অবৈধ গ্যাস সংযোগ
মুন্সীগঞ্জে ১১ হাজার ৩০০ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
মুন্সীগঞ্জে তিন দিনে ১১ হাজার ৩০০ অবৈধ বাসাবাড়ি ও অন্যান্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
কর্মকর্তারা জানান, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুনুর রশিদ মোল্লার নেতৃত্বে একটি দল সোম, বৃহস্পতি ও শনিবার মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়।
এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে- মধ্য বাউশিয়া, বক্তারকান্দি, ভবেরচর, আলীপুরা ভিটিকান্দি, নতুন চরচাষী, পুরান বাউশিয়া, ভবেরচর কলেজ রোড ও গজারিয়া।
আরও পড়ুন: অবৈধ গ্যাস সংযোগ, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ
প্রায় ৩৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এসব লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। যেখানে অবৈধ সংযোগধারীদের মধ্যে ১১ হাজার ৩০০ গৃহস্থালি, তিনটি ঢালাই কারখানা, পাঁচটি রেস্তোরাঁ ও ৫৯টি চায়ের দোকান রয়েছে।
তিতাস গ্যাস জানিয়েছে, উৎসস্থল থেকে প্রতিটি সংযোগ স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এ অভিযান চালান।
তিতাস গ্যাস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও আশপাশের জেলাগুলোতে তিতাস গ্যাসের ২৮ লাখ ৭৮ হাজার গ্রাহক রয়েছে।
দেশে উৎপাদিত মোট গ্যাসের প্রায় ৫৫ শতাংশ ভোক্তাদের সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এরমধ্যে বৈধ সংযোগ ছাড়াও অবৈধ সংযোগ রয়েছে বিপুল সংখ্যক।
আরও পড়ুন: অনেক বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানও অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছে: নসরুল হামিদ
তিতাস গ্যাসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘সংখ্যাটি তিন লাখের বেশি হবে এবং বেশিরভাগ অবৈধ সংযোগ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এসব অবৈধ সংযোগধারী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যোগসাজশে তিতাস গ্যাস কোম্পানির এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় গ্যাস সরবরাহ পেয়ে আসছেন। ফলে বারবার অভিযান চালিয়েও এ ধরনের অবৈধ সংযোগ স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়নি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে আরও ৩ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
৭ মাস আগে