চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে ঈদুল আযহার প্রধান জামাত সকাল পৌনে ৮টায়
আগামীকাল সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হবে। এবার চট্টগ্রামে ঈদুল আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ৮টায় নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে। এতে ইমামতি করবেন মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে একই মসজিদে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ৯টায়। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানেও একটি করে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
চট্টগ্রামে ঈদ জামাত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে চসিক ও জেলা প্রশাসন।
নগরীর লালদীঘি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। একই সময়ে সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, চকবাজার সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ ও মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির ব্যবস্থাপনায় এবারের ঈদুল আযহার প্রধান ঈদ জামাত স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম আসন্ন ঈদুল আজহার নামাজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। জেলা প্রশাসনের নিজস্ব তহবিল থেকে নামাজের প্যান্ডেল, ত্রিপল ও ফ্যান সহ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় মুসল্লীদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্তে জেলা প্রশাসক ও কমিটির সভাপতিকে এবং জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
পড়ুন: সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ঈদ শনিবার
ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ১৮ রোহিঙ্গা আটক
নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়কেন্দ্র থেকে পালিয়ে আসা ১৮ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার চট্টগ্রামের মীরসরাই বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- হালিমা খাতুন (২৭), মিজান (৮ মাস), ফাতেমা (১৩), মোস্তাকিমা (২০), সানজিদা (২১), আবু বক্কর (২৫), ইসমত আরা (৩), শওকত আরা (৫), সালামত খান (২১), শওকত উল্যাহ (২২), ইমান শরীফ (৬ মাস), হাসান শরীফ (৬), দজুমা খাতুন (১৮), শাহীনা (১৯), আব্রাহাম খান জয় (১) ও আরিফ উল্যাহ (২১)। বাকি দুজনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মীরসরাই ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হাবিব বলেন, মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুপার ডাইক এলাকা থেকে ১৬ জন নারী, পুরুষ ও শিশু রোহিঙ্গাকে আটক করে জোরারগঞ্জ থানায় পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আরও দুজন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে একজন নারী ও একজন পুরুষ।
জোরারগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আব্দুল বাতেন বলেন, নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে ১৮ রোহিঙ্গা পালিয়ে যাওয়ার সময় মীরসরাই ইকোনমিক জোনের সুপার ডাইক এলাকা থেকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে থাই রাষ্ট্রদূত
রোহিঙ্গাদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল হচ্ছে: ত্রাণ সচিব
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দুঃসাহসিক নৌ অভিযান পরিচালনাকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আবু মুসার অবদান জাতি চিরকাল কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।
শেখ হাসিনা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, ৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত আড়াইটায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিজ বাসভবনে মারা যান আবু মুসা চৌধুরী।
পড়ুন: বীর মুক্তিযোদ্ধা নৌ কমান্ডো আবু মুসা চৌধুরী মারা গেছেন
বীর মুক্তিযোদ্ধা নৌ কমান্ডো আবু মুসা চৌধুরী মারা গেছেন
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু মুসা চৌধুরী (৬৮) মারা গেছেন।
(৭ জুলাই) বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি। আজ শুক্রবার বিকালে ফটিকছড়ির নিজবাড়ীতে রাষ্ট্রিয় মর্যদায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার হাইদচকিয়া গ্রামের মহব্বত আলী মুন্সী বাড়ি বাসিন্দা ও একাত্তরে নৌ-অপারেশন এমটি অ্যাভলুজসহ অনেক সফল নৌ-যুদ্ধের নায়ক ছিলেন মরহুম এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পড়ুন: গুলিবিদ্ধ শিনজো আবে মারা গেছেন
চট্টগ্রামে ইয়াবা উদ্ধার, পুলিশ কনস্টেবলসহ গ্রেপ্তার ৪
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) এলাকা থেকে ইয়াবাসহ উপল চাকমা (৪৫) নামে এক পুলিশ সদস্য ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চমেক হাসপাতালের পূর্ব গেইটস্থ কেনটাকি রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার ২৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার কনস্টেবল উপল চাকমা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) নগর বিশেষ শাখায় কর্মরত আছেন। তার তিন সহযোগী হলেন-নান্টু দাশ (৪২), মো. কামরুল ইসলাম (৩০) ও মো. গিয়াসউদ্দিন (৪২)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেসুর রহমান বলেন,‘পুলিশ কনস্টেবল উপল চাকমাকে তিন সহযোগীসহ আটক করে র্যাব। তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার ২৬০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মেডিকেল কলেজ পূর্ব গেইট এলাকায় অবস্থান করার সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে সিটিএসবির কনস্টেবল উপল চাকমাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবার সকালে র্যাব–৭–এর ডিএডি মো. শহিদুল আলম বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেছেন বলেও জানান উপকমিশনার।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বামীকে ফাঁসাতে ইয়াবা ক্রয়, নারী আটক
কক্সবাজারে কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের জন্য মালিকপক্ষ দায়ী
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিভাগীয় কমিশনারের গঠিত তদন্ত কমিটি। অগ্নিকাণ্ডের জন্য ডিপো মালিক ও সরকারি তদারকি সংস্থাকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি।
বুধবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের এক মাস দুই দিন পর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিপোতে থাকা কন্টেইনার ভর্তি রাসায়নিক হাইড্রোজেন পারক্সাইড থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ডিপোতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড ধারণকারী কন্টেইনারে জাতিসংঘের (ইউএন) সার্টিফিকেট ছিল না।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের ৩২ দিন পর বিএম ডিপোতে মিলল পোড়া হাড়গোড়
মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট ২০ দফা সুপারিশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার জন্য হাইড্রোজেন পার অক্সাইড কন্টেইনার ভর্তির পর দীর্ঘদিন রেখে দেয়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রায় ২৬টি কন্টেইনারের মধ্য থেকে কয়েকটি ৪০দিন ধরে ডিপোতে পড়েছিল। এসব কন্টেইনার রপ্তানির জন্য স্টাফিং করার পরও চার দফা শিপমেন্ট পিছিয়েছিল শিপিং এজেন্ট।
ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে করণীয় সম্পর্কে সুপারিশসহ তিনটি বিষয়ের ওপর প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
পুরো তদন্তে বিএম ডিপোর পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২৪ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। এছাড়া বিএম ডিপোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও পরিচালক মজিবুর রহমানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানান মিজানুর।
তিনি বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, শ্রম বিভাগ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার বিস্ফোরণে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়
এছাড়া ঢাকার অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে বিভিন্ন রাসায়নিকের ১৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব পরীক্ষার প্রতিবেদনও তদন্ত প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের এক মাস পর বুধবার সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপো থেকে আরেকটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গত ৪ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও পরবর্তী বিস্ফোরণে ৫১ জন নিহত ও ২০০ জনের বেশি আহত হয়।
আরও পড়ুন: বিএম কন্টেইনার ডিপো থেকে ১০ ডিভিআর মেশিন উদ্ধার
দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এক পূর্বাভাসে বলেছে- ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সিলেটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান সপ্তম
পদ্মা সেতুর আদলে হবে চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেল সেতু
অবশেষে ২০০১ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা শতবর্ষী কালুরঘাট সেতুটি নির্মাণে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।
পদ্মা সেতুর আদলে হবে চট্টগ্রামের কাক্ষিত কালুরঘাট রেল সেতু। পদ্মা সেতুর মত দ্বিতল ডিজাইনে কালুরঘাট সেতুর ওপরে দুই লেনের সড়ক ও নিচে ট্রেন চলাচল উপযোগী করে নকশা প্রণয়ণের কাজ চলছে। রেল সেতুতে ব্রড ও মিটার গেজ ট্রেন চলাচল উপযোগী রেল লাইন বসানো হবে।বুধবার দুপুরে পূর্বাঞ্চলীয় রেলের সদর দপ্তরের (সিআরবি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সেতুর প্রাথমিক সমীক্ষা শেষে সেতু নির্মাণের স্থান, নকশা, ব্যয় ও নির্মাণকাল নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তাবনা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেছে দাতা সংস্থা কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক।সভায় জানানো হয়, নতুন ডিজাইনে সেতুটি নির্মাণের জন্য আগের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ব্যয় করতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই কালুরঘাট সড়ক কাম রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে পারে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে জয়-পুতুলের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাইরালবৈঠক শেষে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কালুরঘাট সেতু নিয়ে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ফিজিবিলিটি স্টাডি করছে। আমাদের জানানো হয়েছে, ব্রিজের ওপরের ডেকে থাকবে সড়ক, নিচের ডেকে থাকবে রেললাইন। উভয়ই ডাবল লাইন হবে। রেল ডাবল লাইন হবে, সড়কও ডাবল লাইন। পদ্মা সেতুর আদলে আগামী বছরের শুরুতে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। সেতুটির ৭৮০ মিটারের ওপরে চলবে গাড়ি আর নিচে ট্রেন। দুটিই হবে ডাবল লাইনের। ফলে ট্রেন-গাড়ি একই সময়ে যেতেও পারবে, আসতেও পারবে। প্রাথমিকভাবে ব্রিজের দৈর্ঘ্য আমাদের বলা হয়েছে ৭৮০ মিটার, বায়াডাক্ট ৫ দশমিক ৬২ মিটার। স্প্যান হবে ১০০ মিটার। ব্রিজের উচ্চতা হবে ১২ দশমিক ২ মিটার।’তিনি আরও বলেন, ‘আগামী মাসে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ফাইনাল ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট জমা দেবে। এরপর টেন্ডার হবে। আমাদের টেন্ডার শেষ করতে প্রায় ছয় থেকে আট মাস সময় লাগবে। তারপর ইডিসিএফ ফান্ড দেবে। ফান্ড দিলে কাজ শুরু হবে। টেন্ডারের পর সেতুটি নির্মাণের প্রায় চার বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের খরচ ছয় হাজার ৩৪১ কোটি টাকার মতো বলা হয়েছে।’প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছে কাজ শুরুর সময় থেকে চার বছর। আর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একনেকে অনুমোদন, দরপত্রসহ আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে তারা সেতুর কাজ শুরু করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সেতুটি নির্মাণ শেষ হতে বর্তমান সময় থেকে পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও প্রকল্প পরিচালক গোলাম মোস্তফা, ইউশিন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার কোণ উক পার্ক, কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. গোলাম মোস্তফা, ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেডের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. আনোয়ারুল হক, ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো. রিয়াজুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কোটি টাকা মূল্যের সিগারেট জব্দ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মঙ্গলবার অবৈধভাবে বিদেশ থেকে আনা ৭ হাজার ২৬২ কার্টন (১৪ লাখ ৫২ হাজার ৪০০ পিস) সিগারেট জব্দ করেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি ১০ লাখ টাকা।
বুধবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম থেকে ৪১৭ জন হজযাত্রী নিয়ে প্রথম ফ্লাইট ছেড়ে গেল
চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার সালাউদ্দিন রিজভী জানান, বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৮ নামের একটি ফ্লাইটে করে অবৈধভাবে সিগারেটের চালানটি আসে। সাত হাজার ২৬২ কার্টনে সুপার স্লিম ইজি স্পেশাল গোল্ড, ইজি স্পেশাল লাইট, মন্ড স্ট্রবেরি ফ্লেভার, বেনসন লাইট ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। পণ্যের চালানটিতে শর্তসাপেক্ষে আমদানি যোগ্য ও উচ্চ শুল্ককর আরোপযোগ্য পণ্য অর্থাৎ সিগারেট নিয়ে আসার মাধ্যমে বিপুল রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আইনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রামে ইভ্যালির সাবেক সিইও ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
প্রতারণার অভিযোগে ই-কমার্স ভিক্তিক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করা হয়েছে।নগরীর চকবাজার থানার ডিসি রোডের ব্যবসায়ী চৌধুরী নাঈম সরোয়ার বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পণ্য ক্রয়ে লোভনীয় অফারে প্রতারিত হয়ে এবং চেক ডিজঅনারের অভিযোগে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।মামলার এজাহারে অভিযোগ আনা হয়, চৌধুরী নাঈম সরোয়ার ইভ্যালির বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হয়ে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার মোটরসাইকেল অর্ডার দেন। কিন্তু দীর্ঘসময়ে তার কাছে কোনো মোটরসাইকেল সরবরাহ করা হয়নি। পরে ইভ্যালির অফিস থেকে একটি চেক দেয়া হয়। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে প্রত্যাখ্যাত হয়।বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে চেক প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মো. ফারুক বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে চেক প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রামের আরেক ব্যবসায়ী একই আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছিলেন।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সরবরাহকারী কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়ে ইভ্যালি। এত অল্প সময়ে বিপুল টাকা কোথায় গেল, তার হদিস এখনও মেলেনি। ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালির এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্বজনসহ ইভ্যালির রাসেলের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ