ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম
ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহী দুই দেশ
বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যকার ব্যবসায়িক, বিনিয়োগ সম্পর্ককে আরও গতিশীল ও ফলপ্রসূ করতে ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার ওপর জোর গুরুত্ব দিয়েছেন উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
সোমবার (২০ মে) উজবেকিস্তান এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান সুখরাট সাভকাতোভিচের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।
উজবেকিস্তানের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ পরিদর্শনে বাংলাদেশের জনগণের আগ্রহের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা পর্যটন ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতাকে বিকশিত করবে। পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যকার বিরাজমান বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়াকে আরও গভীর ও শক্তিশালী করবে।’
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানের ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক অনুষ্ঠিত
এ সময় উজবেকিস্তান এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান সুখরাট সাভকাতোভিচ ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার তাৎপর্য ও যৌক্তিকতার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের মতামতকে সমর্থন করেন।
এ বিষয়ে উজবেক এয়ারওয়েজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
ঢাকা-তাসখন্দ রুটে উজবেক এয়ারলাইনস চালুর বিষয়ে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো নিরসনে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন সুখরাট সাভকাতোভিচ। বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করার প্রয়াসে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার ব্যাপারে উভয়ই তাদের চলমান প্রচেষ্টা ও যোগাযোগ অব্যাহত রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে আরও ছিলেন উজবেকিস্তান এয়ারওয়েজের ডেপুটি চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ
৫ মাস আগে
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উজবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বুধবার (২০ ডিসেম্বর) উজবেকিস্তানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বাখরমজন জুরাবয়েভিচ অ্যালয়েভের সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন।
রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতি সম্মন্ধে উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীকে সামগ্রিক ধারণা দেন।
তিনি ঢাকা-তাসখন্দ বন্ধুত্বকে আরও কার্যকরী ও অর্থবহ করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ‘রোড ম্যাপ’ চুড়ান্তকরণসহ যেসব বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার প্রতি আলোকপাত করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে কমনওয়েলথ অব ইনডিপেন্ডেন্ট স্টেটস- বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিআইএস-বিসিসিআই) একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের উজবেকিস্তানে সফর বর্ণনা করে বস্ত্র, ওষুধ, কৃষি, পাট ও পর্যটন খাতে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক সম্প্রসারণে অপরিসীম সুযোগ রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে উজবেকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই করনে উদ্ধুদ্ধ করতে রাষ্ট্রদূত উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন।
উজবেকিস্তান এয়্যারওয়েজের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ।
তিনি বলেন, সরাসরি ফ্লাইট চালু দু’দেশের সম্পর্কে নতুন গতি সঞ্চার করবে, যা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করার পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও পর্যটন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি ঢাকা-তাসখন্দ রুটে উজবেকিস্তান এয়ারলাইন্স পুনরায় চালুর বিষয়ে উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীর সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন করেন।
আলোচনাক্রমে তিনি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
উজবেকিস্তানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরাম, বিশেষ করে আগামী ২০২৫ সালে সামারকান্দকে ইউনেস্কো জেনারেল কনফারেন্সের ভেন্যু নির্বাচন করতে বাংলাদেশ সমর্থন করায় সরকারের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান সম্পর্কের অগ্রযাত্রায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি দু’দেশের মধ্যকার অর্থনৈতি সহযোগিতাকে আরও মজবুত করার উপর তাগিদ দেন।
আগামী দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে দৃশ্যমান অগ্রগতি ও ফলাফল আনার জন্য তিনি দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে সফর বিনিময়ের উপর জোর গুরুত্বারোপ করেন।
সাক্ষাৎকালে উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হুমায়ুন আখমাদভ এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. নাজমুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
১০ মাস আগে