দুদক
সস্ত্রীক কেয়ার চেয়ারম্যানের জামিন, সন্তানদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান ও তাঁর স্ত্রী নাসরিনকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে এ দম্পতির তিন সন্তানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আদালতের আদেশ অমান্য করায় ওসিকে তলব
আগাম জামিন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এদিন আদালতে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ আবদুল খালেক পাঠান, তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক পাঁচটি মামলা করে দুদক।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকের কাছে ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
মামলা দায়েরের পরদিনই ১৬ সেপ্টেম্বর আবদুল খালেক পাঠান, তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আজ স্বামী-স্ত্রীকে জামিন ও তিন সন্তানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন।
রাবিতে ভিসি সোবহানের দেয়া ১৩৮ জনের নিয়োগ স্থগিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান মেয়াদের শেষ দিনের আগের রাতে ৫ মে অ্যাডহক ভিত্তিতে দেয়া ১৩৮ জন শিক্ষক ও কর্মচারীর নিয়োগ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে ছাত্রলীগ শিক্ষক ধাক্কাধাক্কি, সিন্ডিকেট সভা স্থগিত
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি জানান, নিয়োগ স্থগিতের পাশাপাশি আদালত রুল জারি করেছেন। সাবেক এই ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির কারণে ব্যবস্থা না নেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রিটের বিবাদী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, ইউজিসির চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, রাবির ভিসি ও রেজিস্ট্রার এবং অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানকে এ রুলের জবাব দিতে বলেছেন। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা স্থগিত ও দুদককে ভিসির বিষয়ে তদন্ত করে ১৪ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
গত ৩১ আগস্ট কনজুম্যার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: রাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে গত ৬ মে ছিল অধ্যাপক আবদুস সোবহানের শেষ কর্মদিবস। কিন্তু শেষ দিনে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী পদে ১৩৮ জনকে ‘অ্যাডহক’ (অস্থায়ী) ভিত্তিতে নিয়োগ দেন। তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনার মধ্যে পুলিশ পাহারায় উপাচার্য ভবন ছাড়তে হয়েছিল অধ্যাপক সোবহানকে। এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমপি শিমুলের মামলা
একই দিনে ওই নিয়োগের কার্যকারিতা স্থগিত রেখে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মো. আলমগীরকে কমিটির প্রধান করা হয়। এ তদন্ত কমিটি গত ২৩ মে কমিটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়; যেখানে ১৩৮ জনের নিয়োগকে সম্পূর্ণ অবৈধ উল্লেখ করে তা বাতিলের সুপারিশ করা হয়। সেই সঙ্গে সোবহানসহ দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা এবং তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করে ওই তদন্ত কমিটি।
এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা: নির্দোষ দাবি ৭ আসামির
ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাত আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেছেন।
এই সাত আসামি হলেন-ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।
রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
এরপর তারা লিখিত বক্তব্য দেবেন বলেও আদালতকে জানান। পরে আদালত তাদের লিখিত বক্তব্য দাখিলের জন্য ৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
পুলিশের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের ১০ কোটি টাকার মামলা
এর আগে গত মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক বেনজীর আহমেদকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এদিন জেরা শেষ হওয়ায় আদালত আসামিপক্ষের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ২১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঋণ জালিয়াতি ও চার কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আদালতে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
দুর্নীতির অভিযোগে ৮ জনের ব্যাংক হিসেব জব্দের আদেশ
সরকারি তহবিল থেকে সাড়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের করা মামলায় জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, ব্যাংক ও পুলিশ বিভাগের আট কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছেন মাগুরা জেলা জজ আদালত। বুধবার এই আদেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ পাসপোর্ট কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল মাগুরার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে উল্লিখিত অভিযোগে মাগুরার সাবেক হিসাররক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ হিসাবরক্ষণ, ব্যাংক ও পুলিশ বিভাগের ২৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অন্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ মামলাটি দাখিল করেন। মঙ্গলবার দুপুরে মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে আটজনের ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন মাগুরার সিনিয়র স্পেশাল আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
আরও পড়ুনঃ পুলিশের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের ১০ কোটি টাকার মামলা
ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন মাগুরা জেলার সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, পুলিশের উপপরিদর্শক হাসিনা খাতুন, পুলিশের দুই সহকারী উপ-পরিদর্শক শাহ আলম, আতিয়ার রহমান, চার পুলিশ সদস্য গাজী মশিউর রহমান, তাসলিমা খাতুন, হালিমা খাতুন ও ফিরোজ হোসেন। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
মাগুরা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী এস্কেন্দার আজম বাবলু অভিযোগের বিষয়ে জানান, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পুলিশের সাধারণ তহবিল (জিপিএফ) ও নিরাপত্তা তহবিলের হিসাব থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে দশ কোটি ৪৪ লাখ এক হাজার ৩৪৮ টাকা আত্মসাৎ করেন ব্যাংক হিসাব জব্দ হওয়া উল্লেখিত আটজনসহ মাগুরা পুলিশ, হিসাবরক্ষণ অফিস ও সোনালী ব্যাংকের ২৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজসে দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে মাগুরা পুলিশের সাধারণ তহবিল (জিপিএফ) ও নিরাপত্তা তহবিলের হিসাব থেকে এ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের ১০ কোটি টাকার মামলা
ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে জিপিএফসহ বিভিন্ন বিলের নামে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পুলিশের ১৬ কর্মকর্তাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৬ আগস্ট) যশোরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা
মামলার আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার এসআই হাসিনা খাতুন, এসআই মো. সবুর আলম খান, যশোর পুলিশ লাইন্সের এসআই মো. মাহাবুব আলম, মাগুরা পুলিশ লাইন্সের অবসরপ্রাপ্ত এসআই মো. সাইফুর ইসলাম ও টিএসআই খান মো. আব্দুল হাই, এএসআই মো. আতিয়ার রহমান ও শাহ আলম গাজী।
এছাড়া মাগুরা জেলা পুলিশ লাইন্সের হিসাবরক্ষক মো. শরিফুজ্জামান, মাগুরা জেলা হিসাবরক্ষণ ও ফিন্যান্স কর্মকর্তা জি এম জিল্লুর রহমান, ফিন্যান্স কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ও সরকার রফিকুল ইসলাম, একই অফিসের অডিটর মো. আজমল হোসেন, মো. আব্দুল লতিফ মিঞা, রথিন বিশ্বাস, মো. ফজলুর শহিদ ও শেখ আব্দুস সালাম, মাগুরা জেলা পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল গাজী মশিউর রহমান, মো. ফিরোজ হোসেন, শিপন মৃধা, মোছা. তাসলিমা খাতুন, হালিমা, অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, মো. আকবর আলী ও আবুল কাশেম ছাড়াও নড়াইলের বাসিন্দা আজমল মুন্সি ও মাগুরার বাসিন্দা রোকাইয়া ইয়াসমিন বিচিত্রা এবং সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ওয়াজেদ আলীকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পাসপোর্ট কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, মাগুরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে কথিত জিপিএফ, ল্যাম্প গ্র্যান্ট, ডিপোজিট এগেইনেস্ট সাপ্লাইজ অ্যান্ড ওয়ার্ক নামে বিল মাগুরা জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে প্রেরণ করে ৯ জনের নামে ৮১টি অ্যাকাউন্ট পে চেক ইস্যু করার মাধ্যমে ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৩ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা।
আরও জানা যায়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে একই পদ্ধতিতে অস্তিত্বহীন ছয়টি বিলের মাধ্যমে জেলা পুলিশ মাগুরার ছয়জন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য তাদের জিপিএফ’র প্রাপ্য অর্থের অতিরিক্ত ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৮১৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। এভাবে আসামিরা মোট ১০ কোটি ৪৪ লাখ এক হাজার ৩৪৮ টাকা আত্মসাৎ করেন।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা
সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সালাউদ্দিন, ব্যাংকের গোডাউন কিপার আ. মান্নান হাওলাদারসহ তিনজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা।
দুদকের উপপরিচালক মো. শাওন মিয়ার করা এই মামলা সোমবার খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নথিভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মামলার এজাহারে বলা হয়, স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখা থেকে ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ নেয়। এই ঋণের বিপরীতে গোডাউনে রক্ষিত রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি মাছ জামানত ছিল। ব্যাংকের পক্ষ থেকে গোডাউন কিপার আ. মান্নান হাওলাদার ও সাপোর্টিং স্টাফ আ. রহিম বাবু গোডাউন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মো. সালাউদ্দিন ব্যাংকের গোডাউন কিপারের যোগসাজশে ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। গভীর রাতে গোডাউন খুলে চিংড়ি মাছ পাচারকালে ব্যাংকের তৎকালীন ডিজিএম মো. আবু হোসেন শেখ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) পুলিশের সহায়তায় গোপন মাছ বিক্রির প্রমাণ পান। তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন। কিন্তু এই ঘটনায় ব্যাংকের সিবিএর নেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে ডিজিএমকে লাঞ্ছিত করেন এবং পুলিশের কাছে মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে পুলিশ পক্ষপাতমূলকভাবে এই মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দেয়।
দুদকের এজাহারে উল্লেখ রয়েছে , মো. আ. রহিম বাবু ব্যাংকের সিবিএ নেতা হওয়ায় তখনকার ডিজিএমকে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার হুমকি দেন। এমতাবস্থায় ডিজিএম সিবিএ নেতাদের চাপে কোনো ব্যবস্থা নিতে এবং তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেননি।
ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অভিযোগ, দুদক মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মো. আ. রহিম বাবু শ্রমিক লীগনেতা ও সোনালি ব্যাংক সিবিএর সাবেক সভাপতি। দলীয় কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। অবসরে গেলেও নতুন নির্বাচন না হওয়ায় তিনিই এখনো সিবিএ নেতা। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় এই মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: যশোরে দুদকের মামলায় রাজস্ব কর্মকর্তা কারাগারে
সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার বর্তমান ডিজিএম শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, গোডাউন কিপার আ. মান্নান হাওলাদার সাময়িক বরখাস্ত আছেন। মামলার কপি পাওয়া গেলে অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অর্থঋণ আদালতে প্রায় ২০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পাসপোর্ট কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুর্নীতি ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে পাসপোর্ট কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুটি পৃথক মামলা করেছে।
তদন্ত শেষে বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত অফিসে মামলা দুটি করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ অফিসের উপ পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ইউএনবিকে জানান, দুদকের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক মামলা দুটি করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা নারীকে ভোটার করায় ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অভিযোগ অনুযায়ী, সম্পদ বিবরণীতে অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) উপপরিচালক মোতালেব হোসেন ২০০৪ সালের ১১ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ৭৪ লাখ ২৭ হাজার টাকা এবং তাঁর স্ত্রী ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত তিন কোটি ১০ লাখ টাকা দেখিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মোতালেব প্রায় ১১ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। তিনি অবৈধভাবে প্রায় ৪২ লাখ টাকা আয় করেন। তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহানের সম্পদের বিবরণীতে এক কোটি টাকার তথ্য উল্লেখ করেননি এবং তিন কোটি আট লাখ টাকার বেশি অর্থের কোনও উৎস দেখাতে পারেননি।
সাঈদ খোকন ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন ও তার মা, স্ত্রী, বোনের আটটি ব্যাংক হিসাব জব্দ (ফ্রিজ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল
রোববার তদন্তের অংশ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)উপ পরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দের অবেদন করেন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েসের আদালত এই নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন: সাঈদ খোকন
সোমবার দুদকের এক সূত্র জানান, দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের অংশ হিসেবেসাঈদ খোকনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তিনটি ব্যাংক হিসাবসহতার মা ফাতেমা হানিফ, স্ত্রী ফারহানা আলম, বোন শাহানা হানিফেরআটটি ব্যাংক জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঘুষ কেলেঙ্কারি: এনামুলের জামিন আবেদন খারিজ
ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় দুদকের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস.এম. মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি (ডিএজি) জেনারেল এ.কে.এম আমিন উদ্দিন মানিক। জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম তার জামিন আবেদন খারিজ করেন। এই খারিজাদেশের পর ১৬ জুন হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন খন্দকার এনামুল বাছির। এ মামলায় ১১ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ায় তাকে আদালত জামিন দেননি বলে জানিয়েছেন ডিএজি আমিন উদ্দিন মানিক।
২০১৯ সালের ২২ জুলাই রাত পৌনে ১১টার দিকে মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকেরই একটি টিম।
পরদিন ২৩ জুলাই জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে.এম. ইমরুল কায়েস তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা নারীকে ভোটার করায় ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্য পাঁচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে এর আগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে সংস্থাটি।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন : খুলনায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
খন্দকার এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে অ্যান্টি করাপশন অফিসার (এসিও) হিসেবে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।
চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা নারীকে ভোটার করায় ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চট্টগ্রামে রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড ও পাসপোর্ট পেতে সহযোগিতার অভিযোগে নির্বাচন অফিসের ৫ কর্মচারী, জনপ্রতিনিধিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২-এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন, ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসারের অফিস সহায়ক মো. জয়নাল আবেদীন (৩৪), সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসারের এমএলএসএস মো. নুর আহম্মদ (৪২), হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচন অফিসারের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর (অস্থায়ী) মো. সাইফুদ্দিন চৌধুরী, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট (অস্থায়ী) সত্য সুন্দর দে, হাটহাজারী মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছার, মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য, মো. নুরুল ইসলাম, মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক জন্মসনদ প্রস্তুতকারী মো. বেলাল উদ্দিন। এছাড়া মির্জাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আবদুর ছালাম, মো. আজিজুর রহমান, লাকী (প্রকৃত নাম রমজান বিবি), নজির আহম্মেদ।
আরও পড়ুন: খুলনায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৯ সালে রোহিঙ্গা নাগরিক রমজান বিবি নিজের পরিচয় গোপন করে চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিস থেকে এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করতে আসলে তাকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, নির্বাচন অফিসের কর্মচারীদের সহযোগিতায় অনেক রোহিঙ্গা নাগরিক এনআইডি কার্ড পেয়েছে। পরে নির্বাচন অফিসের কর্মচারী ও এই চক্রের মূল হোতা জয়নালসহ বেশ কয়েকজনকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: দুদক গত ৫ মাসে কতজনকে অব্যাহতি দিল তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট
ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরিতে আসামিরা একে অপরকে সহায়তা করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।