৭ লাখ মানুষ
লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ
লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও নোয়াখালী থেকে আসা পানিতে রবিবার (২৫ আগস্ট) জেলার ৫টি উপজেলায় বন্যার পানির উচ্চতা বেড়েছে। এছাড়াও জেলার মেঘনা নদীসহ খাল-বিলের পানি বেড়ে গেছে।
এতে জেলা সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। রান্না-বান্নাসহ দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৭ লাখ মানুষ। ভেসে গেছে কয়েকশ মাছের প্রজেক্ট, মুরগি খামার।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যায় ৩ উপজেলায় ৫ জন নিহত
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যে বন্যার পানি কমতে পারে। এছাড়া বেশি ক্ষতি হয়েছে মৎস্য খাতে। প্রায় সব পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বন্যার পানিতে।
মৎস্য বিভাগ জানায়, বন্যার পানিতে লক্ষ্মীপুরের প্রায় ৪০ হাজার পুকুর ডুবে চাষের প্রায় সব মাছ ভেসে গেছে। এতে জেলায় মৎস্য খাতে প্রায় ৮০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘নদীতে ভাটা এলে জলাবদ্ধতা নিরসনে সবগুলো স্লুইচ গেট খুলে দেওয়া হয়। আবার জোয়ারের সময় গেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বন্যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
তিনি আরও বলেন, ‘এখনও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এক-দুই দিনের মধ্যে পানি কমতে পারে।’
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, ‘রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার পানি কমতে শুরু করলেও নোয়াখালী বন্যার পানির চাপে লক্ষ্মীপুর সদরের দক্ষিণাঞ্চল, কমলনগর ও রামগতি উপজেলায় পানি বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘জেলার ৫৮টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার সবগুলোতে কমবেশি জলাবদ্ধতা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ২০ হাজার মানুষ রয়েছে।’
এছাড়াও বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ দেওয়া চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বন্যার সময় বিদ্যুৎ ও গ্যাসজনিত দুর্ঘটনা থেকে সাবধান থাকতে করণীয়
৩ মাস আগে
শিবগঞ্জের ৭ লাখ মানুষের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ
জ্বালানির জন্য তহবিলের ঘাটতির কারণে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স সেবা। সাত লাখ বাসিন্দার অত্যাবশ্যকীয় জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত থাকায় স্বাস্থ্যসেবায় তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
আর এই সেবা বিঘ্নিত হওয়ার ফলে রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতাল কিংবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্বজনদের।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় স্কুলছাত্র নিহত
অ্যাম্বুলেন্স সেবার অনুপস্থিতি স্থানীয় রোগী ও স্বজনরা ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো যারা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা বহন করতে পারে না।
যারা আর্থিক অস্বচ্ছলতার মধ্যে থাকেন শুধু্ তারা এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে না। অন্যান্য জরুরি পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত ব্যয়ের বহন করতে হচ্ছে স্বচ্ছল বাসিন্দাদেরও।
আর যাদের সামর্থ্য নেই তারা এই হাসপাতালেই সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ভরসাস্থল ১০০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিন ৪০০ রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।
আরও পড়ুন: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার!
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় একটি পেট্রোল স্টেশনে ১৪ লাখ টাকার বকেয়া ঋণ রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানি বাবদ। যার ফলে গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুর রশিদ সংকটের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করেছেন।
তহবিল আসার পর শিগগিরই অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় স্বামীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে স্ত্রীর সন্তান প্রসব!
১০ মাস আগে