সোহেল
বিএনপি নেতা সোহেল-নীরব-মজনুসহ ১৯ জনের কারাদণ্ড
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও সাবেক সেক্রেটারি মোহাম্মদ রফিকুল আলম মজনুসহ ১৯ জনের প্রত্যেকের দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত পাঁচ বছর আগে পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ ১০ জনের কারাদণ্ড
দণ্ডিত বাকি আসামিদের মধ্যে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিব আহসান, মশিউর রহমান বিপ্লব, মো. রেফাত উল্লাহ, আব্দুস সালাম প্রমুখ। শফিউল বারী বাবু মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থোকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিকালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা পল্টন এলাকায় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে মিছিল বের করেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিপ ইয়ার্ড পরিচালনা: ৫ জনকে কারাদণ্ড
পুলিশ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে গেলে তারা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরশাদ হোসেন ওই দিনই মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মতিঝিল জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সাইফুল আলম নীরবসহ বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীর তিন বছরের কারাদণ্ড
ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের জামিন মঞ্জুর
এক নারী কর্মকর্তাকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ছাবেরা সুলতানা খানমের আদালতে আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুম ইসলাম জামিন শুনানি করেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
অপর দিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল জামিনে বিরোধিতা করেন। দুপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত ৫০০০ টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৫ জুলাই ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আল মামুন মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা।
এরপর আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী একজন সরকারি কর্মকর্তা। পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সঙ্গে তার বিয়ের কথা হয়।
২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন ওই নারীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলেন। সেখানে তার আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে কাজির মাধ্যমে বিয়ে হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাননি তিনি।
এ নিয়ে প্রশ্ন করলে সোহেল জানান কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। ওই নারী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।
কথাবার্তার একপর্যায়ে সোহেল উদ্দীন তাকে খুন করার ভয় দেখিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালান। ঘটনার পর থেকে সোহেল উদ্দিন প্রিন্স বরখাস্ত।
তিনি ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় সিনিয়র এএসপির মৃত্যু