গোপন আটক কেন্দ্র
আটটি গোপন ‘আটক কেন্দ্রের’ সন্ধান পেয়েছে গুম কমিশন
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিশন আটটি গোপন আটক কেন্দ্রের সন্ধান পেয়েছে। এসব কেন্দ্রে বছরের পর বছর ধরে আটককৃতদের নির্যাতন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে গুম কমিশনের প্রধান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আয়নাঘরের চেয়েও ভয়ংকর আটটি গোপন আটক কেন্দ্রের সন্ধান পাওয়া গেছে।’
আরও পড়ুন: বিএফআইইউর সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত গুমের প্রায় ১ হাজার ৬০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে এবং ৪০০টি অভিযোগের তদন্ত চলছে।
এসব অভিযোগের মধ্যে র্যাবের বিরুদ্ধে ১৭২টি, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) বিরুদ্ধে ৩৭টি, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিরুদ্ধে ৫৫টি, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) বিরুদ্ধে ২৬টি, পুলিশের বিরুদ্ধে ২৫টি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে রয়েছে ৬৮টি।
এছাড়া গুমের শিকার দুই শতাধিক ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান কমিশনের প্রধান।
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে গত ২৭ আগস্ট পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠন করে সরকার।
গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনাগুলোর তদন্ত, গুম হওয়াদের খুঁজে বের করতে গত ২৭ আগস্ট পাঁচ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করে সরকার।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে গুমের ঘটনা তদন্ত, গুমদের শনাক্ত এবং কোন পরিস্থিতিতে তারা গুম হয়েছেন তা নির্ধারণের জন্য এই কমিশন গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক তিন এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
৪ ঘণ্টা আগে