হাইড্রোজেন
২০৩৫ সালের মধ্যে হাইড্রোজেন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় বাংলাদেশ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
সিলেট-৩ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করা যায় ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন শক্তি ব্যবহার করা সম্ভব হবে।’
এর আগে বিকাল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদের অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য লিখিত প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন উৎপাদনের টেকসই ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিতে উন্নত বিশ্বে চলমান গবেষণার ফলাফল এবং কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) অধীনে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) একটি সেল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার পর সেল একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করবে।
এছাড়া ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট এ বছরের শেষ নাগাদ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে ২০৪১ সালের মধ্যে ক্লিন এনার্জি (নবায়নযোগ্য) থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভোলা-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিচার ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নতি করে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার সমতার ভিত্তিতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: কারিগরি ও অন্যান্য কারণে মাঝেমধ্যে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ন্যায়বিচার প্রার্থী জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সুষ্ঠু বিচারের নিশ্চয়তা দেওয়ার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত নিম্ন আদালতে মোট ১ হাজার ৪২৯ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর (ফেনী-১) প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মোট ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৭ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৪৩ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি।
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৫৮টি জেলা ও ৪৬৪টি উপজেলা সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত হয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহী এই পাঁচটি বিভাগ এখন ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত। অর্থাৎ এসব জেলা, উপজেলা ও বিভাগে কোনো ভূমিহীন গৃহহীন মানুষ নেই।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এস এম আতাউল হকের (সাতক্ষীরা-৪) প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ১৩ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা ছিল। ৯ দশমিক ১২ গুণ বাড়িয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। যা মোট জাতীয় বাজেটের ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের: মন্ত্রী
৫ মাস আগে
বিদ্যুৎ উৎপাদনে হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়া কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে সরকার: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাস্তবধর্মী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ‘টেকনো-ইকোনমিক স্টাডি অব ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন টেকনোলজিস ফর বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিস’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রচলিত জ্বালানির পাশাপাশি জ্বালানি হিসেবে কীভাবে হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়ার ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে।’
তিনি কর্মশালায় জানান, ‘শিগগিরই জাতীয় গ্রিডে পারমাণবিক বিদ্যুৎ আসবে। ১২ হাজার ৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এখন উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হতে পারে: নসরুল হামিদ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ও আর্থিক কৌশলগত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গ এনইএফ এই কর্মশালায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন উৎস ও এর ব্যয় নিয়ে গবেষণা উপস্থাপন করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে অকৃষিজ জমির প্রাপ্যতা অন্যতম প্রধান সমস্যা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনশোর এবং অফশোর বায়ু শক্তি নিয়েও এগিয়ে যাচ্ছি। সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। সঞ্চালন ও বণ্টন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং গ্রিড সিঙ্ক্রোনাইজেশনের উপর এখন বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।’
কর্মশালায় ব্লুমবার্গের পক্ষে গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন ব্লুমবার্গের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান ড. আলী ইজাদি, দক্ষিণ এশিয়ার মার্কেট লিডার ইশু কিকুমা এবং সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট তরুণ ব্লাকৃষ্ণান।
আরও পড়ুন: দু-একদিনের মধ্যে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়বে: নসরুল হামিদ
তারা ইউটিলিটি স্কেলে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিকে সমর্থন করা, ছাদ এবং ভাসমান সৌর ব্যবহার বৃদ্ধি এবং পরিষ্কার প্রযুক্তির কাজের জন্য প্রশিক্ষণের উপর জোর দিয়েছিলেন।
তারা বলেন, কয়লার সঙ্গে অ্যামোনিয়া বা প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্গে হাইড্রোজেন মিশিয়ে কার্বন নিঃসরণ কমানো যাবে, তবে খরচ বেশি হবে। অন্যদিকে সৌরশক্তির সঙ্গে ব্যাটারি বা বাতাসের সঙ্গে ব্যাটারি ব্যবহার অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব নিরোদ চন্দ্র মণ্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, স্রেড চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, আরইবির চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্তী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বুয়েটের অধ্যাপক এজাজ আহমেদ, বদরুল ইমাম। এছাড়া জ্বালানি গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরীসহ বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে: নসরুল হামিদ
১০ মাস আগে