কোহলি
কোহলির পর রোহিতেরও অবসরের ঘোষণা
ভারতের ক্রিকেট সমর্থকদের ১৭ বছরের শিরোপা খরা ঘুচিয়ে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বিরাট কোহলি। এবার তার সুরে সুর বাঁধলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে ভারতের জার্সিতে তাকেও আর দেখা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রোহিত। তবে টি-টোয়েন্টিতে না খেললেও ওয়ানডে ও টেস্ট খেলা চালিয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেন, ‘এটি আমারও শেষ (টি-টোয়েন্টি) ম্যাচ ছিল। বিদায় বলার জন্য এর চেয়ে আর ভালো সময় হতে পারে না।’
‘টি-টোয়েন্টি দিয়েই ভারতের জার্সিতে আমার অভিষেক হয়েছিল। আর এটিই চেয়েছিলাম আমি। (বিশ্ব) কাপ জিততে চেয়েছিলাম আমি।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
তিনি বলেন, ‘এই ট্রফিটি জিততে আমি একেবারে মরিয়া হয়ে ছিলাম। তাই এটি জেতার পর আমার অনুভূতি এখন কেমন, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।’
১৫৯টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রোহিত শর্মা। ৪ হাজার ২৩১ রান সংগ্রহকালে টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরিও তার দখলে। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ আসরেও ১৫৬.৭ স্ট্রাইক রেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (২৫৭) সংগ্রাহক হিটম্যান।
২০০৭ সালে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন রোহিত, আর ক্যারিয়ার শেষ করলেন অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
৪ মাস আগে
বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে বিজয়ের মঞ্চেই ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণকে বিদায় বলে দিলেন ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে ব্যাট হাতে তার ৭৬ রানের ইনিংসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে ফাইনালে ম্যান অব দ্য মাচও হয়েছেন তিনি।
ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার গ্রহণ করার পর নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়েই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান কোহলি।
তিনি বলেন, ‘এটিই আমার শেষ বিশ্বকাপ ছিল। আমরা ঠিক এটিই অর্জন করতে চেয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
বিশ্বকাপের চলতি আসরের শুরু থেকে একেবারেই রানের মধ্যে ছিলেন না তিনি। আগের ৭ ম্যাচে তার মোট রান ছিল ৭৫। এর মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন মাত্র দুইবার, শূন্য রানেও আউট হন দুইবার। তবে ফাইনাল ম্যাচে এসে অবশেষে জ্বলে ওঠে তার ব্যাট। কিন্তু বিশ্বকাপ অভিযানে নিজের পারফরম্যান্সের বিষয়টি সচেতনভাবেই খেয়াল করেছেন তিনি।
কোহলি বলেন, ‘একদিন আপনার মনে হবে যে, আপনি রান পাচ্ছেন না, আর তখনই এমন সিদ্ধান্ত মাথায় আসে। ঈশ্বর মহান (যে তিনি আমাকে শেষটা সুন্দর করার সুযোগ দিয়েছেন)।’
‘এবার আমরা পণ করেই এসেছিলাম- হয় এবার, নয়তো কখনও নয়। ভারতের হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আর কাপটি আমি তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘দেখুন, এটি একপ্রকার ওপেন সিক্রেট ছিল। এই টুর্নামেন্ট শেষেই আমি (অবসরের) ঘোষণা দিতে চেয়েছিলাম। এমন নয় যে, হেরে গেলে এই ঘোষণাটি আমি দিতাম না। নতুন প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার এখনই সময়।’
আরও পড়ুন: ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
২০১০ সালে ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় বিরাট কোহলির। এরপর ওয়ানডে, টেস্টের মতো এই ফরম্যাটেও আলো ছড়িয়েছেন তিনি। দেশের হয়ে মোট ১২৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৩৭.৯৪ স্ট্রাইক রেট ও ৪৮.৬৯ গড়ে ৪ হাজার ১৮৮ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও ৩৮টি হাফ-সেঞ্চুরি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ছয়টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে দুইবার টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন কোহলি। ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্টেও ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন তিনি। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে রোহিত শর্মার পরই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
৪ মাস আগে
ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে রানখরা গেলেও ফাইনালে ঠিকই জ্বলে উঠল বিরাট কোহলির ব্যাট। তার ব্যাটের হাসিতে শুরুতে উইকেট হারিয়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো ভারত, আর প্রোটিয়াদের দিল চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।
বার্বাডোসের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৬ রান করেছে ভারত।
এদিন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন কোহলি। ৫৯ বলে এই রান করতে গিয়ে তিনি দুটি ছক্কা ও ছয়টি চার মারেন। এছাড়া অক্ষর প্যাটেল ৩১ বলে ৪৭ এবং শেষের দিকে শিবম দুবে ১৬ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন কেশব মহারাজ। এছাড়া কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেনের ঝুলিতে গেছে একটি করে উইকেট।
প্রথম ওভারে তিনটি চার মেরে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন বিরাট কোহলি। পরের ওভারে তা অব্যহত রাখেন রোহিতও। কিন্তু ওই ওভারেই জোড়া উইকেট শিকার করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অসাধারণভাবে ম্যাচে ফেরান কেশব মহারাজ।
দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি চার মারেন রোহিত, কিন্তু চতুর্থ বলেই মহারাজের শর্ট লেঙ্থ ডেলিভারিটি সুইপ করতে গিয়ে ক্লাসেনের দারুণ এক ক্যাচের শিকার হয়ে ফিরতে হয় তাকে।
রোহিত সুইপ করলে বলটি প্রায় মাটি ছুঁয়েই যাচ্ছিল, কিন্তু মাটিতে পড়ার আগে বাঁ দিকে খানিকটা ঝাঁপিয়ে বলটি তালুবন্দি করেন শর্ট ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ অঞ্চলে ফিল্ডিং করা ক্লাসেন।
এরপর, ক্রিজে এসে পঞ্চম ডেলিভারিটি দেখেশুনে খেলে পরের বলেই মহারাজের ঘুর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে টপ এজ হয়ে যান ঋষভ পান্ত। উইকেটের পেছন থেকে ডি কক সহজ ক্যাচ নিলে খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় ভারতীয় উইকেটরক্ষককে।
এর ফলে ২৩ রানে দুই উইকেট হারায় ভারত। আর শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা ব্যাকফুটে চলে যায় তারা। এসময় সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন কোহলি।
তৃতীয় ওভারে রাবাদার শেষ ডেলিভারিতে ফের একটি ক্যাচ উঠেছিল, তবে ফাঁকায় পড়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যান কোহলি।
এদিন এক-দুই রান বাঁচাতে ফিল্ডিংয়ের মনোমুগ্ধকর পারফরম্যান্স দেখায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন: ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে ভারত
এরপর দলীয় পঞ্চম ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে সূর্যকুমারকে ফেরান কাগিসো রাবাদা। ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে সেই ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ অঞ্চল দিয়ে বলটি উড়িয়ে সীমানাছাড়া করার চেষ্টা করেন সূর্যকুমার। কিন্তু মারে জোর না থাকায় ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়ে ফিরতে হয় তাকে।
তিনি ৪ বলে ৩ রান করে ফিরে গেলে ৩৪ রানের মাথায় তিন উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়ে যায় ভারত। এরপর তুরুপের তাস হিসেবে বোলিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেলকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দেন রোহিত।
অক্ষর-কোহলি জুটি অক্ষত রেখে পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান তোলে ভারত। এরপরই হাত খুলে খেলা শুরু করেন অক্ষর। নিয়মিত বিরতিতে চার-ছক্কা বের করতে থাকেন তিনি। এই দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় প্রথম দশ ওভারে ৭৫ রান সংগ্রহ করে ভারত। এরপর ১৩.১ ওভারে রাবাদাকে ছক্কা হাঁকিয়ে দলীয় শতরান পার করেন অক্ষর।
তবে এর দুই বল পরই দুঃখজনকভাবে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। ফেরার আগে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে ৩১ বলে ৪৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে যান তিনি। এই রান সংগ্রহ করতে তিনে মারেন চারটি ছক্কা ও একটি চারের মার।
আরও পড়ুন: ফাইনালের খুঁটিনাটি: আবহাওয়া, পিচ, দলের খবর
পরবর্তী ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসে কোহলিকে তাল দিতে থাকেন শিবম দুবে। এর মাঝে ৪৮ বলে চলতি টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিরাট।
১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ৫৯ বলে ৭৬ রান করে ফেরেন কোহলি। এরপর ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে ফিরে যান শিবমও (২৭), আর নর্টকিয়ার শেষ বলে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে জাদেজাকে থামান মহারাজ। ফলে আট উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে থামে ভারতের ইনিংস।
প্রথমবার ফাইনালে উঠেই শিরোপা ছুঁতে হলে এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে হবে প্রোটিয়া ব্যাটারদের।
৪ মাস আগে
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: শচীনকে টপকে ৫০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি কোহলির
শচীন টেন্ডুলকারকে টপকে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৫০ সেঞ্চুরির মালিক হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের সত্যিকারের রাজা হিসেবে নিজের রাজত্ব আরও মজবুত করলেন বিরাট কোহলি।
বুধবার মুম্বাইয়ের ওয়ানডে ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ৫০তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ইতিহাস গড়েন কোহলি।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে পরাজয় বাংলাদেশের
এদিকে ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের অবদানে দ্রুত শুরু করে ভারত।
পায়ে চোট পেয়ে গিল অবসর নেওয়ার পর উইকেটে প্রবেশ করেন বিরাট।
তিনি ১০৫ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন, যা শচীন টেন্ডুলকারের দীর্ঘদিনের রেকর্ডকে অতিক্রম করে।
শচীন ৪৬৩টি ম্যাচে ৪৯টি সেঞ্চুরি করেছিলেন, যেখানে কোহলি মাত্র ২৯১টি ম্যাচ এবং ২৮৮ ইনিংসে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।
কোহলি যখন ইতিহাস ভাঙা সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন, তখন মুম্বাইয়ের গ্যালারিতে টেন্ডুলকার তার জন্য হাততালি দিচ্ছিলেন।
তার পাশাপাশি আরও অনেক ক্রিকেটার ও বলিউড তারকারা বিরাট কোহলির ৫০তম সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন।
তার স্ত্রী ও বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মাকেও গ্যালারিতে দেখা গিয়েছিল।
একই ম্যাচে বিশ্বকাপের এক সংস্করণে সবচেয়ে বেশি রানের টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভেঙে দেন কোহলি।
২০০৩ সালে টেন্ডুলকার করেছিলেন ৬৭৩ রান। বুধবার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন কোহলি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হোম সিরিজের পাশাপাশি টি-স্পোর্টসে দেখা যাবে বিপিএল
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাট করছে ভারত
১ বছর আগে