প্রধান শিক্ষিকা
নড়াইলে হাত-পা বেঁধে প্রধান শিক্ষিকাকে হত্যা
নড়াইলের লোহাগড়ায় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে হাত-পা বেঁধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সবিতা রানী মন্ডলকে (৫০) হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ইতনা ইউনিয়নের চরদৌলতপুর গ্রামের রথখোলা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সবিতা চরদৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা এবং ওই গ্রামের পরিতোষ মন্ডলের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সবিতা ঘরে বসে ল্যাপটপে বিদ্যালয়ের কাজ করছিলেন। তার স্বামী পাশের ঘরে ছিলেন। অনেক রাত হয়ে গেলেও সবিতার কোনো সাড়া না পেয়ে পরিতোষ মন্ডল তাকে ডাকতে এসে দরজা ভেতর থেকে আটকানো দেখতে পায়। পরে অন্যদের ডেকে এনে দরজা ভেঙে হাত-পা বাঁধা এবং মুখে কাপড় গোঁজা অবস্থায় সবিতাকে পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে সোমবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে ঘরের পেছন দিকে সিঁধ কাটা দেখতে পায়। সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে সবিতাকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে তারা।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চুরির উদ্দেশ্যে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে তাকে হত্যা করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে।’
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
২ মাস আগে
প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্কুলের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউপির মনিঞ্জাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষিকা পূরবী চৌধুরী ও পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় জেলাজুড়েই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এঘটনার পর এলাকাবাসী সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পিনাকীসহ ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
গ্রামবাসীর অভিযোগে বলা হয়, প্রায় তিন যুগ ধরে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গ্রামবাসীর যত্নে কিছু ছায়াবৃক্ষ বড় হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই বৃক্ষের ছায়ায় পাঠ নিচ্ছে বহুদিন ধরে। গত ৩ মার্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের সহায়তায় কর্তৃপক্ষ বা গ্রামের সঙ্গে কথা না বলেই এসব গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা।
গ্রামের শিক্ষার্থী অভিভাবক প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল আলী বলেন, গাছগুলো কাটায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। গাছগুলো আমার হাতে লাগানো, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ গাছ কাটে না। কিন্তু আমাদের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন মর্মান্তিক কাজ করেছেন প্রধান শিক্ষিকা পূরবী চৌধুরী।
গ্রামের প্রাক্তন মেম্বার মফজ্জুল ইসলাম ও আব্দুর রশিদ বলেন, গাছ কাটায় কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। আমরা জেনেছি বন বিভাগের অনুমতি, মতামত কিংবা তাদের দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করাও হয়নি।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা পূরবী চৌধুরী বলেন, উপজেলার নিবাহী কর্মকর্তার অনুমেতি নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে এই গাছগুলো কাটা হয়েছে।
ইউপি সদস্য সুমন মিয়া বলেন, ইউএনওর অনুমেতি নিয়ে বিদ্যালয়ের নানা জাতের গাছগুলো কেটেছেন শিক্ষিকা।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তাফা মুন্না বলেন, ছাতকে বন বিট কর্মকর্তাকে জানানোর পর বিট কর্মকর্তা সরেজমিনে গিয়ে মতামত ও মূল্য নির্ধারণ করে জেলা কমিটিতে পাঠিয়েছেন।
এব্যাপারে জেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন আহমদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ছাতক বন বিট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানালেন, তিনি বা ছাতক বন বিটের কর্মকর্তা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তারা মতামতও দেননি। মূল্যও নির্ধারণ করেননি।
এব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস বলেন, অভিযোগ আমিও পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে তিনি ছাতকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবেন।
আরও পড়ুন: যশোরে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্ত শুরু
টিপু-প্রীতি হত্যা: আ. লীগ নেতা আশরাফসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
৭ মাস আগে