স্মার্ট টাওয়ার
ভিশন-২০৪১ স্মার্ট টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক'-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
'ভিশন-২০৪১ স্মার্ট টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক'-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এটির উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
আইসিটি বিভাগের 'ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও ইনোভেশন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন (ডিড) প্রকল্পের আওতায় শূন্য দশমিক ৪৭ একর জায়গার উপর বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে অত্যাধুনিক এই টেকনোলজি পার্কটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রায ১ লাখ ৭০ হাজার বর্গফুট আয়োতনের এই পার্কে ৪টি বেজমেন্টসহ ৯ তলা বিশিষ্ট এই গ্রিন বিল্ডিং তৈরিতে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধুন তৈরি করতে দেশের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইউনিভার্সিটি বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার’ স্থাপন করা হচ্ছে। ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের মেন্টর হিসেবে তৈরি করা হবে। তারা রিসার্চ, ইনোভেশন ও বিজনেস আইডিয়ার মাধ্যমে ইনভেস্টর ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সহযোগিতা করবে। এর আওতায় স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সালারেটর এর মাধ্যেমে ১০০ জন উদ্যোক্তাকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা, তাদের পুঁজি, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সততা, সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে উপলব্ধি করেছিলেন আগামী দিনে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিকে বেগবান করতে হলে প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও সিইআরটি নির্দেশনা না মানায় সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য ফাঁস: পলক
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে সেই বিবেচনা থেকেই আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দেশে ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগের গতি বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী গুণগতমান বজায় রেখে প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার নিদের্শ দেন।
এতে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরুল্লাহ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন, ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আবুল ফাতাহ মো. বালিগুর রহমান।
উল্লেখ্য, দৃষ্টিনন্দন, পরিবেশবান্ধব ভিশন-২০৪১ স্মার্ট টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের মাধ্যমে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব তৈরি হবে। এ ছাড়া চারটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে স্টার্ট-আপ সুবিধা তৈরি, কমন ফ্যাসিলিটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য চারটি ল্যাব তৈরি, সফটওয়্যার পার্কে ইনোভেশন কার্যক্রম পরিচালনা ও ভবিষ্যতে ইনোভেশন সম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবল তৈরি, বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ইনোভেশন হাব পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে আরও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইনোভেশন সম্পর্কে প্রশিক্ষিত করা ও শিক্ষকদের মধ্যে থেকে এ বিষয়ে দক্ষ জনবল তৈরি কর। এ ছাড়া স্টার্ট-আপদের সঙ্গে ইনভেস্টরদের সংযোগ স্থাপন, স্টার্ট আপ, গবেষক, ছাত্র ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবহারের জন্য কমন সুযোগ-সুবিধা, স্টার্ট আপ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মার্কেটে প্রবেশের হার বৃদ্ধি করার বিষয়গুলোও থাকবে। পাশাপাশি জেন্ডার ইনক্লুসিভ এন্টারপ্রেনারশিপ সংস্কৃতি তৈরির মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট দেশ হবে: পলক
১ বছর আগে