমে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ ও বিএনপির জন্য শর্ত একই: শুক্রবারের সমাবেশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে