বেশি
ব্যাংকে ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি: বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি, তাই বিনিময় হার কমানো যৌক্তিক বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিবির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।
তিনি বলেন, গত বছর স্বল্পমেয়াদী বৈদেশিক ঋণের দায় ছিল ১৬ বিলিয়ন ডলার, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে।
এছাড়া চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন তাৎক্ষণিক ডলার পেমেন্ট দিয়ে এলসি খোলা হয়। এছাড়া ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ এখন চাহিদার চেয়ে বেশি। ফলে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেডা) সিদ্ধান্ত সঠিক বলেও জানান ওই মুখপাত্র।আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে
তিনি বলেন, চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে মার্কিন ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়। ডলার পরিষেবা এবং পণ্য ক্রয় এবং পরিষেবা ঋণ এবং বৈদেশিক দায় পরিশোধ করতে ব্যবহৃত হয়।
এখন আমদানি মূল্য মনিটরিং করা হচ্ছে। ফলে ডলারের চাহিদা কমে গেছে বলে জানান তিনি।
গত বুধবার এক বছরের ও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্যাংকগুলো মার্কিন ডলারের বিনিময় হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ডলারের দাম ০.৫০ (পঞ্চাশ পয়সা) টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর সীমান্তে ৩৩,২০০ মার্কিন ডলার উদ্ধার করেছে বিজিবি
এছাড়া আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির জন্য ডলারের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৫০ (পঞ্চাশ পয়সা) টাকা।
বুধবার সন্ধ্যায় বাফেডা ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এক বৈঠকে ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসী কিনতে ডলারের দাম হবে ১১০ টাকা এবং রপ্তানি আয় হবে ১১০ টাকা, যা আগে ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।
আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম নেওয়া যাবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা, যা আগে ছিল ১১১ টাকা।
তবে প্রবাসী আয়ের ওপর সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোও একই পরিমাণ প্রণোদনা দিতে পারে। এর ফলে সুবিধাভোগীরা অভ্যন্তরীণ প্রবাসী আয়ের জন্য ডলার প্রতি সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা পাবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন বিবৃতি সত্ত্বেও ব্যাংকগুলো এখনো ডলার প্রতি ১২১ টাকা বা তার বেশি হারে প্রবাসী আয় কিনছে।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ১৫ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি
১১ মাস আগে
ঢাকায় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার বেশি
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সোমবার ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে।
দেশি জাতের পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৮ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে এবং আমদানি করা হাইব্রিড পেঁয়াজের দামও কেজিতে ১৫ থেকে ১৮ টাকা বেড়েছে।
এ প্রতিবেদক সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার মগবাজার, মালিবাগ, ফকিরাপুল, হাতিরপুল, রামপুরা, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, তারা মানের ভিত্তিতে প্রতি কেজি দেশি জাতের পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০৫ টাকায় কিনেছেন।
নিউ ইস্কাটনের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বুলবুল সোমবার বিকালে কারওয়ান বাজার থেকে ৯৫ টাকায় ১ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন।
আরও পড়ুন: ৬০ টাকায় থমকে আছে দেশি পেঁয়াজ, ভারতীয় ৪০ টাকা
পরীবাগের বাসিন্দা মঞ্জুর আহমেদ এ প্রতিবেদককে জানান, এদিন ২ কেজি পেঁয়াজ নিতে তাকে ২১০ টাকা দিতে হয়েছে।
রামপুরা এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া খাতুনও একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, সোমবার ১ কেজি পেঁয়াজ ৯৮ টাকায় কিনেছেন।
সোমবার প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়, যার দাম শনিবার ছিল মাত্র ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা।
এ ছাড়া ১৯ আগস্ট ভারত তার নিজস্ব স্টোরেজ বাড়ানোর জন্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। ফলে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সোমবার বলেছেন, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি শুল্ক বাড়ানো খুবই দুঃখজনক।
ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি পেঁয়াজের বিকল্প বাজার খুঁজবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
পেঁয়াজ ব্যবসায় সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হতো ৩৮ থেকে ৪৬ টাকায়। শুল্ক আরোপের পর এখন এই খরচ দাঁড়াবে প্রতি কেজি ৫৩ থেকে ৬৫ টাকা।
এদিকে, ব্যবসায়ীরা এখনো বেশি দামে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেননি। কিন্তু শুল্ক আরোপের খবর শুনে স্থানীয় বাজারে দাম বাড়িয়ে দেয় তারা।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ভারতের শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণার পর পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার খবরে অসাধু ব্যবসায়ীরা উচ্চমূল্যের পণ্য দেশে আসার আগেই অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের স্বভাব।’
আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে দাম কমলেও পণ্য এখনো আসেনি এমন যুক্তি দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা দাম কমাতে চান না বলেও জানান হোসেন।
আরও পড়ুন: ভারতের শুল্ক আরোপ করায় খুলনার বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
১ বছর আগে