জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান ও তাঁর স্ত্রী নাসরিনকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে এ দম্পতির তিন সন্তানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আদালতের আদেশ অমান্য করায় ওসিকে তলব
আগাম জামিন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এদিন আদালতে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ আবদুল খালেক পাঠান, তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক পাঁচটি মামলা করে দুদক।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকের কাছে ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
মামলা দায়েরের পরদিনই ১৬ সেপ্টেম্বর আবদুল খালেক পাঠান, তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আজ স্বামী-স্ত্রীকে জামিন ও তিন সন্তানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন।