খুনের মামলা
খুনের মামলা থেকে সাংবাদিকদের অব্যাহতি দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ডিইউজের অনুরোধ
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সাংবাদিকদের খুনের মামলায় জড়ানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
সাংবাদিকদের এ ধরনের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুরোধ জানানো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টার প্রতি।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এ অনুরোধ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের কবর রক্ষার দাবি ডিইউজের
বিবৃতিতে ডিইউজের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানান, কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে মামলা হতেই পারে। কিন্তু, বিগত সরকারকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার অভিযোগ দিয়ে খুনের মামলায় জড়িয়ে দেওয়া সমীচীন নয়।
তারা আরও জানান, এসব মামলায় গ্রেপ্তারের পর আদালত প্রাঙ্গণে হেনস্তা ও নির্যাতনের যে ঘটনা লক্ষ করা গেছে, তাও কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলা ও নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত।
তারা জানান, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে খুনের মামলা দেওয়ার ঘটনা একদিকে পুরো সাংবাদিক সমাজকে আতঙ্কিত করে তুলছে, অন্যদিকে জনগণের মনেও ভীতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। যা বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের কমিটমেন্টের ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করতে পারে। তাই, সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হলো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্র ধরে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর সাংবাদিকদের একের পর এক মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পঞ্চাশোর্ধ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেস ক্লাবের নেতৃত্বে রয়েছেন।
এই ব্যক্তিরা সাংবাদিকতার মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করছেন, অন্যদিকে সাংবাদিক সমাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু, তাদের একের পর এক হত্যা মামলা দেওয়া শুভ কোনো ইঙ্গিত বহন করে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে ডিইউজে-ডিআরইউ ও টিআইবি
১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবে ডিইউজের উদ্বেগ
২ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় স্বামী ও স্ত্রীকে খুনের মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আরেক আসামিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
রায় ঘোষণার পর দণ্ডিতদের চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আসান নগর গ্রামের ক্লাবপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক, একই গ্রামের শেষপাড়ার পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন এবং আসাননগর গ্রামের মাঝেরপাড়ার মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী।
এছাড়া আসাননগর গ্রামের স্কুলপাড়ার তাহাজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেনকে দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন বলেন, ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য শেষে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামির উপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে রায় ঘোষণা করেন।
মামলার এজাহারের বিবরণ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার পুরাতন বাজারপাড়ায় বাস করতেন নজির মিয়া ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন। ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে যেকোনো সময় গলা কেটে হত্যা করেন আসামিরা।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ২৫ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ শিহাব উদ্দীন তদন্ত শেষে হত্যায় সরাসরি জড়িত সাহাবুল হক, রাজিব হোসেন, বিদ্যুৎ আলী ও ভিকটিমের মোবাইল কেনায় জড়িত শাকিল হোসেনের নামে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণের পর হত্যা: যুবকের মৃত্যুদণ্ড
বোনের প্রেমিকাকে হত্যা: ভাইসহ দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড
৭ মাস আগে