স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মানিকগঞ্জে আড়াই হাজার মুক্তিযোদ্ধার মিলন মেলা
ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলের ২১ উপজেলার আড়াই হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানিকগঞ্জে মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার জেলার শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে এই মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মিলন মেলায় ঢাকা পশ্চিমাঞ্চলের (ঢাকা জেলা, ঢাকা মহানগর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ) ২১টি উপজেলার দুই হাজার ৫'শত মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত হন।
আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে এ মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করতে এ আয়োজন।
ঢাকা পশ্চিমাঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ খ ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুল রহমান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে বিজয় মেলা: মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা
মিলন মেলায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, 'স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এটা আমাদের অনেক বড় পাওয়া। এখানে অনেক পরিচিত সহযোদ্ধাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। অনেকের সঙ্গেই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নানা স্মৃতি। কখনো ভাবিনি সকলে একত্রিত হতে পারব।'
মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন স্মৃতিচারণ করে মুক্তিযোদ্ধারা আরও বলেন, 'যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে চলে যাই। যুদ্ধে মা-বাবা-ভাই-বোন কে হারিয়েছি। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে অনেক অত্যাচার ও নিপীড়নের শিকার হয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের যেই সম্মান দিয়েছে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। আজকের এই আয়োজন আমাদের মনোবল বাড়িয়েছে।'
এসময় তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে গড়ে উঠার আহ্বান জানান মুক্তিযোদ্ধারা।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা বৈরাম খানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
করোনা নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনা নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে একদিনে গত শনিবার রেকর্ড এক কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।
রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪২তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে এক কোটি ১১ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৩ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণটিকাদানের মেয়াদ আরও দুইদিন বাড়লো
জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টার্গেট করা মানুষের মধ্যে প্রায় শতভাগ মানুষকে আমরা টিকা দিয়েছি। নতুন করে টিকা কর্মসূচির সময়সীমা আরও দুইদিন বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সাউথইস্ট এশিয়ায়বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে। আমরা করোনা মোকাবিলায় সফলতা পেয়েছি। এর পিছনে অনেক কাজ করতে হয়েছে। করোনার জন্য ২০ শয্যা আলাদা করতে হয়েছে। ল্যাব, অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করতে হয়েছে। টেলিমেডিসিন সেবার ব্যবস্থা করতে হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ২১ কোটি ডোজ দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই টিকা নিয়ে অনিহা দেখেছি। বিভিন্ন জায়গায় টিকা না নিতে আন্দোলন হয়েছে, ভাংচুর হয়েছে। কিন্তু আমাদের জনগণ টিকা নিয়েছে, যে কারণে আমরা করোনা মোকাবিলা করতে পেরেছি।
করোনা টিকার সকল ডোজই চালু থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভয়ের কোনো কারণ নেই,আজকের পরও প্রথম ডোজসহ সকল ডোজই চালু থাকবে। এনিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। আমাদের কাছে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত টিকা রয়েছে। যত টিকাই লাগে আমরা দিতে পারব। টিকা অতিরিক্ত হয়ে গেলে আমরা অন্য যেসব দেশ টিকা পায়নি, তাদের দিয়ে দিতে পারবো।
শনিবার বেলা তিনটার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদে গণটিকা কার্যক্রম অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গণটিকা নিতে কেন্দ্রে ভিড়, ভোগান্তিতে মানুষ
গড়পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী, জেলা ডায়াবেটিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সুলতানুল আজম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আজকের বিশেষ এই টিকা কার্যক্রমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। গণটিকার আজকের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আজকের এই বিশেষ টিকা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দেশে টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা হবে প্রায় ১২ কোটি।
তিনি বলেন, দেশে টিকা নেয়ার কারণে করোনায় সংক্রমিত মানুষের মৃত্যুর হার কমেছে। সংক্রমণও দিন দিন কমে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে দেশ করোনার থাবা থেকে দেশ মুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: এক কোটি টিকা দেয়ার লক্ষ্যে বিশেষ কর্মসূচি শুরু
সাভারে টিকাকেন্দ্রে পদদলিত হয়ে আহত ৩০
করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম ডোজ দেয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজ কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরপরও স্বাভাবিক টিকা কর্মসূচি চলমান থাকবে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীস্থ বিসিপিএস ভবনে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য একদিনে এক কোটি ডোজ টিকা প্রদান কার্যক্রম বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। সবাইকে আহ্বান করবো টিকা নেয়ার। সবাইকেই টিকা দিবো। এরপর থেকে দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকবো। তবে সাময়িকভাবে প্রথম ডোজে একটু দৃষ্টিপাত কম থাকলেও কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: ২৬ ফেব্রুয়ারি এক কোটি টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমরা বিশেষ এই টিকা কর্মসূচিতে এক কোটি ডোজ টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রয়োজনে দেড় কোটি ডোজ দিব। দশ কোটি ডোজ টিকা আমাদের হাতে রয়েছে। আমরা এর আগেও ৮০ লাখেরও বেশি টিকা দিয়েছি। আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। বিশেষ এই কর্মসূচির বিষয়ে অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বাস, ট্রাক, দোকান মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি। সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা অবশ্যই সফল হবো।
টিকায় রাশিয়া-তুরস্কের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমে রাশিয়া-তুরস্কের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা ব্লুমবার্গ প্রশংসা করে আমাদের জানিয়েছে বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনে বাংলাদেশ ১০ম অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা সাড়ে ১৮ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি। সেখানে জার্মানিতে ১৭ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে, রাশিয়ায় ১৬ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে, তুরস্ক ১৪ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছে, থাইল্যান্ড ১২ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র তিন কোটি ডোজ দিয়েছে। সেদিক থেকে আমরা টিকায় অনেক এগিয়ে আছি।
তিনি বলেন, সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৮ লাখ টিকা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে মোট সাড়ে ১৮ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের টার্গেট করা মানুষের শতকরা ৮৬ ভাগ প্রথম ডোজ, ৬৫ ভাগকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে ৩২ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে। আমরা স্কুলের বাচ্চাদের দেড় কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ে আমরা গত দুই বছর কাজ করছি এবং সফলতার সঙ্গে মহামারি মোকাবিলা করেছি। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন এবং প্রশংসা করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বিশ্ব নেতার আমাদের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের প্রশংসা করেছে৷
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যেও দেশের রেমিট্যান্স খাত ঊর্ধ্বগতিতে আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ সময় ২৬ ফেব্রুয়ারি টিকা কর্মসূচির পরিকল্পনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, আমরা ওইদিন একদিনেই এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। এ লক্ষ্যে আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি। ওয়ার্ড কমিটি, জেলা ও সিটি কমিটির সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেছি। সকলের সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, শ্রমিক কর্মচারীরা যখন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে টিকা নিবে, সেটি তার কর্মঘন্টার মধ্যেই যুক্ত হবে। এ নিয়ে আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অধ্যাপক ডা. আহমদুল কবির, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হকসহ আরও অনেকে।
২৬ ফেব্রুয়ারি এক কোটি টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সরকার কমপক্ষে এক কোটি মানুষকে ২৬ ফেব্রুয়ারি টিকা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন বলে বৃহস্পতিবার পিআইডির এক হ্যান্ডআউটে বলা হয়েছে।
বৈঠকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় যে যদি লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশ মানুষকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা যায় তাহলে সংক্রমণ ও মৃত্যু হার দুই-ই কমতে পারে।
বৈঠকে এ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যেও দেশের রেমিট্যান্স খাত ঊর্ধ্বগতিতে আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভাসমান জনগোষ্ঠীর যারা এখনও টিকা নেয়নি তাদের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনতে বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড বা সরকার মনোনীত এলাকা থেকে কমপক্ষে এক কোটি মানুষ বাছাই করা হবে।
এদিন বিভিন্ন পর্যায়ে (উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি ওয়ার্ড) ছয় দশমিক ৫৫ মিলিয়ন টিকা প্রদান করা হবে।
এছাড়া বিভিন্ন কারখানা, বাজার, রেস্তোরাঁ, নৌকা, লঞ্চ, জাহাজ, ইটভাটা ও অন্যান্য ভাসমান সম্প্রদায়ের শ্রমিকসহ বিশেষ সম্প্রদায়কে সাড়ে তিন মিলিয়ন টিকা দেয়া হবে।
এ দিন টিকা নেয়ার জন্য টিকার নিবন্ধন বা জন্ম সনদ লাগবে না।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনার মধ্যেও দেশের রেমিট্যান্স খাত ঊর্ধ্বগতিতে আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনা মহামারি মোকাবিলায় গোটা বিশ্ব যেখানে টালমাটাল অবস্থায় আছে সেখানে বাংলাদেশ রেমিট্যান্সে উর্ধ্বগতি রয়েছে, দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, মানুষ কোথাও না খেয়ে থাকেনি, দেশের পদ্মাসেতু বাস্তবায়নসহ সকল মেগা প্রজেক্টের কাজ পুরোদমে চলছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি না কমে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর চারটি হাসপাতালে নতুন করে ১২৬ টি ডায়ালাইসিস বেড উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে চারটি নতুন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, ২০টি নতুন মেডিকেল কলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে, দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ১০ বেডের আইসিইউ বেড ও ১০ বেডের ডায়ালাইসিস বেড করার কাজ এগিয়ে চলাসহ বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কাজগুলো দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এসবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্যখাতের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতের সফলতার কারণেই গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে বাংলাদেশ দেশের ৮৫ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হয়েছে। অথচ আফ্রিকার দেশগুলোতে মাত্র ১২ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশের মানুষ বিদেশে বেশি কাজের সুযোগ পাচ্ছে, ব্যবসার ঊর্ধ্বগতি লাভ করেছে, দেশের অর্থনীতির চাকা চাঙা হয়েছে।সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বেড বৃদ্ধি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এই হাসপাতালে আগে বেড ছিল ৮'শ টি। আমরা এটিকে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করার মাধ্যমে এখন সাড়ে ১৩শ’ বেড করেছি। নতুন আরও ২৪০ বেড বাড়ানোর কাজ চলমান রয়েছে। আজকেই দেশের কুর্মিটোলা, মুগদা, মিটফোর্ড হাসপাতালের সঙ্গে একযোগে আরও ১২৬ টি নতুন ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করা হলো। এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে উন্নত বিশ্বের হাসপাতালের মতো নতুন ২০টি বেড স্থাপন করা হলো। একই সঙ্গে, ঢাকার হাসপাতালের পাশাপাশি ঢাকার বাইরে আট বিভাগে আটটি ১৫ তলা বিশিষ্ট সমন্বিত ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি ঢাকার মানের সেবা ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে দিতে। এজন্য জেলা হাসপাতালে দ্বিগুণ বেড বৃদ্ধিসহ মফস্বল এলাকায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে ১৪ হাজার ১৫৬টি কমিউনিটি সেন্টার করা হয়েছে। এগুলো থেকে দিনে ৯ লাখেরও বেশি মানুষ চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন যা চিকিৎসা সেবায় বর্তমান সরকারের ডিসেন্ট্রালাইজেশন চিন্তার ফসল।ভ্যাকসিন প্রদান প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সব মিলিয়ে এখন সতেরো কোটির বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছি। আমাদের টার্গেটের প্রায় সাড়ে ১১ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছে। হাতে এখন আমাদের ১০ কোটির মতো ভ্যাকসিন আছে। এখনও অনেকেই ভ্যাকসিন নেননি বা নিতে চাচ্ছেন না। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে বর্তমানে করোনায় মৃত্যুর ৮৫ ভাগ মানুষই নন ভ্যাক্সিনেটেড। আক্রান্তেও নন ভ্যাক্সিনেটেড মানুষ শীর্ষে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি সভ্য জাতি বলেই দেশের এত বিশাল সংখ্যক মানুষ এত স্বল্প সময়েই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। আগামীতেও বাংলাদেশ সভ্যতার নজির স্থাপন করবে এবং করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোন আপত্তি নেই। তবে আমাদের পরামর্শ থাকবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। আর স্কুল-কলেজের যে সমস্ত ছেলে-মেয়েরা এখনও টিকা নেয়নি তারা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার টিকা নিয়ে নেয়।’
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার শুভ্র সেন্টারে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওমিক্রন ছড়ালে অনলাইন ক্লাস হবে’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন , আমাদের লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া সম্পন্ন হয়েছে। কাজেই সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঝুঁকি এখন অনেকটাই কমে গেছে। এরপরও আমাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং বাইরে গেলেই মাস্ক পরতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান সীমিতভাবে করার জন্য যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মেনে চলতে হবে।
অনুষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম হোসেন খান চৌধুরী, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ উল্লাহ, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুতফর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে ১০ কোটি টিকা দেয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের টার্গেট জনগণ ১২ কোটি। তাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ টিকার আওতায় চলে এসেছে।’
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, অনেকের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা ইচ্ছা করেই টিকা নিচ্ছেন না, তবে আমি বলতে চাই আমাদের দেশের মানুষের টিকা নেয়ার প্রবণতা রয়েছে। দেশের জনগণ অন্যান্য দেশের মতো না।
আরও পড়ুন: ৫০ বছর হলেই বুস্টার ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
‘ইউরোপে দেখলাম টিকা নেয়ার জন্য আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে; রাস্তা-ঘাটে মারপিট করা হচ্ছে। নেদারল্যান্ডস, আমেরিকাতেও এমন পরিস্থিতির দেখা গেছে, তবে বাংলাদেশে এখনও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি,’ বলেন মন্ত্রী
টিকা মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়ে দিচ্ছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যু কম হওয়ার কারণ হলো আমাদের একটি বড় জনগোষ্ঠীকে আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এ কারণে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাও কম।
ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব মানুষ টিকার পরিপূর্ণ ডোজ পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব মানুষ বুস্টার ডোজসহ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পরিপূর্ণ টিকা পাবে বলে জানিয়েছন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, টিকার জন্য এখন পর্যন্ত ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে সরকারের।
আরও পড়ুন: করোনা রোগীদের ৭০-৮০ ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক জানান, টিকা কার্যক্রমে সফল হয়েছে বাংলাদেশ। দেশের ১০ কোটি মানুষ টিকা পেয়েছে। ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। পৌনে সাত কোটি দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে। বুস্টার ডোজ পেয়েছে ২৬ লাখ মানুষ।
তিনি জানান, টিকা হাতে আছে ১০ কোটি। মোট টিকা পেয়েছে সাড়ে ২৭ কোটি মানুষ। সবাইকে দেয়ার পরও টিকা থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা টিকা নেন নি তারা টিকা নেন। হাসপাতালে এখন সারা দেশে মিলে আড়াই হাজার রোগী আছে, আর ঢাকায় রয়েছে দেড় হাজার রোগী। টিকা নেয়ার কারণে দেশে মৃত্যুহার কমেছে।
আরও পড়ুন: ভাসমান জনগোষ্ঠীকে দেয়া হবে জনসনের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভাসমান জনগোষ্ঠীকে দেয়া হবে জনসনের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি জেনসেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেশের ভাসমান জনগোষ্ঠীকে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা হিসেবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আমরা কিছু জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা পেয়েছি। খুব শিগগিরই সেগুলো দেয়া শুরু হবে।রবিবার মহাখালীতে বিসিপিএস মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: করোনা রোগীদের ৭০-৮০ ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, জনজন অ্যান্ড জনসনের টিকা এক ডোজের হওয়ায় আমরা সেগুলো ভাসমান, দিনমজুরদের দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ তাদের নির্দিষ্ট কোন ঠিকানা না থাকায় তাদের খোঁজ সবসময় পাওয়া যায় না। একবার এক ডোজ দিয়ে দিলে তাদের পরে আর খোঁজতে হবে না।এর আগে গত ২০ জানুয়ারি দেশে প্রথমবারের মতো জনসন অ্যান্ড জনসনের তিন লাখ ৩৬ হাজার ডোজ করোনা টিকা দেশে এসেছে। অন্যান্য টিকার মতোই এই টিকা ইপিআইয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।এ বিষয়ে এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা হিসেবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এই টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্য কোম্পানির টিকা যেখানে অন্তত দুই ডোজ দিতে হয়, জনসনের তৈরি এই করোনাভাইরাসের টিকা এক ডোজের। অবশ্য পরে বুস্টার ডোজ দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।গতবছর জুন মাসেই জনসনের কোভিড টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছিল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ঢাকার এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী