স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মানুষকে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিএনপি আমলে দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো কাজই করা হয়নি। তাদের সুদূরপ্রসারি কোন স্বাস্থ্য ভাবনা ছিল না।
তিনি বলেন, সেই ভঙ্গুর অবস্থা কাটিয়ে ওঠে বিশ্বমানের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা করার কাজ মোটেও সহজ কাজ নয়। তাই স্বাস্থ্য খাতকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করার সেই কঠিন কাজটিতেই আমরা এখন হাত দিয়েছি। আট বিভাগেই আটটি ১৫ তলা বিশিষ্ট উন্নত মানের ক্যান্সার, কিডনি, লিভার হাসপাতাল তৈরির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বুধবার (১০ মে) সকালে রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, আইসিইউ ইউনিট ও ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাও পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের আটটি বিভাগের স্বাস্থ্যসেবার মান সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এগুলোর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবাকে ডিসেন্ট্রালাইজড (বিকেন্দ্রীকরণ) করা হচ্ছে। এইসব উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষ নিজ নিজ বিভাগ থেকেই তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।
এছাড়া মানুষকে আগামীতে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সফলতা এমনি এমনি আসেনি। পরিশ্রম ও ত্যাগের ফসল এটি। করোনায় বিএনপি কোথাও ছিল না। তারা কাউকে সহায়তা করেনি। তারা শুধু টেলিভিশনের পর্দায় যারা করোনায় কাজ করেছে সেই চিকিৎসক, নার্সদের নিয়ে দিনরাত সমালোচনা করেছে, তাদেরকে নিরুৎসাহিত করেছে।
এছাড়া তারা বন্যায় কাউকে সহায়তা করে না, দুর্যোগে পাশে দাঁড়ায় না, শুধু টেলিভিশনের পর্দায় সমালোচনার কাজ করে।
ডেন্টাল হাসপাতালের সেবা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই ডেন্টাল হাসপাতালে প্রতিদিন ৬০০-৭০০ মানুষ সেবা নেয়। এই হাসপাতালসহ আমরা দেশের সব হাসপাতালের বেড দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি করেছি।
আগে দেশে বেড ছিল ২০ হাজারের মতো। এখন সেই বেড সংখ্যা ৭০ হাজার করা হয়েছে। ৪৫ হাজার নার্স ও ৩৩ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে টেকনিশিয়ান ও ফার্মাসিস্ট নিয়োগের কাজ চলমান আছে। দেশের হাসপাতালগুলোর অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি অনেকটাই কাভার করা গেছে।
এছাড়া এখন এই লোকবল পূরণ হলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় বড় উন্নয়ন ঘটবে।
উল্লেখ্য, আজ থেকেই ইমার্জেন্সি আউটডোর সেবা ব্যবস্থায় ২৪ ঘন্টা সেবা দেয়া হবে।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বোরহান উদ্দিন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান এখনও উন্নত নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ বছরই দেশের সব হাসপাতালে সান্ধ্যকালীন সেবা চালু হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান এখনও উন্নত নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালের কাঙ্ক্ষিত সেবা বাদ দিয়ে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন সম্ভব না।
তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান এখনও উন্নত নয়। উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবাতেই আমাদের মূল ঘাটতি রয়ে গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদীর একটি বেসরকারি রিসোর্ট সেন্টারে এক বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, উপজেলা পর্যায়ের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর অনেক জায়গায়ই মেশিন নষ্ট ছিল। কিছু জায়গায় মেশিনই ছিল না। লোকবলের তীব্র অভাব ছিল। উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তাররা বদলি নিয়ে ঢাকায় বা জেলা পর্যায়ে চলে যেত।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি পরিবর্তনে উপজেলা পর্যায়ে আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি। নষ্ট মেশিন মেরামত এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন মেশিন কেনা হয়েছে। তদবির করে উপজেলা পর্যায় থেকে বদলি নিয়ে ঢাকায় আসা বন্ধ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত টেকনিশিয়ান ও ফার্মাসিস্ট নিয়োগের কাজও চলমান।
এছাড়া উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলো শয্যা বৃদ্ধিসহ নানাবিধ কাজ করে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান দ্বিগুণ বাড়ানো হচ্ছে।
কারণ আমরা বুঝে গেছি, উপজেলা পর্যায়ে সেবার মান না বাড়িয়ে দেশের মানুষের জন্য কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করা অসম্ভব।
স্বাস্থ্যখাতের সেবার মান বৃদ্ধি করার গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে যায়। অনেক টাকা খরচ করে নিঃস্ব হয়। অথচ আপনাদের (চিকিৎসক ও হাসপাতাল পরিচালক, স্বাস্থ্যখাতের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা) সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা বাড়লে এটি বন্ধ হবে।
তিনি আরও বলেন, এমনভাবে সেবা দিতে হবে যাতে আগামীতে বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিতে বিদেশিরা বাংলাদেশে আসে। আপনারা করোনা মোকাবিলায় সফল হয়েছেন। একটু আন্তরিক হলে চিকিৎসা সেবাতেও সফল হবেন।
তিনি বলেন, এখন শুধু আপনাদের (চিকিৎসক ও হাসপাতাল পরিচালক, স্বাস্থ্যখাতের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা) সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা লাগবে। সরকার আপনাদের জন্য সবকিছুই করবে। কিন্তু আপনাদের এই আন্তরিকতা থাকতে হবে মন থেকে।
তিনি আরও বলেন, যিনি যে হাসপাতাল বা সরকারি স্বাস্থ্যখাত পরিচালনায় দায়িত্ব পাবেন তাকে সেই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার সকল দায়ভার নিতে হবে।
এছাড়া আপনাদের একটু প্রচেষ্টাতেই দেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হবেন। মানুষের অনেক কষ্টের টাকাও বেঁচে যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা শাখার সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক আহমেদুল কবীর।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া। এছাড়া সভায় ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলার সিভিল সার্জনস, জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, এবং ৭৬টি উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এ বছরই দেশের সব হাসপাতালে সান্ধ্যকালীন সেবা চালু হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বেসরকারি হাসপাতালে ৮০% সিজার, মেনে নেওয়া যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৩০টি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিজ প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেটে রোগী দেখতে পারবেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ৩০ মার্চ থেকে অফিস সময়ের পর ১০টি জেলা সরকারি হাসপাতাল ও ২০টি উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে রোগীদের দেখতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রাথমিকভাবে ১০টি জেলা হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে এটি চালু করা হবে। বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালানোর অনুমতি দেয়া হবে।’
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পর্যায়ক্রমে সব সরকারি হাসপাতালে এই প্রকল্প চালু করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তবে সরকার প্রকল্পের আওতায় সিনিয়র অধ্যাপকদের সম্মানী হিসেবে ৫০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপক ও সিনিয়র পরামর্শকদের জন্য ৪০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপক ও জুনিয়র পরামর্শকদের জন্য ৩০০ টাকা এবং এমবিবিএস ও বিডিএ থাকা চিকিৎসকদের জন্য ২০০ টাকা নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিনামূল্যে ৫০ হাজার টাকার স্বাস্থ্যসেবা পাবে ১৫ লাখ পরিবার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, এ দেশ স্বাধীন করতে যারা বিরোধিতা করেছে; ষড়যন্ত্র করেছে; মেধাবী চিকিৎসক, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে; যারা এই দেশটির স্বাধীনতাই চায়নি তারাই এখন এদেশের ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে।
রবিবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় জনসংখ্যা ও পুষ্টি ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি তারা এর আগে একবার ক্ষমতায় গিয়েছিল। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা এদেশের পতাকাকে পদদলিত করেছিল, অথচ তারাই তাদের গাড়িতে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছিল। আমরাই এক সময় তাদেরকে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে দিয়েছিলাম। তবে সেই সুযোগ তারা আর কখনই পাবে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের রোল মডেল হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। দেশে খাদ্যের অভাব নেই, একটি মানুষও দেশে না খেয়ে থাকেনা। করোনায় গোটা বিশ্ব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলেও বাংলাদেশ ঠিকই মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, এসব সম্ভব হচ্ছে কারণ জাতির জনকের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন। এই দেশকে নিয়ে যেন আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় নিয়ে আসতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান আমাদেরকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। যুদ্ধকালীন চিকিৎসকদের মেরে ফেলা যায় না, নিয়ম নেই। অথচ সে সময়কার বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের হৃৎপিণ্ড উপড়ে নেয়া হয়েছিল। চক্ষু বিশেষজ্ঞের চোখ তুলে নেয়া হয়েছিল। সে লাশগুলো পরে পাওয়া গেছে। যেগুলো লাশ পাওয়া যায়নি সেগুলো আরও কত কি করেছে। তারা দেশের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছে যা পৃথিবীর অন্য কোনও দেশে বিরল। অথচ আজ তারাই এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রংপুর মেডিকেলের ৬০০ যন্ত্রপাতির সাড়ে চারশ'ই অকেজো, এটা মেনে নেয়া যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, এটি করা গেলে দেশের মায়েদের প্রসবকালীন যে সমস্যা ও অর্থ ব্যয় হয় তা অনেকখানী কমে যাবে।
রবিবার রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) অডিটরিয়াম হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের কয়েকশ’ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইতোমধ্যে প্রসূতি মায়ের জন্য ২৪ ঘন্টা স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপনের সরকারি উদ্যোগ পুরোদমে চলছে।
তিনি তার বক্তব্যে শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহ বন্ধেরও আহ্বান জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম-এর সভাপতিত্বে সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম)-এর লাইন ডিরেক্টর আব্দুল মান্নান, জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সোমবার দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিনামূল্যে ৫০ হাজার টাকার স্বাস্থ্যসেবা পাবে ১৫ লাখ পরিবার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দরিদ্র দেশে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে উন্নত দেশগুলোকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে
দরিদ্র দেশগুলোর জনগণকে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে উন্নত দেশগুলোকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সুইজারল্যান্ডের মন্ট্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বব্যাপী রোগীদের চিকিৎসা নিরাপত্তার ওপর ৫ম আন্তর্জাতিক মিনিস্ট্রিয়াল সম্মেলনে বিশ্বের ৮০টি দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান।
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি এইচ. ই মি. এলিয়ান বারসেত এই সম্মেললের উদ্বোধন করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস সভাপতিত্ব করেন।
শুক্রবার সকালে সম্মেলনের শেষ দিবসের আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র ও অসহায়। দরিদ্র দেশগুলো নানারকম খাদ্য সমস্যায় ভোগার পাশাপাশি খুব একটা মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পায় না। এজন্য উন্নত দেশগুলোর উচিৎ অপেক্ষাকৃত সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র দেশগুলোর স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে আরও বেশি ও কার্যকর ভূমিকা রাখা। দরিদ্র দেশগুলোর রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে এগিয়ে আসতে হবে। দরিদ্র দেশগুলোর হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নত যন্ত্রপাতি কেনা ও প্রশিক্ষণ সেবা বৃদ্ধি করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন ৬০ লাখ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের বিষয়টি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সম্মেলনে আগত ৮০টি দেশের মন্ত্রীসহ বিশেষ করে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি এইচ. ই. এলিয়ান বারসেটের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবেশ করেছিল ১০ লাখের মত। এখন সেই জনগোষ্ঠী সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ লাখে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে সেখানে। এত বড় শরণার্থী শিবিরের স্বাস্থ্যসেবা দেয়া দুরূহ কাজ। এই শরণার্থীরা দিন দিন স্থানীয় লোকজনের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। যা সামলাতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাঁদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সুইজারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের সহযোগিতা একান্ত জরুরি।’
বিভিন্ন দেশের হাসপাতালে রোগীদের সেবা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল, জবাবদিহিপূর্ণ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা, সচেতনতা বৃদ্ধি করা, তথ্যের আদান-প্রদান করার ওপর জোর দেন।
সম্মেলনে অংশ নেয়া নেতাদের কোভিড-১৯ এর করণীয় পরবর্তী বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন এবং ২০২১-২০৩০ সাল ভিত্তিক একশন প্লান বাস্তবায়নে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
সম্মেলনে জাপান, সৌদি আরব, ইতালি, সিংগাপুর, মালেয়েশিয়া, হাঙ্গেরী, শ্রীলঙ্কা, ইরাক, কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, লিবিয়া, নামিবিয়া, পর্তুগাল, আরব আমিরাতসহ ৮০টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মহাখালী জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন।
দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে ৬-৫৯ মাস বয়সের দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য মায়েদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: খুলনায় তিন লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে চার থেকে পাঁচ ভাগ শিশু রাতকানা হয়ে জন্ম নিত। সেই হার এখন শুন্য দশমিক এক ভাগে নেমে এসেছে। ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল শিশুদের জন্য কেবল রাতকানা প্রতিরোধের জন্যই ব্যবহার হয় না, এই ক্যাপস্যুল শিশুদের মৃত্যুহার কমায় প্রায় ২৪ ভাগ। হাম, ফাইলেরিয়ার মত অসুখ হতে পারেনা। শিশুরা সুস্থভাবে বেড়ে ওঠে।
তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে চাই। সোনার বাংলা করতে সোনার শিশু তৈরি করতে হবে। সেই সোনার শিশু তৈরি করতে ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়াতে হবে।
এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে এই ভিটামিন যেন নির্দিষ্ট বয়সের সব শিশু খেতে পারে তারজন্য আজকের দিনে সব মায়েদের নিজ নিজ নির্দিষ্ট বয়সী শিশুকে সঙ্গে নিকটস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে টিকা খাওয়াতে অনুরোধ জানান।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্ম্দ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা-সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল নির্দিষ্ট বয়সী শিশুদের বছরে দুবার খাওয়াতে হয়। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী সারাদশের সকল সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে খাওয়ানো হবে।
এর জন্য দুই লাখ ৪০ হাজার স্বাস্থ্যসেবী ও ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী একযোগে দেশের এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়াতে কাজ করবে।
৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ শিশুকে নীল রঙের ক্যাপস্যুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী এক কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপস্যুল খাওয়ানো হবে।
সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনসংখ্যা পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. আব্দুল মান্নান এবং ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসি ১৮ শতাধিক কেন্দ্রে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে
সোমবার দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সোমবার দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামীকাল সোমবার থেকে দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী এক কোটি ৯৫ লাখ। মোট দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুইবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখছে। ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’র অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা চার শতাংশ প্রায় নাই বললেই চলে।
আরও পড়ুন: ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে জেলা, সিটি করপোরেশন ও মাঠপর্যায়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাঠানো হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি টিভি ও রেডিও এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করা হচ্ছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সব ইমামকে মসজিদে এবং হিন্দু খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মাধ্যমে সব হিন্দু পুরোহিতদের মন্দিরে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর জন্য ঘোষণা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে দুই লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। এতে ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেবেন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা হয়, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করা হয়।
এছাড়াও সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ কমায় ‘এ’ ক্যাপসুল। এছাড়াও হাম, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারেও কমেছে।
বিটিআরসির সাহায্যে দেশব্যাপী সব মোবাইল অপারেটরের মধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের তথ্য সম্মলিত খুদে বার্তা দেয়া হয়েছে।
দেশের সব শিশু বিশেষজ্ঞদেরকে (সরকারি-বেসরকারি) তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রংপুর মেডিকেলের ৬০০ যন্ত্রপাতির সাড়ে চারশ'ই অকেজো, এটা মেনে নেয়া যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন ৬০ লাখ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জরায়ুমুখের ক্যান্সার রোধে এইচপিভি টিকা দেয়া হবে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, জরায়ুমুখের ক্যান্সার রোধে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী মেয়েদের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) প্রতিরোধী টিকা দেয়া হবে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নারীদের জরায়ু মুখের ক্যান্সার বাড়ছে। তাই স্ক্রিনিং বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের দেশের নারীদের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) প্রতিরোধী টিকা দেয়ার কথা ভাবছি।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে ৫০ হাজার টাকার স্বাস্থ্যসেবা পাবে ১৫ লাখ পরিবার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এটি সরকারি কার্যক্রম। রুটিন অনুযায়ী যে টিকা দেয়া হয় এটাও সেভাবে দেয়া হবে। ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের দিলে সেটি কার্যকর হবে।
এছাড়া এটি খুবই দামি টিকা হলেও বিনামূল্যে দেয়া হবে।
জাহিদ মালিক আরও বলেন, একটি করে ডোজ দেয়া হবে। এই টিকা একবার নিলে তারা আজীবন এই রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। তবে বেশি বয়স হলে এই টিকার কার্যকারিতা কমে যায়।
এছাড়া ব্রেস্ট ক্যান্সারেও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। সেটি যাতে দ্রুত শনাক্ত করা যায়, সেজন্য যন্ত্রগুলো উপজেলা পর্যায়ে নেয়ার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মেয়েরা রক্ত শূন্যতায় ভোগে, এটি নিয়ে কর্মসূচি রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তার মাধ্যমে এটি কমে যাচ্ছে।
ডলার সংকটের কারণে এলসি বন্ধ হওয়ায় জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে জিএম কাদেরের এমন মন্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের হাসপাতালগুলোতে এ ধরনের সমস্যার কথা শুনিনি। আমাদের স্টক আছে, এবং প্রয়োজনীয় সবকিছুই পাচ্ছি। সরকার খুবই আন্তরিক। স্বাস্থ্যসেবার কোন কিছু প্রয়োজন হলে সেটি অন্য কিছু বন্ধ রেখেও হলে পূরণ করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি বলেছেন কোন সমস্যা হবে না। তবে সরকারি হাসাপাতালে এখন পর্যন্ত কোন কিছুর ঘাটতি নেই। আবেদন সাপেক্ষে সরকারি চার ব্যাংক থেকে এলসি খোলা যাবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এ বছর নিপাহ ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন ৬০ লাখ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিনামূল্যে ৫০ হাজার টাকার স্বাস্থ্যসেবা পাবে ১৫ লাখ পরিবার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারি খরচে ছয় জেলার ১৫ লাখ পরিবার বিনামূল্যে ৫০ হাজার টাকার সমপরিমাণ স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
তিনি বলেন, মানিকগঞ্জ, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, কুড়িগ্রাম এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এই সেবা পাওয়া যাবে।
এছাড়া পর্যায়ক্রমে সব জেলায় সেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
আরও পড়ুন: এ বছর নিপাহ ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দরিদ্র পরিবারকে টার্গেট করেই এই সেবা দেয়া হবে। একটি উপজেলায় ১৫ থেকে ২০ হাজার পরিবারকে তালিকায় নেয়া হয়েছে।
এখন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রতিরোধের ওপর বেশি জোর দিচ্ছি। মানসিক স্বাস্থ্যেও জোর দিচ্ছি। স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের জন্য একটি পুস্তিকা তৈরি করা হয়েছে, সেটি সব স্কুলে দেয়া হচ্ছে।
চতুর্থ ডোজ করোনা টিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চতুর্থ ডোজ যেটি দেয়া হচ্ছে, তার কোনোটিই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়নি। এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কেউ যাতে গুজবে কান না দেয়।
নিপাহ ভাইরাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন নতুন কোনো রোগী শনাক্ত না হওয়ায় ভাইরাসটি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দিচ্ছি। এছাড়া স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের জন্য একটি বুকলেট তৈরি করা হয়েছে, সেটি সব স্কুলে দেয়া হচ্ছে। কিভাবে ছোট ছেলেমেয়েরা সুস্থ্য থাকবে, কি খাওয়া উচিত এ ধরনের সব বিষয়ে সেখানে রয়েছে।
হজযাত্রীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক লাখের বেশি লোক হজে যান। তাদের যে ওষুধ লাগে, সেগুলো অনেক সময় সেখানে পাওয়া যায় না। আমরা সেগুলোর বিষয়ে ভাবছি। হজ পালনের সময় তারা কীভাবে চলবে, সেই নির্দেশনা জানিয়ে একটি স্বাস্থ্যবিধি বই আকারে তৈরি করে তাদের দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন ৬০ লাখ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী