কল সেন্টার
মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবায় ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ই-পাসপোর্ট ও ভিসা সেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
একই সঙ্গে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ই-পাসপোর্ট ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কল সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মালয়েশিয়ায় কুয়ালালামপুরে সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের সীমিত জনবল দিয়ে দেশটিতে বসবাসরত ১২ লাখ প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ অন্যান্য সেবা এবং বিদেশিদের ভিসা সেবা দেয়। আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় হাইকমিশনের কাজের পরিধি বহুলাংশে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ. লীগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ ধারণার আদলে সরকারের নির্দেশনায় পাসপোর্ট ও ভিসা সেবা সহজ ও দ্রুততর করতে আউটসোর্সিং কোম্পানি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের সেবা ও কল্যাণ নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘প্রবাসীবান্ধব নীতি’ অনুসরণ করছেন। এ লক্ষ্যে, ৩০ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: প্রবাসীরা আমাদের নায়ক, আসুন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় সহজে ও স্বল্প সময়ে ই-পাসপোর্ট ও ভিসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ই-পাসপোর্ট ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কল সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধনের ফিতা কাটেন।
এ সময় এ সার্ভিসের জন্য চুক্তিবদ্ধ আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড’ (ইএসএল) কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, প্রবাসী মিডিয়াকর্মীসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এই অঞ্চলে কোনো ‘প্রক্সি ওয়ার’ দেখতে চাই না, বিশ্বকে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখাতে চাই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ উপলক্ষে সেবা সপ্তাহ পালন করছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। এর শেষ দিনে এ কল সেন্টার উদ্বোধন করা হলো।
শিগগিরই ই-পাসপোর্ট ও ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রবাসীবান্ধব নীতি বাস্তবায়নে দূতাবাস আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলেও হাইকমিশনার উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
উল্লেখ্য, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রবাসী-বান্ধব নাগরিক সেবা নিশ্চিতে সম্প্রতি কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ই-পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদন ফরম পূরণ, স্ক্যান ও বায়োমেট্রিকসহ আবেদনের সকল কার্যক্রম ইএসএল সম্পন্ন করবে। হাইকমিশন মালয়েশিয়ার পোস্টাল বিভাগের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণ নিশ্চিত করবে।
ই-পাসপোর্ট এবং মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশের ভিসা প্রদানের লক্ষ্যে কুয়ালালামপুরের জালান দুয়া-চান শো লিনে (সিটি সেন্টারের পাশে) ভবন ভাড়া নিয়ে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবে চালু করা হয়েছে। এতে ৪৫টি সার্ভিস কাউন্টার স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েত আমির শেখ নাওয়াফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কল সেন্টারের টেলিফোন নম্বর: ০৩৯২১২০২৬৭১
সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাসপোর্ট ও ভিসা বিষয়ে এ নম্বরে কল করে পরামর্শ নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:
১০ মাস আগে
চার বিতরণ অঞ্চলে ডিজিটাল কল সেন্টার স্থাপন করবে বিপিডিবি
দেশের চারটি বিতরণ অঞ্চল চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লায় ২৪ ঘন্টা গ্রাহক সেবা দিতে ডিজিটাল কল সেন্টার স্থাপন করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি)।
রবিবার ডিজিটাল কল সেন্টার স্থাপনে বেসরকারি আউটসোর্সিং সংস্থা ডিজিকনের সঙ্গে বিপিডিবি এই চুক্তি সই করে।
এর মাধ্যমে বিপিডিবি তার ৩৬ লাখ গ্রাহককে গ্রাহক পরিষেবা দিবে।
চুক্তি অনুযায়ী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেড আগামী তিন মাসের মধ্যে ঢাকার বিদ্যুৎ ভবনে কল সেন্টার স্থাপন করবে। গ্রাহকদের সেবা প্রদানের জন্য ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কল সেন্টারটি পরিচালনা করবে বিপিডিবি।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৯ মাস ছাড়
বিপিডিবি’র কল সেন্টারটি সারা বছর ২৪ ঘন্টা চালু থাকবে এবং এটি চালু হয়ে গেলে যেকোন বিপিডিবি গ্রাহক একটি অ্যাপ ব্যবহার করে বা মোবাইল ফোন থেকে ১৬১৩১ নম্বরে কল করে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
কল সেন্টার অভিযোগটি তাৎক্ষণিক গ্রহণ করবে এবং সমস্যাটি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে অভিযোগের অবস্থা সম্পর্কে গ্রাহকের প্রতিক্রিয়াও পাঠাবে।
গ্রাহক অ্যাপ ব্যবহার করে অভিযোগের স্থিতি ট্র্যাক করতে পারেন এবং অভিযোগের সমাধান হয়ে গেলে পরিষেবাটি মূল্যায়ন করতে পারেন।
বিপিডিবি কর্মকর্তারা তাদের স্মার্ট মোবাইল ফোন থেকে একটি ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে সেবাটি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
ডিজিকন টেকনোলজিস ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য সিস্টেমটি পরিচালনা করবে। এর মধ্যে, এটি প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার তৈরি করবে এবং জনশক্তিকে প্রশিক্ষণ দেবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্রাহকসেবা প্রদানে বিপিডিবির উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
বিদ্যুৎ ভবনে এক অনুষ্ঠানে ডিজিকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরীফ এবং বিপিডিবির দাপ্তরিক ক্রয় পরিচালক রুবিনা হক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
ডিজিকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরীফ বিপিডিবিকে অন্যান্য বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির অন্য সব কল সেন্টারকে একটি সিস্টেমে একীভূত করার পদক্ষেপ নিতে বলেন, যাতে এর যেকোনো গ্রাহক সহজেই অভিযোগ করতে পারে এবং কোনো ঝামেলা ছাড়াই সেবা পেতে পারে।
আরও পড়ুন:আগস্টে রেকর্ড ৮ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা ভ্যাট সংগ্রহ
তিনি আরও বলেন, ‘কল সেন্টার এবং এর সিস্টেমটি অবশ্যই ব্যবহারকারী বান্ধব হতে হবে এবং অভিযোগ দায়েরের জন্য পাওয়ার সেক্টরের সমস্ত সংস্থার জন্য একটি অনন্য নম্বর থাকা উচিত।’ অন্যান্য বিতরণ সংস্থার মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন নম্বর মনে রাখা অসম্ভব। ইতোমধ্যে তাদের আলাদা কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বিপিডিবিকে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) অনুসরণ করার পরামর্শ দেন যাতে মনে রাখার মতো একটি সহজ অনন্য নম্বর পাওয়া যায়।
বিপিডিবি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও ডিজিকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান।
তবে ডিজিকন কীভাবে চুক্তিটি পেয়েছে এবং পরিষেবা প্রদানের জন্য কত টাকা দেয়া হবে সে সম্পর্কে অনুষ্ঠানে কিছু জানানো হয়নি।
ওয়াহিদুর রহমান জানান, বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির আওতায় ডেসকো গ্রাহকদের সেবা দিয়ে আসছেন তারা।
আরও পড়ুন: বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
২ বছর আগে
বাংলাদেশে সার্বক্ষণিক কল সেন্টার চালু করল স্যামসাং
বাংলাদেশের গ্রাহকদের সুবিধার্থে প্রথমবারের মতো সার্বক্ষণিক অর্থাৎ বছরের সব দিন এবং সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টা কল সেন্টার সেবা চালু করেছে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।
৪ বছর আগে