ইসমাইল হানিয়া
হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার
প্রয়াত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, 'ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে আমাদের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান হিসেবে মনোনীত করার ঘোষণা দিচ্ছি।’
৬১ বছর বয়সী সিনওয়ার ২০১৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রধান। তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ইসরায়েলি কারাগারে কাটিয়েছেন এবং ২০১১ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির অধীনে মুক্তি পান।
ইসরায়েল মনে করে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন সিনওয়ার।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠান উপলক্ষে তেহরানে অবস্থানকালে বিমান হামলায় নিহত হন ইসমাইল হানিয়া। এই হামলাকে 'বিশ্বাসঘাতক' ইসরায়েলের অভিযান বলে দাবি করে হামাস।
২ মাস আগে
ইরানে বিমান হামলায় নিহত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া
ইরানের রাজধানী তেহরানে এক হামলায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ড।
বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে যান হানিয়া।
হানিয়া কীভাবে নিহত হলেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ইরান। হামলার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে রেভল্যুশনারি গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
হানিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে হামাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর তেহরানে নিজ অবস্থানস্থলে জায়নবাদীদের বিমান হামলায় হানিয়া নিহত হয়েছেন।’
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণ, আরব ও মুসলিম দেশ এবং বিশ্বের সব স্বাধীন মানুষের কাছে শোক প্রকাশ করে ইসমাইল হানিয়াকে শহীদ ঘোষণা করেছে হামাস।
হানিয়া ২০১৯ সালে গাজা উপত্যকা ছেড়ে কাতারে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন।
এদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার না করলেও সন্দেহের তীর ইসরায়েলের ওপরই গিয়ে পড়ছে। এই হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে হামাস।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত ও ২৫০ জিম্মির পর হামাস প্রধান হানিয়া ও অন্যান্য নেতাদের হত্যার অঙ্গীকার করে দেশটি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ইসরাইলকে দায়ী করেন বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য আসেনি। তাছাড়া নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কোনো গুপ্তহত্যা নিয়ে সাধারণত মন্তব্য করে না ইসরায়েল।
হানিয়ার মৃত্যুর বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি হোয়াইট হাউজও। যেসময় বাইডেন প্রশাসন একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তির বিষয়ে হামাস ও ইসরায়েলকে রাজি করাতে চাপ প্রয়োগ করছিল সেসময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটল।
৩ মাস আগে