জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি
বাংলাদেশকে ১৭৫০০ করোনা শনাক্তকারী কিট দিয়েছে জাপান
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) কাছে কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিট হস্তান্তর করেছেন।
জাপান সরকার ও এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশনের (এএসইএফ) অর্থায়নে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইএফআরসি) পরিচালিত স্টকপাইল প্রকল্পের অধীনে এই টেস্টিং কিটগুলো সরবরাহ করা হয়।
জাপান সরকার, বাংলাদেশ সরকার, বিডিআরসিএস এবং আইএফআরসিকে কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য নতুন বিস্তার হওয়া সংক্রামক রোগের (ইআইডি) প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাস্তবায়নের জন্য ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় জটিল চিকিৎসা ব্যবস্থা ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতিতে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু নেই
‘কোভিড-১৯ এবং নতুন করে হওয়া অন্যান্য সংক্রমণ রোগের প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মঙ্গলবার মোট ১৭ হাজার ৫০০টি টেস্টিং কিট হস্তান্তর করা হয় যেগুলো অন্তত ১৭ হাজার ৫০০ বাংলাদেশির কাছে পৌঁছানো হবে।
জাপান সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা।
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটির নাম কোভিড-১৯-এর সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু এবং কলেরার মতো অন্যান্য রোগের ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সহায়তা করবে। প্রয়োজনীয় কিট সরবরাহের মাধ্যমে দেশটিতে রোগগুলোর মাত্রা হ্রাস করা হবে।
এর আগে সোমবার ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিডিআরসিএসের মহাসচিব কাজী শফিকুল আজম, আইএফআরসির প্রতিনিধিদলের প্রধান আলবার্তো বোকানেগ্রা, ডিজিএইচএসের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ ডিজিএইচএসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওষুধ ও ভ্যাকসিন উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে ইইউ'র প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পারে বাংলাদেশ: ইআইবি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী
জাপান ২০২১ সালের জুলাই থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে এবং প্রায় সাড়ে ৪ মিলিয়ন ডোজ দান করেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সমর্থন করার জন্য ২০২০ সাল থেকে ৭৫ বিলিয়ন জাপানি মুদ্রা দিয়ে কোভিড-১৯ ক্রাইসিস রেসপন্স ইমার্জেন্সি সাপোর্ট লোনও চালু করে।
এছাড়া জাপান জানিয়েছে, মানব নিরাপত্তার জন্য হুমকি কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে ‘কারো স্বাস্থ্যকে পিছিয়ে না রাখার’ নীতির ভিত্তিতে সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ (ইউএইচসি) অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: উপহার হিসেবে চীন থেকে ভ্যাকসিনের ৬ষ্ঠ চালান পেয়েছে বাংলাদেশ
৭ মাস আগে