ভারতীয় সামরিক বাহিনী
দ্বীপপুঞ্জ থেকে ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে সরাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু
দ্বীপপুঞ্জে নিযুক্ত ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অপসারণের বিষয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের অটল থাকবেন এবং প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে নির্বাচনী বিজয় উদযাপনে জড়ো হওয়া তার সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
মুইজ্জু বলেন, তিনি তার নাগরিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মালদ্বীপে থাকা বিদেশি সামরিক বাহিনীর পক্ষে দাঁড়াবেন না।
তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাদের বলেছে যে তারা এখানে বিদেশি সেনার উপস্থিতি চায় না।’
আরও পড়ুন: দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর কারাগারের পরিবর্তে গৃহবন্দী হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন
ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারতের জন্য এটি একটি গুরুতর আঘাত। যেখানে শনিবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনকে ভার্চুয়াল গণভোট হিসাবে দেখা হয়েছিল এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে দ্বীপপুঞ্জে কোনটি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে তাও নির্ধারণের বিষয় ভাবা হয়েছিল।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। দেশের অভ্যন্তরে ভারতকে একটি অনিয়ন্ত্রিত উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছেন মোহাম্মদ মুইজ্জুর এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন তিনি। মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসকে অধিকহারে চীনপন্থী হিসেবে মনে করা হয়।
মালদ্বীপের একটি দ্বীপে সার্বভৌমত্বের প্রতি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর কথিত হুমকি ছিল মুইজ্জুর প্রচারণায় প্রধান বিষয়বস্তু , যা দলটির পক্ষ থেকে বছরের পর বছর ধরে ‘ভারত তাড়ানোর’ কৌশলের অংশ।
অপরদিকে সোলিহ জোর দিয়েছিলেন যে মালদ্বীপে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি শুধুমাত্র দুই সরকারের মধ্যে একটি চুক্তির অধীনে একটি ডকইয়ার্ড তৈরি করার জন্য এবং তার দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা নয়।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী বিরোধী দলীয় প্রার্থী মোহামেদ মুইজ্জু: স্থানীয় গণমাধ্যম
পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাঁর প্রেসিডেন্টের মেয়াদকালে মালদ্বীপকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভের একটি অংশ করে তোলেন। এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপ জুড়ে বাণিজ্য এবং চীনের প্রভাব সম্প্রসারণের জন্য রেলপথ, বন্দর এবং মহাসড়ক নির্মাণের উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইয়ামিনকে রবিবার কারাগার থেকে গৃহবন্দীতে স্থানান্তরিত করা হয়েচে। যা আগামী ১৭ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ইতোমধ্যেই মুইজ্জের প্রচারাভিযানের একটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে।
মালদ্বীপ ভারত মহাসাগরে এক হাজার ২০০টি প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যা পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে প্রধান শিপিং রুটে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে