পররাষ্ট্রনীতি
জাতীয় স্বার্থ চালিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ভারত ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা ব্যাখ্যা করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির সবই জাতীয় স্বার্থ নিয়ে।
মঙ্গলবার ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অব পিস (ইউএসআইপি) আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি এবং গত ৫০ বছরের শিক্ষা নিয়ে ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথন’ শিরোনামের এক অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন মোমেন।
ইউএসআইপির প্রেসিডেন্ট ও সিইও লিজ গ্র্যান্ডে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন এবং রাষ্ট্রদূত টেরেসিটা শ্যাফার এটি সঞ্চলনা করেন।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমনে র্যাবের ভূমিকা স্বীকৃত, তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সময় লাগবে: ব্লিনকেন
ইউএসআইপি এর মতে, বাইডেন প্রশাসন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়ন করায় প্রতিবেশী ভারত ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বলছে বাংলাদেশ মার্কিন নীতিনির্ধারকদের ক্রমবর্ধমান দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও দেশটির জনগণের সমর্থন বাংলাদেশ কখনো ভুলতে পারবে না উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে।’
তবে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের আরও সম্পদের প্রয়োজন এবং ভারতের কাছে বিনিময়ের মতো এত সম্পদ নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়তা করতে হবে এবং তাদের (চীনের) ঝুড়ি ভর্তি অর্থ রয়েছে। চীন ঝুড়ি ভর্তি অর্থের সঙ্গে সাশ্রয়ী ও আকর্ষণীয় প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল।’
মোমেন দাবি করেন, বাংলাদেশ ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিচক্ষণ এবং চীন কিছু মেগা প্রকল্প নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশের উষ্ণ সম্পর্কের ভিত্তি করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, এমনকি ভারত চীনের কাছ থেকে ঋণ নেয় যদিও তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক নেই। ‘এটি একটি খুব অদ্ভুত পৃথিবী।’
তিনি বলেন, ভারত ও চীনের নিজস্ব সমস্যা রয়েছে এবং বাংলাদেশ সে সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। ‘আমরা একটি নিরপেক্ষ সম্পর্ক বজায় রাখি।’
মোমেন বলেন,চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জটিলতা থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে শুধু উন্নয়ন প্রচেষ্টার জন্য সম্পর্কযুক্ত। ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আমরা আপস করি না।’
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দুটি চিঠির কথা উল্লেখ করে বলেন, এই দুটি চিঠি ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে অংশীদারিত্বের গল্প বলে।
এ বছর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী পালন করেছে।
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির মূল দর্শন নিয়ে ৭ দিনব্যাপী চিত্রপ্রদর্শনী
'সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির মূল দর্শন নিয়ে গুলশানের বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে সাত দিনব্যাপী চিত্রপ্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করা হয়। এটি ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতি 'সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়' এর কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের স্বীকৃতি অর্জন করতে পেরেছিল।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের প্রতিজ্ঞা নিন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এই নীতি, তার যাদুকরী ক্ষমতা এবং ব্যক্তিত্বের কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের ১৩৬টি দেশের মধ্যে ১২৬টি দেশই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে সাড়ে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই অল্প সময়ে রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে তিনি নিজের জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও দিক নির্দেশনার স্বাক্ষর রাখেন। নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা এবং বিশ্ব নেতাদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কূটনৈতিক সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল দর্শন দিয়ে গিয়েছিলেন 'সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়'।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ফোরামে বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপ, শান্তিকেন্দ্রিক এবং টেকসই উন্নয়ন কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি অব্যাহত রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। তার গতিশীল নেতৃত্বে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল এবং কর্ণফুলী টানেলের মতো বৃহৎ অবকাঠামো নির্মিত হচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ অচিরেই উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।’
আরও পড়ুন: মুজিব বর্ষে ঘর পাচ্ছেন ফরিদপুরের দেড় হাজার গৃহহীন পরিবার
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান ও অপরাজিতা হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, ভ্যাটিকান সিটি, ডেনমার্ক, কসভো, মরক্কোর রাষ্ট্রদূত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, ডিএনসিসির কাউন্সিলররাসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুজিব বর্ষেই বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিদের দেশে আনা সম্ভব হবে, আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৩ বছর আগে
রাজধানীতে পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কসমস সংলাপ
রাজধানীতে ‘পররাষ্ট্রনীতিতে মূল্যবোধ বা তার অনুপস্থিতি’ শীর্ষক এক সংলাপ শনিবার সকালে শুরু হয়েছে।
৪ বছর আগে